টাটকা খবর
খুনের তদন্তে সিআইডি-র উপর ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
সাত দিনের মধ্যে সিআইডি ‘সঠিক’ তদন্ত রিপোর্ট দিতে না পারলে বীরভূমের তৃণমূল নেতা সাগর ঘোষের খুনের ঘটনার তদন্ত কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে করানো হবে বলে সোমবার জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
জেলা পুলিশ যথাযথ ভাবে তদন্ত না করায় কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলার তদন্তভার জেলা পুলিশের হাত থেকে সিআইডি-র উপরে ন্যস্ত করেছিল। কিন্তু সিআইডি-র তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে হাইকোর্ট যে ক্ষুব্ধ তা প্রতিটি শুনানির সময়েই স্পষ্ট হয়েছে। তদন্তে নেমেও কেন সিআইডি প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান এক বারের জন্যও নেয়নি, গত দিন সেই প্রশ্ন তুলে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত সিআইডি- কে সাগর ঘোষের স্ত্রী ও পুত্রবধূর বয়ান নিয়ে তা আদালতে পেশ করতে বলেছিল। এ দিন হাইকোর্টে সিআইডি-র পক্ষ থেকে আদালতের হাতে দু’টি মুখবন্ধ খাম তুলে দেন সরকার পক্ষের আইনজীবী শাক্য সেন। সে দু’টি নিহতের স্ত্রী সরস্বতীদেবী এবং পুত্রবধূ শিবানীদেবীর গোপন জবানবন্দির প্রতিলিপি।
দু’টি জবাবন্দি পড়ার পরে বিচারপতি দত্ত সরকারি আইনজীবীর কাছে জানতে চান, গোপন জবানবন্দিতে নাম থাকা অভিযুক্তদের কি গ্রেফতার করা হয়েছে? সরকারি আইনজীবী বলেন, অভিযুক্তদের মধ্যেই অনেকেই ফেরার। বিচারপতির পাল্টা প্রশ্ন, যাঁরা ফেরার নন, তাঁদের গ্রেফতার করা হয়নি কেন? আদালত নির্দেশ দিলে তবেই কি সিআইডি নড়েচড়ে বসবে? ওই তদন্ত রিপোর্ট থেকেই আদালতের গোচরে আসে যে ওই ঘটনায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের শনাক্তকরণ (টিআই প্যারেড) এখনও হয়নি। ক্ষুব্ধ বিচারপতি দত্ত সরকারি আইনজীবীর কাছে জানতে চান, তদন্তে কী কী করতে হবে তার প্রতিটি ব্যাপারেই কি আদালতকে নির্দেশ দিতে হবে?
গত ২১ জুলাই বীরভূমের পারুইয়ে খুন হন সাগর ঘোষ। সেই ঘটনায় প্রথম থেকেই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল। সাগরবাবুর পুত্রবধূ শিবানী ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, ২১ জুলাই রাত ১১টা নাগাদ এক দল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। খুন করা হয় তাঁর শ্বশুরকে।

বিন্নির নয়া হুমকি, সঙ্কট চলছেই আপ-এ
সঙ্কট-পর্ব অব্যাহত।
দিল্লির আম আদমি পার্টি-র বিড়ম্বনা বাড়ছে বই কমছে না। রবিবারই দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মধু ভাদুড়ি অভিযোগ করেছিলেন, দলে মহিলাদের মানুষ বলে মনে করা হয় না। মধুর দল ছাড়ার পর এক দিনও কাটেনি, বহিষ্কৃত বিধায়ক বিনোদকুমার বিন্নি ঘুম কেড়ে নিয়েছেন আপ নেতৃত্বের। পরিস্থিতি এমন হয়েছে, কংগ্রেসের সমর্থন থাকা সত্ত্বেও সরকার টিকিয়ে রাখাই এখন দুশ্চিন্তার কারণ হয়েছে তাদের। কেননা বিন্নি সোমবার জানিয়েছেন, আগামিকাল তিনি সরকারের উপর থেকে তাঁর সমর্থন প্রত্যাহার করে নেবেন। তাঁর সঙ্গে সংযুক্ত জনতা দলের এক বিধায়ক-সহ আরও এক নির্দল বিধায়ক আছেন বলে এ দিন দাবি করেছেন বিন্নি। দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে দেখা করার পর তিনি জানান, ওই দু’জন ছাড়াও অন্য দুই আপ-বিধায়কও তাঁর সঙ্গে আছেন। বিন্নির এই দাবি যদি সত্যি হয়, তবে সরকারে থাকার জন্য ন্যূনতম ৩৫ জন বিধায়ক আপ-কংগ্রেস জুটির হাতে থাকছে না। সেটাই এখন আপ নেতৃত্বের মাথাব্যথার কারণ।
গোটা পরিস্থিতির জন্য বিরোধীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে আপ। বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্তের অভিযোগ করা হয়েছে বিরোধীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তির যে সরাসরি বিজেপি-র দিকেই সে কথা স্পষ্ট হয়েছে আপ নেতা সঞ্জয় সিংহের বক্তব্যে। তিনি এ দিন জানিয়েছেন, সংবাদ মাধ্যমের কিছু ব্যক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপি-র কয়েক জন শীর্ষস্থানীয় নেতা ‘আম আদমি’র সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সঞ্জয়ের বক্তব্য জোরদার করতে এ দিন মাঠে নামেন কস্তুরবা নগরের আপ বিধায়ক মদন লাল। বিজেপি-র তরফে তাঁকে ২০ কোটি টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মদন লাল এ দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিজেপি-র এক শীর্ষস্থানীয় নেতার ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তি ১০-১২ দিন আগে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর কথায়, “আমাকে বলা হয়, যদি আমি ৯ জন বিধায়ককে নিয়ে আপ ছেড়ে নতুন দল গড়ি তা হলে আমাকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী করা হবে।” বিজেপি তাঁকে সমস্ত রকমের সাহায্য করবে, এমন প্রতিশ্রুতি ওই দু’জন দিয়েছিলেন বলে এ দিন দাবি করেছেন মদন লাল। যদিও এই দাবির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দাখিল করতে পারেননি তিনি। লাল আরও দাবি করেন, গত ৮ ডিসেম্বর এক অপরিচিত ব্যক্তি ফোনে তাঁকে জানান, বিজেপি-র পরিচিত এক নেতা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে চান। লাল বলেন, “আমি যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করি, কে আমার সঙ্গে কথা বলতে চান? উত্তরে তিনি অরুণ জেটলির নাম বলেন। জেটলির নাম শুনেই আমি ফোন কেটে দিই। অপরিচিত সেই নম্বরে আর ফোন করিনি।” এই কথোপকথন রেকর্ড করেননি কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, রেকর্ড করার কোনও ব্যবস্থা তাঁর কাছে ছিল না। আপাতত এ বিষয়ে কোনও আইনি পদক্ষেপ করার কথা ভাবছেন না বলেও এ দিন জানিয়েছেন লাল।
লালের অভিযোগ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হতেই এ দিন অরুণ জেটলি টুইটারে এই দাবিকে ‘জঘন্যতম’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি কটাক্ষ করে লিখেছেন, আপ-এর বিকল্প রাজনীতি মৌলিক অধিকারের মধ্যে মিথ্যাচারকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
বিজেপি-র পাশাপাশি কংগ্রেসকেও এ দিন কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন আপ নেতৃত্ব। দু’দলের বিরুদ্ধেই মঙ্গলবার থেকে ‘পোল খোল’ প্রচারে নামছে আপ। কংগ্রেস-বিজেপি-র কার্যকলাপ দিল্লিবাসীকে জানাতেই এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে আপ-এর তরফে জানানো হয়েছে।
তবে এই রাজনৈতিক তরজার মধ্যেই এ দিন দিল্লির মন্ত্রিসভা জন লোকপাল বিল পাশ করেছে।

বসিরহাটে প্রেমিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ প্রেমিকের বিরুদ্ধে
সঙ্গীদের নিয়ে প্রেমিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। বসিরহাটের স্বরূপনগরে রবিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। নিগৃহীতার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ দিন তাকে বসিরহাট আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
কী হয়েছিল ওই দিন?
পুলিশ জানিয়েছে, স্বরূপনগরের কাঁটাবাগানের একটি পার্কে ওই দিন সন্ধ্যায় বাদুড়িয়ার এক তরুণীকে নিয়ে যায় তার প্রেমিক। সঙ্গে তরুণীর এক বান্ধবী ছিলেন। যুবকের সঙ্গেও ছিল তার তিন সঙ্গী। অভিযোগে তরুণী জানিয়েছেন, পার্কে ওই যুবক সঙ্গীদের নিয়ে তাঁকে গণধর্ষণ করে। নিগৃহীতা তরুণী কিছু ক্ষণ অন্ধকারে পড়ে থাকার পর কোনও রকমে এলাকারই একটি বাড়িতে আশ্রয় নেন। ওই পরিবারের তরফে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। এর পর তরুণীর বয়ানের ভিত্তিতেই পুলিশ ওই প্রেমিক যুবককে গ্রেফতার করে।
ঘটনার সময় নিগৃহীতার বান্ধবীর শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে নিগৃহীতাকে ফেলে অভিযুক্তরা তাঁকে ধাওয়া করে বলে জানিয়েছেন দ্বিতীয় ওই তরুণী। কিন্তু তিনি কোনও রকমে আত্মরক্ষা করে এলাকার একটি ক্লাবে গিয়ে আশ্রয় নেন। ক্লাবের সদস্যরা পরে তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
পুলিশি সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ধরা পড়ার ভয়ে ধৃত ওই যুবকের এক সঙ্গী গলায় ওড়না জড়িয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশি প্রহরায় বসিরহাট হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার চিকিৎসা হচ্ছে।
জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “ধৃতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”

ফের হাতির হামলা, বাঁকুড়ায় মৃত ১
এক সপ্তাহও পেরোল না, বাঁকুড়ায় ফের হাতির হামলায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম রাজেন মাহাতো (৬৫)। তিনি পিয়ারডোবার কুষ্ঠ কলোনির বাসিন্দা ছিলেন। গত সপ্তাহেই সোনামুখীর কামারডাঙায় হাতি আছড়ে মেরেছিল ছবি বাউড়ি নামের এক গ্রামবাসীকে। আহত হয়েছিল তাঁর তিন বছরের শিশু।
বাজারে রাজেনবাবুর মুরগির মাংসের দোকান ছিল। ওই দিন রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথে হাতির মুখোমুখি পড়ে যান। তাঁকে দেখা মাত্রই হাতিটি শুঁড় দিয়ে সাইকেল সমেত শূন্যে তুলে আছাড় মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। রাতেই রাজেনবাবুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যে জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে সেটি বন দফতরের বাঁকাদহ রেঞ্জের মধ্যে পড়ে। রেঞ্জার বিজয় চক্রবর্তী বলেন, “দুঃখজনক ঘটনা। সরকারি নিয়ম মেনে মৃতের পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” তবে, সোমবারই ক্ষতিপূরণের অর্ধেক টাকা ওই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বন দফতর।

কারখানায় বিস্ফোরণ, মৃত ৪
সোমবার সকালে মহারাষ্ট্রের অওরঙ্গাবাদে একটি কারখানায় বিস্ফোরণে একটি তিন বছরের শিশু-সহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর ভাবে জখম হয়েছেন আরও অনেকে। মৃতদের মধ্যে কারখানার মালিকও আছেন।
পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় কুমার জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে ওই কারখানার একটি গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে কারখানার দেওয়াল ভীষণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ফলে তা ধসে পড়তে পারে, এই আশঙ্কায় পুলিশ ওই কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে বলেও এ দিন জানিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনায় মৃতেরা হলেন, শেখ রফিক আহমেদ (৩০), খান মজিদ হায়াত (৫২), শেখ মুজফ্ফর আহমেদ (২২) এবং শাহজাদ সিরাজ খান (৩)। আহদের স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মস্কোয় পণবন্দি পড়ুয়াদের উদ্ধার করল পুলিশ
মস্কোর স্কুলে পণবন্দি পড়ুয়াদের উদ্ধার করল পুলিশ। রাশিয়ায় স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে খবর, মস্কোর উত্তর শহরতলির ২৬৩ নম্বর হাইস্কুলের এক নিরাপত্তারক্ষীকে গুলি করে হত্যা করে ২০ জনের বেশি পড়ুয়াকে পণবন্দি করেছিল এক বন্দুকধারী। প্রায় আধ ঘণ্টা পর পুলিশ ওই বন্দুকধারীকে গ্রেফতার করে পড়ুয়াদের উদ্ধার করে। বন্দুকধারী ওই স্কুলেরই পড়ুয়া। এই ঘটনায় স্কুলের এক জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.