পরিবেশ, মহাকাশ সম্পর্কে সচেতনতা গড়ার পাশাপাশি পর্বত অভিযানের অভিজ্ঞতা, আপদকালীন পরিস্থিতিতে নদী পার হওয়ার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে পরিবেশের ভারসাম্য বজায়ে রাখতে গাছপালা, পশুপাখি ও জীবজন্তু সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা জানানো হচ্ছে। রায়গঞ্জে পরিবেশপ্রেমী সংগঠন হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ার্স অ্যান্ড ট্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনের প্রকৃতিপাঠ শিবিরে রবিবার এই দৃশ্যই দেখা গেল। কুলিক পক্ষিনিবাস চত্বরে অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে শিবির। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ, করণদিঘি, ডালখোলা, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদ ও ইটাহারের ২০টি স্কুলের ৮-১৫ বছরের ৭৪ পড়ুয়াকে শিবিরে সামিল করা হয়েছে। উদ্যোক্তারা পক্ষিনিবাস চত্বরে পড়ুয়াদের জন্য ১৪টি তাবু খাটিয়েছেন। অ্যাসোসিয়েশনের ৩০ প্রশিক্ষক হাজির রয়েছেন। সংগঠনের তরফে তাপস জোয়ারদার, দেবব্রত সরকার জানান, পাঠ্যপুস্তক পড়ে পড়ুয়াদের সার্বিক পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন হওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া ভবিষ্যতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার স্বার্থে পড়ুয়াদের ভূমিকা রয়েছে।
এ দিনের শিবিরে প্রশিক্ষকরা পড়ুয়াদের বিভিন্ন গাছপালা-সহ বক, মাছরাঙা, ময়না, টিয়া, চিল, বাজ, কাকতুয়া ও নানা অজানা পাখিদের চেনানোর কাজ করেছেন। বিকালে পড়ুয়াদের প্রোজেক্টরের মাধ্যমে বাঘ, সিংহ, গন্ডার, হাতি, পক্ষিনিবাসের বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি, কীটপতঙ্গ, জীবজন্তুর ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছে। দেখানো হয়েছে সংগঠনের পর্বতারোহণ অভিযানের ভিডিও। সন্ধ্যায় প্রতিটি তাবুর সামনে আগুন জ্বালিয়ে টেলিস্কোপের মাধ্যমে পড়ুয়াদের মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহ ও নক্ষত্র চেনানো হয়। কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র কৌশিক রায়, ডালখোলা ও রায়গঞ্জের বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণির দুই পড়ুয়া ছাত্র রাজর্ষি চৌধুরী ও তিয়াশা দে বলে, “শিবিরে সামিল হতে পেরে খুবই আনন্দ হচ্ছে। পরিবেশে ভারসাম্য রক্ষায় গাছপালা, জীবজন্তু, পশুপাখির ভূমিকা কতটা জরুরি শিবিরে এসে বুঝলাম।”
|
হাতি তাড়াতে গিয়ে সেই দাঁতালের হামলায় আহত হলেন দুই গ্রামবাসী। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সোনামুখী থানার রাধানগর রেঞ্জের শুকসায়র গ্রামে। জখম ব্যক্তিদের নাম নিমাই মাণ্ডি ও মনোজিৎ হাঁসদা। গ্রামবাসী বৈদ্যনাথ হাঁসদা বলেন, “মনোজিৎ হাঁসদাকে আছাড় মেরে ডান হাত ভেঙে দিয়েছে হাতিটি। তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। তাড়া খেয়ে ছুটতে গিয়ে আহত হন নিমাই মাণ্ডি। তাঁকে সোনামুখী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। রাধানগরে রেঞ্জ আধিকারিক অলোক আচার্য বলেন, “একটি রেসিডেন্ট হাতি এ দিন হঠাৎ ওই গ্রামে ঢুকে পড়ে। তাকে তাড়াতে গিয়ে আহত হন ওই দুই ব্যক্তি। তাঁদের চিকিৎসার ব্যয়বহন করবে বন দফতর।” ঘটনার পর হাতিটির গতিবিধির উপর নজর রাখছে বন দফতর। |