বল বিকৃতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে রবিবার উত্তেজনা ছড়াল বর্ধমানের রাধারানি স্টেডিয়ামে।
এ দিন ছিল প্রথম ডিভিশন ত্রিকেট লিগের দুই বড় দল মিলনী সঙ্ঘ ও জাতীয় সঙ্ঘের মধ্যে ম্যাচ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মিলনী ব্যাটিং বিপর্যয়ের কবলে পড়ে মাত্র ১৮ রানে ৬ উইকেট হারায়। তবে সঞ্জীব গোয়েলের ৫২ ও অভিষেক চৌধুরির ৬৭-র দাপটে শেষ পর্যন্ত ৪০ ওভারে মিলনী ১৮৩-৮ করে। জাতীয় সঙ্ঘের নিখিলেশ্বর কামাথ ১৮ রানে ৩ ও সন্দীপ মুন্দ্রা ৪০ রানে ৪ উইকেট দখল করেন। পরে ব্যাট করতে নেমে জাতীয় সঙ্ঘ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভারে তারা ৬৪-৯ করে। এক ক্রিকেটার আহত থাকায় তিনি ব্যাট করতে পারেননি। জাতীয় সঙ্ঘের দীপ চট্টোপাধ্যায়ের ১৮ই সর্বোচ্চ। মিলনী সঙ্ঘের পেস বোলার দেবপ্রিয় ঘোষ ৪ ওভার বল করে একটি মেডেন নিয়ে ২ রানে ৫ উইকেট দখল করেন।
১২ ওভারে জাতীয় সঙ্ঘের রান যখন ৩০-৩, সেই সময় দলের অধিনায়ক সজল সরকার মাঠে ঢুকে পড়েন। তিনি বল বিকৃতির অভিযোগ করেন মিলনীর বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, “বলের চারিদিকে নানা ধরনের কাটা ও ফাটা চিহ্ন দেখা দিয়েছে। বল বিকৃত করা হয়েছে। এই বল দিয়ে ম্যাচ চলতে পারে না।” প্রথমে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় ১৫ মিনিটের জন্য খেলা বন্ধ থাকে। দুই আম্পায়ার শুভঙ্কর গোস্বামী ও অমর দাস দু’দলকে শান্ত করে ফের ম্যাচ শুরু করান।
কিন্তু জাতীয় সঙ্ঘ হেরে যাওয়ার পরই দলের ক্রিকেটার ও কর্মকর্তারা মাঠের মধ্যে ঢুকে পড়েন। তাঁরা স্কোরারকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে তাঁর মোবাইল কেড়ে নেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, মাঠের পাশে রাখা সমস্ত চেয়ার-টেবিল তাঁরা মাঠের মধ্যে ছুড়ে দেন। এতে তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। শেষ পর্যন্ত জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্রিকেট সচিব শিবশঙ্কর ঘোষ সদলবলে মাঠে এসে পরিস্থিতি সামলান।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা দু’জন আম্পায়রকে মাঠ থেকে বের করে নিরাপদে বাড়িও পৌঁছে দেন। জাতীয় সঙ্ঘের ক্লাবকর্তা সুকল্যাণ বসু ও অধিনায়ক সজল সরকারের অভিযোগ, বিকৃত হওয়া বলে খেলা চালিয়ে আম্পায়ারেরা নিরপেক্ষতা দেখাননি। মিলনী সঙ্ঘের ক্লাব কর্তা রাজীব চৌধুরী ও অধিনায়ক প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, “জাতীয় সঙ্ঘের অধিনায়ক কেন মাঠে ঢুকলেন, তার জবাব দিতে হবে। এ ভাবে ম্যাচ বন্ধ করানোর জন্য আমরা ওঁদের শাস্তি চাই।”
দু’জন আম্পায়ার অবশ্য দাবি করেন, বল বিকৃতির ঘটনা ঘটেনি। যে কাটা ও ফাটা দাগের কথা বলা হচ্ছে, তা প্রতিটি ম্যাচেই ব্যবহৃত বলে দেখা যায়। শিবশঙ্করবাবু বলেন, “আম্পায়ারদের পেশ করা রিপোর্ট দেখে এই গোলমালের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
জয়ী ভুরি এসএ
নিজস্ব সংবাদাদাতা • অন্ডাল |
শোনপুর বাজারি প্রজেক্টের উদ্যোগে গ্রামীণ ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয় ভুরী এসএ। তারা হরিপুর ক্রিকেট কোচিং অ্যাকাডেমি মাঠে আরশোলা কুঁচিবেড়াকে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হারায়। উপস্থিত ছিলেন প্রজেক্টের জিএম(ওপি) একে ঝা। |
শহরের সুভাষপল্লির একটি ক্লাবে মাল্টিজিমের উদ্বোধন হল রবিবার।
|
|