|
|
|
|
মেঘালয়ে চাকরি যাচ্ছে ২৪৬ জন শিক্ষকের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি ও আগরতলা
২৯ জানুয়ারি |
সিবিআই চার্জশিট ও বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটির রিপোর্টে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ফাঁস হওয়ার জেরে চাকরি হারাচ্ছেন মেঘালয়ের ২৪৬ জন শিক্ষক। ২০০৮-এ রাজ্যের নিম্ন প্রাথমিক পর্যায়ে ৭৪৯ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন বের হয়। ২০০৯-এ শিলং, আমলারেম, জোয়াই, তুরা, দাদেংগিরি সাব-ডিভিশনে ৩৭৫ জন শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। রিপোর্টে সিবিআই জানিয়েছে, ২৪৬ জন শিক্ষককে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী আর সি লালু, বিধানসভার অধ্যক্ষ চার্লস পাইরংপে, ডেপুটি-স্পিকার সানবর সুলে, বনমন্ত্রী প্রেস্টন টিংসং, জল-সম্পদ মন্ত্রী এ এল হেক, সমাজকল্যাণমন্ত্রী জে এ লিংডো-সহ প্রায় ১৫ জন মন্ত্রী, বিধায়ক নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর জন্য চাপ দিয়েছিলেন। তদানীন্তন প্রাথমিক ও জনশিক্ষা দফতরের অধিকর্তা জে ডি সাংমা জেরায় স্বীকার করেছেন, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী আমপারিন লিংডোর নির্দেশে ইন্টারভিউ বোর্ডের জমা দেওয়া নম্বর বদলে, মন্ত্রী-বিধায়কদের পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টও উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে।
গতকাল শিক্ষা দফতর ওই ২৪৬ জন শিক্ষককে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষা দফতরের নোটিসের বিরুদ্ধে কয়েকজন শিক্ষক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। আইনজ্ঞরা জানান, আদালতের তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতেই শিক্ষা দফতর ওই সিদ্ধান্ত। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়ে লাভ হবে না। আমপারিন বলেন, “কখনও কোনও আধিকারিককে বেআইনি কাজ করার নির্দেশ দিইনি। আমাকে ফাঁসিয়ে নিজে বাঁচতে চাইছেন সাংমা।”
সরকারি প্রাথমিক স্কুলে স্নাতক ডিগ্রিহীন (আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট) শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অস্বস্তির মুখে ত্রিপুরা সরকারও। শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেছেন এক আবেদনকারী। অ্যাডভোকেট-জেনারেল বিজন দাস বলেন, ‘‘আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি এস সি দাস রাজ্যকে নোটিস পাঠিয়েছেন। তার জবাব দেওয়া হয়নি।’’ রাজ্যের আইনজীবী তাপস দত্ত মজুমদার বলেন, ‘‘সরকারের বক্তব্য জানার পর ওই আবেদন গ্রহণ করা হবে কি না, তা নিয়ে উচ্চ আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।’’ |
|
|
|
|
|