টাটকা খবর
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবহার করা যেতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
ভারতের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যবহার করার পক্ষে সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। বুধবার জাতীয় ওয়াকফ উন্নয়ন নিগম লিমিটেড সূচনার পর তিনি বলেন, “আমরা পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের উন্নয়নের লক্ষ্যে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলাম। ইউপিএ সরকার দীর্ঘ দিন ধরেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নে কাজ করে এসেছে।” তিনি আরও জানান, ওয়াকফ সম্পত্তিকে কাজে লাগিয়ে সংখ্যালঘুদের জন্য স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল আরও বেশি করে তৈরি করা সম্ভব। এই নিগম সাচার কমিটির সুপারিশ মেনেই কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নয়াদিল্লিতে এ দিনের জাতীয় ওয়াকফ নিগমের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউপিএ-র চেয়ারপার্সন সনিয়া গাঁধী। সারা বিশ্বে ভারতেই সব থেকে বেশি ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। যার থেকে দেশের বার্ষিক আয় হয় প্রায় ১৬৩ কোটি টাকা।

মহারাষ্ট্রে বাস-ট্যাঙ্কার সংঘর্ষে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত ৮

ভস্মীভূত ট্যাঙ্কার। ছবি: পিটিআই।
ফের যাত্রিবাহী বাসের সঙ্গে ডিজেলবাহী ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষে মৃত্যু হল ৮ জনের। মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে সেই মুম্বই-আমদাবাদ হাইওয়েতে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৪ জন। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত বছরের ২৯ মে প্রায় একই জায়গাতেই যাত্রিবাহী বাসের সঙ্গে ট্যাঙ্কারের সংঘর্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, আমদাবাদ থেকে পুণে যাচ্ছিল যাত্রিবাহী ওই লাক্সারি বাসটি। অন্য দিকে, ডিজেল ভর্তি ভারত পেট্রোলিয়ামের ট্যাঙ্কারটি গুজরাতের হাজিরায় যাচ্ছিল। এ দিন রাত পৌনে দু’টো নাগাদ ঠাণের মানর থানার কুদে গ্রামের কাছে দু’টি গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সঙ্গে সঙ্গে দু’টি গাড়িতেই আগুন লেগে যায়। খবর পেয়ে দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শুরু হয় উদ্ধার কাজ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে মৃতদের প্রত্যেকেই ওই বাসের যাত্রী ছিলেন।
আগুনে ঝলসে যাওয়ায় কোনও মৃতদেহই শনাক্ত করা যায়নি। ঠাণের জেলাশাসক জি ভেলরাসু এ দিন বলেন, “দেহগুলি এমন ভাবে পুড়ে গিয়েছে যে, শনাক্ত করার মতো অবস্থায় নেই। প্রশাসন দেহগুলি শনাক্ত করতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে। বাস সংস্থার কাছে যাত্রীদের নামের তালিকাও চেয়ে পাঠানো হয়েছে।” ইতিমধ্যে দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
আহতদের মানর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন তাঁদের প্রত্যেকেই বিপদ মুক্ত।

পশ্চিম মেদিনীপুরে পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃত্যু
বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়ারিতে মিলল একটি পূর্ণবয়স্ক হাতির দেহ। খবর পাওয়া মাত্র বন দফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
কেশিয়ারির হরিপুরাতে ফসলের খেতে এ দিন সকালে মৃত অবস্থায় একটি হাতিকে পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসীরা। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। কেশিয়ারির বিডিও অসীমকুমার নিয়োগী বলেন, “হাতি মৃত্যুর খবর পেয়েছি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে। বন দফতরের কর্মীরা বিষয়টি দেখছেন।” তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, যেখানে হাতিটির দেহ পড়ে ছিল, সেই এলাকায় বিদ্যুতের কোনও তার নেই। তাঁদের মতে ফসলে দেওয়া কীটনাশক থেকেই বিষক্রিয়ায় হাতিটি মারা গিয়েছে।
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরের এই সময়টায় নয়াগ্রাম থেকে হাতিদের একাংশ মাঝেমাঝেই আখ-সহ বিভিন্ন ফসল খেতে সুবর্ণরেখা নদীর পাড়ের এই অঞ্চলে আসে। এই হাতিটি সম্ভবত সে ভাবেই কেশিয়াড়িতে এসেছিল। কিন্তু কী ভাবে সে মারা গিয়েছে সে ব্যাপারে ময়নাতদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনও কিছু বলা যাবে না বলে জানিয়েছে বন দফতর। খড়্গপুরের ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “হাতিটি কী ভাবে মারা গিয়েছে তা ময়নাতদন্ত না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। কেশিয়াড়ির পশুচিকিত্সকেরা ঘটনাস্থলেই হাতিটির ময়নাতদন্ত করবেন। তবে প্রাথমিক ভাবে তার দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।”

সোনা এবং ইউরো উদ্ধার বিমানবন্দরে
ফের কলকাতা বিমানবন্দরে উদ্ধার হল প্রায় এক কিলোগ্রাম সোনা। শুধু তাই নয় পাশাপাশি এক যাত্রীর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫০ ইউরো। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ৪২ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার রাতের বিমানে ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতাতে এসে নামে রাজকুমার দাস নামের বছর তেত্রিশের এক যুবক। তার বাড়ি এয়ারপোর্ট এলাকাতেই। শুল্ক দফতরের কর্মীরা তার কাছ থেকে প্রায় ৫০ ইউরো উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলেই রাজকুমারকে গ্রেফতার করা হয়।
অন্য দিকে, ব্যাঙ্কক থেকে অন্য একটি বিমানে কলকাতায় নামা দুই যাত্রীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় এক কিলোগ্রাম সোনা। যার বাজার দর প্রায় ৩০ লাখ টাকা। পুলিশ জানিয়েছে, চেন্নাইয়ের বাসিন্দা কুপুস্বামী অরুণাচলম এবং আনাস ইব্রাহিম নামের ওই দুই যাত্রীর কাছে দু’টি ভিডিও ক্যামেরা ছিল। প্রত্যেকটিতে ছ’টি করে ব্যাটারি ভরার ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু তল্লাশির সময় শুল্ক দফতরের কর্মীরা দেখতে পান, ছ’টি খোপের তিনটিটে ব্যাটারি আছে, আর বাকিগুলিতে রয়েছে একই রকম দেখতে তিনটি সোনার ব্যাটারি। প্রত্যেকের ক্যামেরায় আলাদা আলাদা ভাবে ৫০০ গ্রাম করে সোনা পেয়েছে শুল্ক দফতর। যার বাজারদর ১৫ লাখ টাকা। মোট ৩০ লাখ টাকার সোনা উদ্ধার হলেও যে হেতু দু’জনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে তাই সেই সোনা বাজেয়াপ্ত করে দুই যাত্রীকেই ছেড়ে দেওয়া হয়। কেননা, আইন মতে সোনার মূল্য ২০ লাখ টাকার নীচে হলে কাউকে গ্রেফতার করা যায় না। তাই আইনের ফাঁক দিয়েই ছাড় পেয়ে গেলেন ওই দু’জন।

নিখোঁজ বধূর দেহ উদ্ধার বড়ঞাঁয়
মুর্শিদাবাদের বড়ঞাঁয় বুধবার সকালে উদ্ধার হল নিখোঁজ এক বধূর দেহ। তাঁর নাম দীপালি গড়াই। বছর চব্বিশের ওই মহিলার বাড়ি বড়ঞাঁর বিপ্রশেখর গ্রামে। গত সোমবার থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার তাঁর স্বামী অজয় গড়াই থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন। এই ঘটনায় এ দিন দীপালিদেবীর স্বামী-সহ শাশুড়ি এবং ভাসুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এ দিন সকালে দীপালিদেবীর শ্বশুরবাড়ি লাগোয়া একটি পুকুরে মাছ ধরছিলেন মৎস্যজীবীরা। সেই সময় বেড়া জাল টানতে গিয়ে পুকুরে তাঁরা দীপালিদেবীর দেহ ভেসে উঠতে দেখেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মৃতার কোমরে গামছা দিয়ে একটি স্টিলের বালতি বাঁধা ছিল। এমনকী, একটি চাদর দিয়ে বাঁধা ছিল দু’টি আস্ত ইটও। তাঁরা জানিয়েছেন, দেহকে ভারী করে জলে ডুবিয়ে দিতেই ওগুলো বাঁধা হয়েছে শরীরে। গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর দেন।
ইতিমধ্যে পাশের গ্রাম কাঁতুর থেকে মৃতার মামারবাড়ির লোকেরা চলে আসেন। তাঁদের অভিযোগ, এই সময় দীপালিদেবীর শ্বশুরবাড়ির কোনও লোককেই দেখা যায়নি ঘটনাস্থলের আশেপাশে। বরং, পালিয়ে গিয়ে এলাকারই একটি ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে ছিলেন তারা, বলে জানান মৃতার বাবা। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ দীপালিদেবীর স্বামী অজয় গড়াই, শাশুড়ি চম্পা গড়াই এবং ভাসুর মাখন গড়াইকে গ্রেফতার করেছে। থানায় তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছেন দীপালিদেবীর বাবা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.