টাটকা খবর |
হাতির হামলায় বাঁকুড়ায় মৃত ১ মহিলা, আহত ১ শিশু
নিজস্ব সংবাদদাতা • বিষ্ণুপুর |
হাতির হামলায় মঙ্গলবার ভোরে মৃত্যু হল এক মহিলার। বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার কামারডাঙা গ্রামের বছর তিরিশের ওই বাসিন্দার নাম ছবি বাউড়ি। ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে তাঁর তিন বছরের বাচ্চা। তাকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। |
|
|
এই সেই ধানের মড়াই। |
কামারডাঙারই অন্য একটি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি। |
|
বন দফতর সূত্রে খবর, গত এক সপ্তাহ ধরে বড়জোড়া থেকে নেমে আসা শ’ দেড়েক হাতি সোনামুখীর জঙ্গলে রয়েছে। তাদের তাড়িয়ে বিষ্ণুপুরের দিকে আনার চেষ্টা চলছে কয়েক দিন ধরে। তাড়ানোর সময় হাতির দলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে কয়েকটি অংশে ভাগ হয়ে যায়। তাদেরই কয়েকটি কামারডাঙা গ্রামে ঢুকে পড়ে। সেই সময়ে ছবি বাউড়ির বাড়ি-সহ বেশ কয়েকটি বাড়িতে তারা
হামলা করে বলে বন দফতরের দাবি।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এ দিন ভোর চারটে নাগাদ বাড়ির সামনের মড়াই থেকে হাতিরা ধান খাচ্ছে দেখতে পেয়ে
|
মৃত ছবি বাউড়ি। |
ঘর থেকেই চিৎকার করে তাদের তাড়ানোর চেষ্টা করেন ছবিদেবী। তাঁর কোলে তখন বছর তিনেকের ওই শিশু সন্তান ছিল। এই সময় আচমকাই দরমার বেড়া ভেঙে ঘরে ঢুকে শুঁড়ে তুলে ছবিদেবীকে আছড়ে মাটিতে ফেলে দেয় একটি হাতি। বাচ্চাটি মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে যায়। পরে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিলে ছবিদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। ঘটনায় গুরুতর আহত হয় বাচ্চাটি। তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সোনামুখী থেকে তাকে বাঁকুড়ার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার বিপদ এখনও কাটেনি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
বন দফতরের বাঁকুড়া উত্তরের ডিএফও সুধীরচন্দ্র দাস বলেন, “ঘটনাটি খুবই মর্মাম্তিক। ধান খেতে বাধা দেওয়ায় ওই মহিলাকে আছড়ে মেরে ফেলে হাতিরা। সরকারি নিয়ম মেনেই মৃতের পরিবারকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” তাড়ানোর সময় বন দফতরের গাফিলতিতেই কী হাতির দল ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছিল? সুধীরবাবু জানান, এ ঘটনায় বন দফতরের কোনও গাফিলতি নেই। হাতি তাড়ানোর সময় যে সমস্ত গ্রামের উপর দিয়ে তারা যায়, সেখানে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। গ্রামবাসীরা সেই আশঙ্কা থেকেই হাতিদের গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয়। নানা ভাবে তাদের আটকানোর চেষ্টা করা হয়। সে কারণেই হাতির দলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে বলে তাঁর দাবি। |
|
বাঁকুড়ার সাওলিয়া গ্রামে সোমবার সকালেও ঘুরে বেড়াচ্ছিল দামাল হাতি। |
এই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দারা যথেষ্ট ক্ষুব্ধ হয়েছেন। কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে এ দিন সকাল সাতটা থেকে বাঁকুড়া-বর্ধমান রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। এর ফলে ওই রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তোলে।
|
ছবি: শুভ্র মিত্র। |
প্রয়াত পিট সিগার
সংবাদ সংস্থা |
প্রয়াত হলেন নাগরিক সমাজের প্রতিবাদী কণ্ঠের অন্যতম মুখ পিট সিগার। বেশ কিছু দিন রোগভোগের পর নিউ ইয়র্কের এক হাসপাতালে সোমবার রাত সাড়ে ন’টায় মারা যান এই কিংবদন্তী মার্কিন লোকশিল্পী। বয়স হয়েছিল ৯৪। ‘টার্ন! টার্ন টার্ন!’, ‘হোয়্যার হ্যাভ অল দ্য ফ্লাওয়ার্স গন?’ অথবা ‘ইফ আই হ্যাড আ হ্যামার’ গানের মধ্য দিয়ে যিনি প্রায় ছয় দশক ধরে বিশ্বের বহু নাগরিক আন্দোলনকে উদ্বুদ্ধ করেছেন। প্রচলিত ‘উই উইল ওভারকাম’ গানটির কথায় সামান্য পরিবর্তন করে তিনি শুনিয়েছেন ‘উই শ্যাল ওভারকাম’। যা ষাটের দশকে আমেরিকার নাগরিক অধিকার আন্দোলনের মূল সুরে পরিণত হয়। ষাটের দশকেই ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরোধিতা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিককালে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বা আমেরিকায় সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে ‘ওয়াল স্ট্রিট দখল’ আন্দোলন— সব ক্ষেত্রে প্রেরণা জুগিয়েছে পিট সিগারের গান। |
২০০৯-এ নিজের ৯০তম জন্মদিন ম্যাডিসন স্কোয়্যার গার্ডেনের
এক অনুষ্ঠানে পিট সিগার। ছবি: এএফপি। |
পাঁচের দশকে বামঘেঁষা মতাদর্শের জন্য মার্কিন সরকার তাঁর গানের দল ‘দ্য উইভার্স’-কে কালো তালিকাভুক্ত করলেও দমেননি। ষাটের দশকে ফের জোরালো ভাবে ফিরে আসেন। ২০০৯-এ বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ অনুষ্ঠানের আগে ফের মঞ্চে দেখা যায় ব্যাঞ্জো-হাতে দাড়িমুখের পরিচিত সিগারকে।
সঙ্গীতজীবনে বহু সম্মান পেয়েছিলেন। বেশ কয়েক বারের গ্র্যামি-বিজেতা সিগারকে ১৯৯৩-এ ‘লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’-এ সম্মানিত করেন গ্র্যামি কর্তৃপক্ষ। ’৯৪-এ শিল্পকলায় তাঁর অবদানের জন্য মার্কিন কংগ্রেসের ‘দ্য ন্যাশনাল মেডেল অব আর্ট’ দিয়ে ভূষিত করা হয় তাঁকে। ’৯৯-এ পান কিউবার সর্বোচ্চ সম্মান ‘ফেলিক্স ভারেলা মেডেল’।
|
সমকামিতা নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট
সংবাদ সংস্থা |
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর সমকামিতা সংক্রান্ত ৩৭৭ নম্বর ধারা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী রায়ের পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্ট সেই রায়ে জানিয়েছিল ৩৭৭ ধারাটি সংবিধান সম্মত। কেণ্দ্র এ রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। মঙ্গলবার সেই আবেদন খারিজ করে দিল বিচারপতি এইচ এল দাত্তু ও এস জে মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
সংবিধানের ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি স্ব-ইচ্ছায় কোনও পুরুষ, মহিলা বা পশুর সঙ্গে প্রকৃতির নিয়মবিরুদ্ধ যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। দিল্লি হাইকোর্ট এক রায়ে এই ধারাটিকে অসাংবিধানিক বলেছিল। এর পরে সুপ্রিম কোর্টে মামলাটি উঠলে সুপ্রিম কোর্ট, দিল্লি হাইকোর্টের সেই রায় বাতিল করে ৩৭৭ নম্বর ধারাকে সংবিধান সম্মত বলে। একই সঙ্গে এ সম্পর্কে কোনও নতুন আইন প্রণয়নের অধিকার আইনসভার বলেই জানায় সুপ্রিম কোর্ট। গত বছরের এই রায়ের পরে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। তার পরে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে। সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায়ের বিরুদ্ধে সমকামী এবং তাঁদের সংগঠনগুলি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। |
ফের হার ভারতের, এক দিনের সিরিজ দখল করল কিউয়িরা
সংবাদ সংস্থা |
শেষ রক্ষা করতে পারল না ‘টিম ধোনি’। মঙ্গলবার হ্যামিলটনে কিউয়িদের কাছে ফের হার স্বীকার করতে হল তাদের। এ দিনের ম্যাচ সাত উইকেটে জিতে নিল নিউজিল্যান্ড। সেই সঙ্গে সিরিজ নিজেদের দখলে রাখল তারা।
চতুর্থ ওয়ান ডে-তে নিউজিল্যান্ডের কাছে ২৭৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল ভারত। টসে জিতে ধোনি প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। খেলার প্রথম থেকে কিউয়ি-রা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছিল। চার ওভারের মাথায় প্রথম ধাক্কা আসে কোহলির উইকেট পতনে। তখন ভারতের স্কোর ৫/১। টিম সাউদির শর্ট বলে মিড-উইকেটে জিমি নিশামের হাতে ব্যক্তিগত ২ রানের মাথায় ক্যাচ তোলেন তিনি। অন্য দিকে, ৯ ওভারের মাথায় ফের কাইল মিলসের শর্ট বলে ফাইন লেগে টিম সাউদির তালুবন্দি হন আজিঙ্ক রাহানে।
|
|
নিজের অর্ধশত রান পূরণ করলেন রবীন্দ্র জাডেজা। ছবি: এএফপি। |
খেলার শুরুতেই ‘মেন ইন ব্লু’র খানিকটা ছন্দপতন হলেও মাঠে নেমে হাল ধরেন রোহিত শর্মা-অম্বাতি রায়ুডু জুটি। একের পর এক কিউয়িদের শর্ট বলের ধাক্কা সামলে ক্রিজে নিজেদের দাপট বজায় রাখেন তাঁরা। এঁদের ব্যাটিংয়ে ভর করে শত রানের গণ্ডি পেরোয় ভারত। ২৬ ওভারের মাথায় হ্যামিশ বেনেট রায়ুডুর উইকেট তুলে নেন। এর পর ক্রিজে আসেন রোহিত শর্মা। বাউন্ডারি মেরে ব্যক্তিগত রানের খাতা খোলেন তিনি। ক্রিজে সেট হতে একটু সময় নিলেও এ দিন নিজের ২১তম অর্ধশত রান পূরণ করেন রোহিত।
তৃতীয় ম্যাচে দাপট দেখালেও এ দিন চমকপ্রদ কিছু করতে পারেননি রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ব্যাটিং বিপর্যয়ে এতটুকু বিচলিত না হয়ে স্বকীয় ভঙ্গিতে খেলে চ্যালেঞ্জ দেওয়ার মতো স্কোর খাড়া করেন অধিনায়ক ধোনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দেন জাডেজা। ধোনি ৭৩ বলে ৭৯ রান এবং জাডেজা ৫৪ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৫ উইকেট খুইয়ে ভারতের ইনিংস শেষ হয় ২৭৮ রানে। |
|