|
|
|
|
টাটকা খবর |
দিনভর রেল অবরোধ উঠল সন্ধ্যায়, চূড়ান্ত দুর্ভেোগে যাত্রীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা |
সকাল ৮টায় টিটাগড়ে যে অবরোধের শুরু, শেষমেশ সেই অবরোধ উঠল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ। প্রায় বারো ঘণ্টা পরে অবরোধ উঠলেও শিয়ালদহ মেন শাখায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে একটি জুটমিলের শ্রমিকদের অবরোধের ফলে সোমবার দিনভর চূড়ান্ত নাকাল হলেন অসংখ্য যাত্রী। অভিযোগ উঠেছে, এই অবস্থার মোকাবিলায় প্রশাসন কার্যত ঠুঁটো জগন্নাথ হয়েই ছিল। ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “আমরা অবরোধকারীদের বুঝিয়েছি। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি শ্রম কমিশনারের সঙ্গে শ্রমিক সংগঠনগুলির বৈঠকের প্রস্তাব তাদের নেতৃত্ব মেনে নিয়েছেন।”
দিনভর সাধারণ মানুষকে নাকাল করে অবরোধ চলল কী ভাবে? প্রশাসন কী করে চুপ করে রইল? মহকুমাশাসক বলেন, “শ্রম দফতর ও শ্রমমন্ত্রীর সঙ্গে কথার পরিপ্রেক্ষিতে ৬ তারিখ বৈঠকের প্রস্তাব আগেই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অবরোধকারীরা মন্ত্রীর লিখিত প্রতিশ্রুতি চাইছিলেন। তাঁদের জানানো হয়েছে, সেটা এখনই সম্ভব নয়। শ্রমিক নেতৃত্ব নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে অবরোধ তোলার সিদ্ধান্ত নেন।”
এই অবরোধ প্রসঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এটা রাজ্যের সমস্যা। অবরোধ ওঠার আগে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু বলেছিলেন, “প্রশাসন বিষয়টি দেখছে। সাধারণ মানুষের অসুবিধা হলে সরকার তো চুপ করে বসে থাকবে না। পুলিশকে বলা হয়েছে, লাঠি-গুলি না চালিয়ে অবরোধকারীদের তুলে দেওয়ার চেষ্টা করতে। অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসকেও বলা হয়েছে।” |
|
|
শ্রমিক অবরোধে আটকে ট্রেন। ছবি: বিতান ভট্টাচার্য। |
|
সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ লুমটেক্স জুট মিল খোলার দাবিতে টিটাগড়ে রেল অবরোধ করেন শ্রমিকেরা। সপ্তাহের প্রথম কাজের দিনের শুরুতেই এই অবরোধে চরম অসুবিধায় পড়েন অফিসযাত্রী-সহ অসংখ্য মানুষ। বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে এক এর পর এক ট্রেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে রেল কর্তৃপক্ষ বেলা ১০টা নাগাদ ব্যারাকপুর থেকে আপ লাইনের বিভিন্ন গন্তব্যে এবং অন্য দিকে শিয়ালদহ থেকে সোদপুরের মধ্যে ট্রেন চালান। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর পর সে ট্রেন চালিয়েও যাত্রীদের কার্যত কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। ট্রেন চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ায় বিটি রোডেও প্রবল চাপ পড়ে। এমনিতেই বেশ কিছু দিন ধরে এই রাস্তায় বাসের সংখ্যা কম। তার উপর যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপে প্রতিটি বাসেই ছিল বাদুড়ঝোলা অবস্থা। বয়স্ক থেকে মহিলা ও শিশুরা অনেকেই এ অবস্থায় বাসে উঠতে পারেননি।
শুধু সাধারণ যাত্রীরাই নন, এ দিনের অবরোধে আটকে পড়েন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীও। পূ্র্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী অধীরবাবুর কলকাতায় আসার কথা ছিল। এ দিন লালগোলা প্যাসেঞ্জারের পিছনে জোড়া একটি সেলুনকারে মন্ত্রী রানাঘাট স্টেশনে এসে পৌঁছন দুপুর দেড়টা নাগাদ। অবরোধের জেরে এর পর ট্রেন আর এগোতে পারেনি। মন্ত্রী সেলুনকারেই ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করেন। এই সময়ে ওই ট্রেনের যাত্রীরা মন্ত্রীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা প্রশ্ন করেন, মন্ত্রী কেন অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলছেন না? অবরোধকারীদের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই অবশ্য মন্ত্রী বহরমপুর ফিরে যান। বস্তুত দুপুর আড়াইটের পর কৃষ্ণনগরের দিক থেকে একটি ইঞ্জিন এসে সেলুনটিকে ফের বহরমপুরের দিকে টেনে নিয়ে যায়।
পিএফ, গ্র্যাচুইটি-সহ অন্যান্য বকেয়া মেটানোর আন্দোলনে নামে ১১টি শ্রমিক সংগঠন। তাদের দাবি না মানায় আন্দোলন আরও জোরদার করে শ্রমিক সংগঠনগুলি। গত ২৮ অক্টোবর মিলটি বন্ধ হয়ে যায়। শ্রমিক সংগঠনগুলির পক্ষে সংগ্রামী মজদুর ইউনিয়নের নেত্রী শর্মিষ্ঠা চৌধুরী এ দিন জানান, ইউনিয়নগুলিকে বিভ্রান্ত করছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী-সহ সরকার ও মালিক পক্ষ। তিনি অভিযোগ করেন, মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তাঁরা এড়িয়ে যাচ্ছেন। ব্যারাকপুরের মহকুমাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “অবরোধ তোলার জন্য আমরা শ্রমমন্ত্রীর দফতর ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছি।”
এ দিন বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন শিয়ালদহের রেল পুলিশ সুপার উত্পল নস্কর। সংগ্রামী ইউনিয়নের পক্ষে শর্মিষ্ঠা চৌধুরী এবং আইএনটিটিইউসি-র পক্ষে লক্ষ্মী চৌধুরীর কাছেও অবরোধ তুলে নেওয়ার আর্জি জানান উত্পলবাবু। দুই নেত্রীই সাফ জানিয়ে দেন, সরকার যত ক্ষণ না গঠনমূলক আলোচনার রাস্তায় আসছে, তত ক্ষণ অবরোধ চলবে। সন্ধ্যায় সরকারের মন্ত্রী ও আমলাদের সঙ্গে আলোচনার পর রেল পুলিশ সুপার ফের শর্মিষ্ঠাদেবীর কাছে আর্জি জানান, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি শ্রম কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে মীমাংসা সূত্র বের করা হবে। তার আগে অবরোধ তুলে নেওয়া হোক।
যদিও শর্মিষ্ঠাদেবী জানিয়ে দেন, কখন অবরোধ তোলা হবে সে বিষয়ে ১১টি শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাঁর কথায়, “এর আগে একাধিক বার বৈঠকে সরকার শুধু প্রতিশ্রুতিই দিয়েছে, কিন্তু আখেরে শ্রমিকদের কোনও লাভ হয়নি।”
এ দিন সকালে যখন অবরোধ শুরু হয়, তখন অবরোধকারীর সংখ্যা ছিল প্রায় একশো। তাঁদেরকে ঘিরে রেখেছিলেন প্রায় আড়াইশো পুলিশ কর্মী। তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন আরপিএফ,
জিরআরপি এবং ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। প্রত্যেকেই ছিলেন কার্যত নীরব দর্শক। রেলের যাত্রীরাই তখন প্রশ্ন তুলেছিলেন, এত পুলিশ থাকতেও অবরোধ চলে কী করে? সন্ধ্যা গড়িয়ে অবরোধ উঠলেও প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে এই প্রশ্নটাই উঠছে। |
আন্দামানে নৌকাডুবিতে মৃত ২১
সংবাদ সংস্থা |
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে নৌকাডুবিতে মৃত্যু হল ২১ যাত্রীর। রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ পোর্ট ব্লেয়ার সমুদ্র বন্দর থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে ভাইপার দ্বীপের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে খবর, অ্যাকোয়া মেরিন নামে ওই নৌকাতে ৪৫ জন যাত্রী ছিলেন। তামিলনাড়ু, চেন্নাই, মুম্বই ও কলকাতা থেকে একটি প্যাকেজ ট্যুরে আন্দামানে গিয়েছিলেন ওই যাত্রীরা। ওই দিন বিকেলে নৌকাতে রস আইল্যান্ড থেকে নর্থ বে-র উদ্দেশে যাচ্ছিলেন পর্যটকরা। কিন্তু তার আগেই এই বিপত্তি ঘটে। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ২১ জন। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা ও শিশু। স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসনের উদ্যোগে রবিবার রাতেই উদ্ধার করা হয় ১৬ জনকে। উদ্ধারকাজে নামে উপকূলরক্ষীবাহিনী। এই ঘটনার পরই নৌকার মালিককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডুবে যাওয়ার আগে নৌকায় বিস্ফোরণ হয়। তাঁদের অভিযোগ, দুর্ঘটনার এক ঘণ্টা পরে উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
|
উদ্ধারকাজে স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রশাসন। |
উদ্ধার হওয়া মৃতদেহ। |
|
ছবি: পিটিআই। |
সোমবার সকালে একটি দেহ উদ্ধার হয়। এঁদের বেশিরভাগই দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা। কী কারণে এই বিপত্তি ঘটল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে প্রশাসনের একটি সূত্রের খবর, নৌকাটিতে ২৫ জন যাত্রী বহন করার ক্ষমতা ছিল। কিন্তু তা তোয়াক্কা না করে বহন ক্ষমতার বেশি যাত্রী তোলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে ১৭ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। এঁদের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ঘটনাটি ‘দুর্ভাগ্যজনক’। নৌকায় কোনও লাইফ জ্যাকেট ছিল না। এমনকী কোনও ডুবুরি বা নজরদারি কর্মীরও দেখা মেলেনি। এ দিন একই কথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। তিনি বলেন, “ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।”
লেফটেন্যান্ট গভর্নর এ কে সিংহ এই দুর্ঘটনায় ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি, মৃতদের পরিবারের জন্য ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা। উদ্ধারকাজে সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। উদ্ধারকাজ-সহ সমস্ত বিষয়টিকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি পরিবারগুলিকে সব রকম সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
|
টুইটের খোঁচা আর যন্তরমন্তরে ধর্না, ‘আপ’ আছে দিল্লিতেই
নিজস্ব প্রতিবেদন |
সোমবার মসনদে বসার এক মাস পূর্তি। এর মধ্যেই দল থেকে বহিষ্কার করতে হল এক বিধায়ককে। বিক্ষুব্ধ বিনোদকুমার বিন্নি বহিষ্কৃত হওয়ায় আম আদমি পার্টি-র বিধায়ক সংখ্যা ২৮ থেকে এক কমে গেল। রবিবার সন্ধ্যায় আপ-এর শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি বিন্নিকে বহিষ্কার করে। এ দিন তিনি পুরনো দাবিদাওয়া নিয়ে যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসেছেন। যদিও পরে ধর্না তোলেন তিনি।
ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই আম আদমি পার্টি-র কোনও না কোনও ‘নেতা’ এমন কাণ্ড বাধাচ্ছেন যাতে সারা দেশের নজর দিল্লিতে গিয়ে পড়ছে। আইনমন্ত্রীর বিতর্কিত কার্যকলাপ, খোদ মুখ্যমন্ত্রীর ধর্নায় বসে পড়া, নেতৃত্বকে মিথ্যেবাদী বলে দল থেকে বহিষ্কার সব মিলিয়ে সরগরম দিল্লি।
সোমনাথ ভারতীকে নিয়ে বিতর্ক এখনও আপ-এর পিছু ছাড়েনি। এ দিন দিল্লির সচিবালয়ে সোমনাথের অপসারণ নিয়ে বিজেপি-র ৩২ জন বিধায়ক সরব হন। তাঁদের দু’টি দাবি, সংবিধানকে সম্মান করা এবং সোমনাথ ভারতীর অপরাসরণ। বিজেপি নেতা হর্ষ বর্ধনের নেতৃত্বে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু এত সবেও দমবার পাত্র যে তিনি নন, সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন সোমনাথ। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্ কালে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের ভাষণের কড়া জবাব দিয়েছেন তিনি। রাষ্ট্রপতি ওই দিন তাঁর ভাষণে কোনও রাজনৈতিক দলের নাম না করে বলেছিলেন, জনপ্রিয়তার নামে নৈরাজ্য প্রশাসনের বিকল্প হতে পারে না। এ দিন টুইটারে খোঁচা দিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে সোমনাথ জানতে চেয়েছেন, ‘যদি আপ-এর কার্যকলাপ নৈরাজ্যপূর্ণ হয়, তবে ১৯৮৪ বা ২০০২ সালের দাঙ্গাকে কী ভাবে ব্যখ্যা করবেন মাননীয় রাষ্ট্রপতি? বিক্ষোভ! এটি খুব ভাল রসিকতা।’ রাষ্টপতির ওই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কেজরিওয়াল অবশ্য জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত।
একে সোমনাথে রক্ষে নেই, তায় বিন্নি দোসর। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পর এ দিন ধর্নায় বসলেন দল থেকে বহিষ্কৃত বিন্নি। সম্প্রতি তিনি দলের কর্মসূচি নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তোলেন। এমনকী, দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধেও কথা বলেন সংবাদমাদ্যমের সামনে। শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বিন্নিকে দলের সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয় বলে ওই দিন আপ-এর তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়। যন্তরমন্তরে এ দিন বিন্নির ধর্নায় ‘আম আদমি’র অনেককেই দেখা গিয়েছে।
যদিও এ দিনের ধর্নার ইঙ্গিত বিন্নি বেশ কয়েক দিন আগেই দিয়েছিলেন। গত ১৬ জানুয়ারি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে ‘স্বৈরাচারী’ বলে কটাক্ষ করে বিন্নি জানিয়েছিলেন, আপ-এর বিরুদ্ধে সরব হলেও দল তিনি এখনই ছাড়বেন না। দলের দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলি ২৬ জানুয়ারির মধ্যে পূরণ না হলে তিনি অনশন আন্দোলনে বসবেন বলে ওই দিন হুমকিও দিয়েছিলেন আপ-এর ওই বিধায়ক। আপ-এর তরফে বিক্ষুব্ধ ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। নানা সমস্যায় কার্যত ‘ল্যাজে গোবর’-এ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী সে সব ‘দাবি’র প্রায় কোনওটাই পূরণ করতে পারেননি। ফলে বিন্নি যে এ দিন ধর্নায় বসবেন তা একপ্রকার জানতেন আপ-নেতৃত্ব। তাঁদের ধারণা, বিরোধীদের সমর্থনপুষ্ট হয়েই বিন্নি এ সব করছেন। তবে বিন্নি এ দিন জানিয়েছেন, আপ তাঁকে বহিষ্কার করলেও বিজেপি বা কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।
আম আদমি-র কথা ভাবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এলেও, সেই ক্ষমতাই যে তাঁকে প্রতিদিন একটু একটু করে প্যাচে ফেলছে, সে কথা বিলক্ষণ টের পাচ্ছেন কেজরিওয়াল।
|
নিজেদের থেকে পর্নোগ্রাফিক সাইট ব্লক করা সম্ভব নয়, সুপ্রিম কোর্টে জানাল আইএসপি-রা
সংবাদ সংস্থা |
সরকার বা কোর্ট থেকে আদেশ না পেলে তাদের পক্ষে পর্নোগ্রাফিক সাইট ব্লক করা সম্ভব নয় বলে সুপ্রিম কোর্টে জানাল ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার-দের(আইএসপি) সংগঠন। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে পর্নোগ্রাফিক সাইট ব্লক করা সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলায় তারা এই মতামত জানায়। বিচারপতি বি এস চৌহানের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চে মামলাটির শুনানি চলছে। এই সংগঠনের মতে কোর্ট বা যোগাযোগ মন্ত্রকের (ডিওটি) কোনও সুনির্দিষ্ট আদেশ ছাড়া পর্নোগ্রাফিক সাইট-এ নজরদারি চালানো বাস্তবিক নয় এবং তা প্রযুক্তিগত ভাবেও অসম্ভব। আইএসপি-রা ব্যবহারকারীকে শুধু ইন্টারনেটের সুবিধা দেয়। তারা ইন্টারনেটের জন্য কোনও কনটেন্ট তৈরি করে না। ফলে তাদের পক্ষে কোনও আদেশ বা আইন ছাড়া পর্নোগ্রাফিক সাইট ব্লক করলে তা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর মৌলিক অধিকার খর্ব করতে পারে বলেও তাদের আশঙ্কা। সুপ্রিম কোর্ট ডিওটি-কে এ প্রসঙ্গে তাদের মতামত জানাতে আরও তিন সপ্তাহ সময় দিয়েছে। |
|
|
|
|
|