হাসপাতালে থাকার কথা ৬ জন চিকিত্সক। রয়েছেন মাত্র ৪ জন। তাঁদের মধ্যে একজন বিএমওএইচ। প্রশাসনিক কাজকর্ম নিয়েই বেশির ভাগ সময় ব্যস্ত থাকতে হয় তাঁকে। বাকি ৩ জনের মধ্যে একজনকে অন্য হাসপাতালে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। ফলে, পরিষেবা বেহাল হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগেই শনিবার স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরানোর দাবিতে হাসপাতাল ঘেরাও করে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস। |
উত্তর মালদহের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম বেনজির নূরের নেতৃত্বে ওই বিক্ষোভ হয়। ছিলেন জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ মানজারুল ইসলাম সহ ব্লক কংগ্রেসের নেতারা। দু’ঘণ্টা ধরে চাঁচল-২ ব্লক হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পরে স্বাস্থ্যকর্তাদের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মালতিপুর হাসপাতাল থেকে চাঁচল হাসপাতালে বদলির নির্দেশ দেওয়া এক চিকিত্সককে ফের মালতিপুরে ফেরানো হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়। সাংসদের অভিযোগ, “পিছিয়ে পড়া এই এলাকার অধিকাংশই কৃষিজীবী ও গরিব মানুষ। হাসপাতালে কেউ সঠিক চিকিত্সা পান না। বেশির ভাগ রোগীকে রেফার করে দেওয়া হয়। প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ব্লক হাসপাতালেও প্রয়োজনীয় চিকিত্সক নেই। অথচ স্বাস্থ্যকর্তাদের হুঁশ নেই। সমস্যা না-মিটলে বড় আন্দোলন হবে।” চাঁচলের সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন বিশ্বাস জানান, জেলা জুড়েই চিকিত্সকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। তিনি বলেন, “মালতিপুর হাসপাতাল থেকে বদলি হওয়া চিকিত্সককে ফের সেখানে ফেরানো যায় কি না তা দেখা হচ্ছে।”
|
কম খরচে হৃদয়ের চিকিৎসা এ বার শ্রীরামপুরেও
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বেলুড়ের পরে শ্রীরামপুরের বেলুমিল্কির শ্রমজীবী হাসপাতালেও আজ, ২৬ জানুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে ‘আবার হৃদয় ছুঁয়ে’ প্রকল্প। ৬০ হাজার টাকায় হৃদপিণ্ডে স্টেন্ট বসানো বা বাইপাস সার্জারি এবং তার চেয়েও অনেক কম খরচে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি বা পার্মানেন্ট পেস মেকিং শুরু হবে শ্রমজীবীর ওই ইউনিটে। এ কথা জানিয়ে শ্রমজীবী স্বাস্থ্য প্রকল্পের তরফে ফণীগোপাল ভট্টাচার্য বলেন, “যে কোনও সরকারি হাসপাতালেও বুকে স্টেন্ট বসাতে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা খরচ হয়। অনেক কম খরচে হৃদরোগের বিভিন্ন চিকিৎসা হবে এখানে।” বছর ন’য়েক আগে বেলুড়ে শ্রমজীবী হাসপাতালে শুরু হয়েছিল ‘হৃদয় ছুঁয়ে’ প্রকল্প। মাত্র ২৫ হাজার টাকায় বাইপাস সার্জারি শুরু করে হইচই ফেলে দিয়েছিল ওই হাসপাতাল। বেলুমিল্কিতে হাসপাতাল তৈরি শুরু হয় ২০১১ সালে। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে। চালু হয়ে গিয়েছে দেড়শো শয্যার ইউনিট। বহির্বিভাগেও রোগী দেখা চলছে। হৃদপিণ্ডের জটিল অস্ত্রোপচারের জন্য তৈরি করা হয়েছে আধুনিক ‘ক্যাথ ল্যাব’ এবং কেনা হয়েছে আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। পঞ্চায়েত এলাকায় রাজ্যে এটাই প্রথম কোনও আধুনিক সুবিধাযুক্ত হাসপাতাল বলে ফণীবাবুর দাবি। |