হাতির হামলা জলপাইগুড়ি ও ডুয়ার্সের গ্রামে
নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা ও জলপাইগুড়ি |
একই রাতে হাতির হামাল ঘটনা ঘটল ডুয়ার্সের শামুকতলা এবং জলপাইগুড়িতে। শুক্রবার রাতে শামুকতলার ছিপরা জঙ্গল লাগোয়া ছোট চৌকিরবস গ্রামে বুনো হাতির দল হামলা চালায়। অন্য ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া বোদাগঞ্জে।
শুক্রবার রাতে একটি মাকনা হাতি ছোট চৌকিরবস গ্রামে ঢুকে কয়েক বিঘা জমির ফসল নষ্ট করেছে বলে জানা গিয়েছে। গত তিন রাতে একটি মাকনা হাতি তিনটি পরিবারের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ। হাতির ভয়ে গ্রামের একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে রাত কাটাচ্ছেন ওই তিন পরিবারের সদস্যরা। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (পূর্ব) বিভাগের উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা ভাষ্কর জেভি বলেন, “ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” দলছুট একটি বুনো হাতি বোদাগঞ্জের নোধাবাড়ি গ্রামে ঢুকে পাঁচটি পরিবারের ৯টি কাঁচা বাড়ি ভেঙে, ধান-চাল নষ্ট করার মতো সুপারি গাছও উপড়ে ফেলেছে। বৈকুণ্ঠপুর বন বিভাগের ডিএফও ধর্মদেব রাই এ দিন বলেন, “ক্ষতিগ্রস্তদের সকলকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” |
এক মাসে তৃতীয়বার গন্ডার হত্যা হল কাজিরাঙায়। তবে এবারই প্রথম প্রশিক্ষিত কুকুরের সাহায্যে এক সন্দেহভাজন শিকারিকে ধরা হয়েছে। বন বিভাগ সূত্রে খবর, গত কাল রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ বুড়াপাহাড় রেঞ্জের সুন্দরী বন শিবিরের কাছে গুলির শব্দ হয়। তল্লাশি চালিয়ে গন্ডারের একটি খড়্গহীন দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একে ৪৭ ও .৩০৩ রাইফেলের কার্তুজ মিলেছে। এরপরেই বনবিভাগ জোরবা নামে একটি প্রশিক্ষিত বেলজিয়াম ম্যালিওনিস কুকুরের সাহায্যে অভিযান চালায়। জোরবাকে অনুসরণ করে ঘটনাস্থলের ১৫ কিলোমিটার দূরে আমগুড়ি গ্রাম থেকে গ্রেফতার হয় এক সন্দেহভাজন শিকারি। রেঞ্জার জিনারাম বরদলৈ জানান, রত্ন গোয়ালা নামে ওই শিকারিকে জেরা করা চলছে। তবে খড়্গ এখনও উদ্ধার করা যায়নি। |
শিম্পাঞ্জি-কাণ্ডে ধৃত ব্যবসায়ী জেল হেফাজতে |
শিম্পাঞ্জি-কাণ্ডে গ্রেফতার বাগুইআটির সুপ্রদীপ গুহকে তিন দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিলেন বিচারক। শুক্রবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হলে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওই নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতে তাঁর আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী ও মহম্মদ মেহেবুবের দাবি, স্থানীয় পুরসভার ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই বিদেশি পশু-পাখি বেচা-কেনার ব্যবসা করছেন সুপ্রদীপবাবু। দক্ষিণ দমদম পুরসভা তরফে তাঁকে ওই লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে বলে জানান তাঁরা। তাঁদের দাবি, কোনও পাচারের সঙ্গে আদপেই জড়িত ছিলেন না সুপ্রদীপবাবু। তাহলে তাঁকে গ্রেফতার করা হল কেন? উত্তর মিলেছে শুল্ক দফতরের কাছে। শুল্ক কর্তারা দাবি করেছেন, বিদেশ থেকে পশু-পাখি আনার সময়ে প্রয়োজনীয় যে নথিপত্র শুল্ক দফতরের কাছে তাঁর পেশ করার কথা ছিল তা নিয়ম মেনে করেননি ওই ব্যবসায়ী। |