বন্দির ভিড় সামলাতে
তিনটি জেলা কারাগার
রাজ্যের অধিকাংশ জেলেই তিল ধারণের জায়গা নেই। ফলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকি বাড়ছে। সেই কারণে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে নতুন তিনটি জেল তৈরির সিদ্ধান্ত নিল কারা দফতর।
রাজ্যের সাধারণত তিন ধরনের কারাগার রয়েছে। মহকুমা, জেলা ও কেন্দ্রীয় কারাগার। কারা দফতর সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে রাজ্যের সব জেল মিলে ২০ হাজার বন্দি রাখার জায়গা রয়েছে। কিন্তু বন্দির সংখ্যা ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে। দফতরের এক কর্তা বলেন, “কেন্দ্রীয় কারাগারগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ বন্দিদের রাখা হয়। ফাঁসি ও যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া বন্দিরা সেখানে থাকেন। তাই ওই সব জেলে বন্দির ভিড় বাড়লে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়।”
কারা দফতরের কর্তারা জানান, ২৪ পরগনা জেলা ভাগ হয়ে উত্তর ও দক্ষিণ হওয়ার পর থেকে দু’টি জেলায় নতুন করে জেল তৈরি হয়নি। একই কথা খাটে মেদিনীপুর ভাগ হওয়ার পরে পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষেত্রেও। এ দিকে প্রেসিডেন্সি, দমদম, আলিপুর এবং মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে চাপ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কারা দফতরের হিসাব বলছে, আলিপুর জেলে ১৮০০ বন্দি থাকার কথা, রয়েছে ২২৮৭ জন। প্রেসিডেন্সিতে থাকার কথা ২০০০, রয়েছে ২৭৫৭ জন এবং দমদমে ২০০০-এর জায়গায় রয়েছে ৪৪৩৯ জন বন্দি। একই ভাবে মেদিনীপুরে ১৫০০ জন থাকার কথা থাকলেও রয়েছে ১৬৪৪ জন, বহরমপুরে ১৫০০-এর জায়গায় ৩৩৬৬ জন।
রাজ্যের কোন জেলে কত বন্দি রয়েছে, গত ডিসেম্বরে তার তালিকা তৈরি করেছে কারা দফতর। দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন জেলে বিচারাধীন বন্দির সংখ্যাই বেশি প্রায় ১৬ হাজার। এর মধ্যে মহিলা বিচারাধীন বন্দির সংখ্যা ১০২২ এবং পুরুষ বিচারাধীন বন্দির সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার। সাজাপ্রাপ্ত বন্দির সংখ্যা প্রায় ৬৫০০। কারা দফতরের এক কর্তা জানান, বাংলাদেশি বন্দির সংখ্যাও প্রায় ৬৫০। এঁদের আদালত বাংলাদেশে পাঠানোর নির্দেশ দিলেও তার ব্যবস্থা হয়নি। ফলে তাঁরা এখনও জেলেই রয়ে গিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবররাজ্যে মাওবাদীদের পাশাপাশি কেএলও জঙ্গিদের সক্রিয়তা বাড়ায় জেলের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত কারা প্রশাসন। ওই কর্তা বলেন, “প্রতি জেলেই অজস্র বাড়তি বন্দি। অথচ ৭০০ ওয়ার্ডার পদ খালি।” নিরাপত্তা বাড়াতে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সিসিটিভি ও ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম বসানো এবং কন্ট্রোল রুম তৈরির ভাবনা অবশ্য সরকারের রয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
কারামন্ত্রী হায়দর আজিজ সফি বলেন, “মেদিনীপুর এবং ২৪ পরগনা জেলা ভাগ হয়েছে। কিন্তু নতুন আর কোনও জেলা সংশোধনাগার তৈরি হয়নি। তাই তমলুক, বারুইপুর এবং বারাসতে নতুন জেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তমলুকে জমি পাওয়া গিয়েছে। বারুইপুরেও জমি রয়েছে। বারাসতে জমি খোঁজা হচ্ছে। জেল তৈরির জন্য সাত থেকে আট একর জমি দরকার। ৫০০ বন্দি রাখার মতো ব্যবস্থা থাকবে প্রতিটি জেলে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.