|
|
|
|
কর্তাদের প্রশ্নের মুখে আর্মান্দো |
শিল্ডের আগে চোট সমস্যায় ইস্টবেঙ্গল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ফেড কাপে ইস্টবেঙ্গলের ব্যর্থতার পর কোচ ও ফুটবলারদের কথা বলার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল ক্লাব। মঙ্গলবার এবং শুক্রবার শুধু মাত্র কোচ আর দলের অধিনায়ক কথা বলতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে। স্বভাবতই মুখে কুলুপ এডে চিডি-জেমস মোগাদের।
শনিবার অনুশীলনের পর কোচ আর্মান্দো কোলাসো জানিয়ে দিলেন, “আজকে কথা বলার দিন নয়। তাই বলতে পারব না। ক্লাব কর্তারা বারণ করেছেন।” এ দিকে নানা কারণে কোচ আর্মান্দো কোলাসোর ঘন ঘন বাড়ি যাওয়া নিয়েও বেশ বিরক্ত ক্লাব কর্তারা। শুক্রবার রাতে শহরে ফিরেছেন লাল-হলুদ কোচ। শনিবার সকালে অনুশীলনেও নেমে পড়েন। কিন্তু বিকেলে আর্মান্দোর সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন ফুটবল-সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য এবং ক্লাবের অন্যতম প্রধান কর্তা দেবব্রত সরকার। ছিলেন সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরিও।
সেখানেই আর্মান্দোর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তাঁর ঘন ঘন বাড়ি যাওয়ার কারণ। উত্তরে আর্মান্দো নাকি জানিয়েছেন, “গোয়ার বাইরে গিয়ে এই প্রথম কোনও ক্লাবে কোচিং করাচ্ছি। পরিবারকে ছেড়ে থাকার অভ্যাস নেই। তাই বোধহয় ‘হোম সিক’ হয়ে পড়ছি।” যে পেশাদারিত্ব দেখিয়ে গোয়ার কোচ কলকাতা লিগ জিতে যাওয়ার পর ডার্বি ম্যাচকে গুরুত্ব দেননি, তাঁর মুখে এ কথা বোধহয় বেমানান। এরই সঙ্গে আর্মান্দো নাকি কর্তাদের কথা দিয়েছেন এ রকম ঘটনা আর ঘটবে না। ফুটবল-সচিবও বললেন, “আর্মান্দো আমাদের কথা দিয়েছেন, এ ভাবে যখন-তখন আর বাড়ি যাবেন না। এখন ফেড কাপের ব্যর্থতা ভুলে আই লিগের জন্য ঝাঁপাতে চান তিনি।”
আই লিগের দ্বিতীয় পর্ব শুরুর আগে অবশ্য আইএফএ শিল্ড রয়েছে। ২৯ জানুয়ারি শিল্ডে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ। হাতে খুব বেশি সময়ও নেই। কিন্তু শিল্ড শুরুর আগে ফুটবলারদের চোট-আঘাতই বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মোগা, ওপারা, গুরবিন্দর, খাবরা, অভিজিতের চোট। মেহতাব এবং ভাসুমের চোট অবশ্য সেরে ওঠার পথে। এ দিন মেহতাব দলের সঙ্গে পুরো অনুশীলনই করেন, বাড়ি ফেরার আগে বলে গেলেন, “শিল্ডের একেবারে শুরুতে হয়তো খেলতে পারব না। তবে মনে হচ্ছে শেষের দিকে খেলতে সমস্যা হবে না।” |
|
|
|
|
|