চাল ও গমবোঝাই একটি মিনি ট্রাক আটক করল আউশগ্রাম থানার পুলিশ। সোমবার স্থানীয় অভিরামপুর থেকে ওই ট্রাকটি আটক করা হয়। পুলিশের অনুমান, রেশন দোকান থেকে খাদ্যশস্যগুলি অন্যত্র পাচার করা হচ্ছিল। জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “অজিত মণ্ডল নামে এক রেশন ডিলারের দোকান থেকে ওই চাল-গম পাচার হচ্ছিল বলে আমাদের সন্দেহ। তবে ওই ডিলার পালাতক। খাদ্য দফতরের স্থানীয় ইন্সপেক্টরকে ওই ঘটনার খোঁজ নিয়ে দোষিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে বলা হয়েছে।”
পুলিশ জানায়, ওই মিনি ট্রাকটিতে ১১ বস্তা চাল ও ৪০ বস্তা গম রয়েছে। প্রত্যেক বস্তায় ৫০ কিলোগ্রাম করে খাদ্যশস্য রয়েছে। একসঙ্গে এত চাল-গমের বস্তা দেখে স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ দ্রুত পৌঁছে ট্রাকটিকে আটক করে। আটক করা হয়েছে ওই ট্রাকের চালককেও।
জেলা খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, দু’সপ্তাহের বরাদ্দ গম একসঙ্গে দেওয়া হয়ছিল। এক শ্রেণির অসাধু রেশন ডিলার বেশ কিছু চাল-গম খোলা বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন বলে তাঁদের আশঙ্কা। জেলা খাদ্য নিয়ামক সাধনকুমার পাল বলেন, “ডিসেম্বরে পাঁচটি সপ্তাহ পড়ায় ঠিক হয়, এক সপ্তাহে রেশন দোকান থেকে এপিএল তালিকায় থাকা মানুষদের জন্য গম বিলি করা হবে না। পরে রাজ্যে খাদ্য দফতর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, ডিসেম্বরের যে সপ্তাহে গম দেওয়া হয়নি, তা জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে রেশন দোকানের মাধ্যমে দিতে হবে। তাই একসঙ্গে প্রায় ৫০০ মেট্রিক টন গম বিলি করা হচ্ছিল।” তবে এক সপ্তাহে গম না মেলায় পরের সপ্তাহে তা দ্বিগুন পরিমাণে দেওয়া হবে এই খবর অনেকেই পাননি বলে অভিযোগ। খাদ্য নিয়ামক অবশ্য এ কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, “এক সপ্তাহের বকেয়া গম যে জেলার সমস্ত রেশন দোকানে মিলবে সেই মর্মে আমরা সমস্ত বিডিওদের জানিয়েছিলাম। তবে ঘটনাটি সম্পর্কে খোঁজ না নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা সম্ভব নয়। স্থানীয় খাদ্য আধিকারিককে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।”
বিষয়টি নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “আউশগ্রামে ওই চাল ও গম পাচার করা হচ্ছিল বলেই খবর পেয়েছি। পুলিশকে মামলা করতে বলা হয়েছে। বুধবার রাজ্য খাদ্য দফতরের পরিদর্শক দল আউশগ্রামে যাবে। যারা এই পাচারে জড়িত তাদের কাউকেই ছাড়া হবে না।” |