ক্যামেরা, বুম হাতে তৈরি এক ঝাঁক মুখ। চার পাশে চাপা উত্তেজনা, গুঞ্জন। যে কোনও মুহূর্তে চলে আসতে পারেন সেলিব্রিটিরা। গোল্ডেন গ্লোব-এর লাল কার্পেটে হাঁটা তো আর যে সে ব্যাপার নয়! গোটা হলিউড ভেঙে পড়তে আর শুধু সময়ের অপেক্ষা। যাঁরা তারকাদের অপেক্ষায়, তাঁরাও কিন্তু কম নামজাদা নন। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা সব খ্যাতনামা সাংবাদিক।
গুঞ্জন খান খান করল ছোটখাটো একটা বিস্ফোরণ। বলা ভাল জল-বিস্ফোরণ। পাইপ ফেটে ফোয়ারার মতো বেরিয়ে এল নোংরা কালো জল। নিমেষে জল থই থই রেড কার্পেট। কেউ কেউ নাক টিপলেন। কেউ বা প্রাণান্তকর গন্ধের হাত থেকে রক্ষা পেতে নিরাপদ দূরত্বে ছুটলেন। আলোকচিত্রীদের মধ্যে অনেককেই অবশ্য দেখা গেল, ‘প্রাণ’ হাতে করে জল থই থই কার্পেটের ছবি তুলতে। তবে তাঁরাও ছবি তুলেই দে দৌড়। |
কালো জলে ভেসেছে লাল কার্পেট। সাফাইয়ে ব্যস্ত কর্মীরা।
সোমবার বেভারলি হিলসের গোল্ডেন গ্লোবে। ছবি: এএফপি। |
এক সাংবাদিকের কথায়, “লস অ্যাঞ্জেলেসে আজ বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল না। কিন্তু বেভারলি হিলসে ছোটখাটো একটা বন্যাই হয়ে গেল।” কেউ কেউ আবার মজা করে বললেন, “লোহিত সাগর।” অনেকে আবার তাঁদের দূরদৃষ্টি দিয়ে বিচার করে বললেন, আর একটু পরে পাইপ-বিস্ফোরণ ঘটলে কী কী বিপত্তি ঘটতে পারত “লম্বা গাউন পরে নোংরা জলে দাঁড়িয়ে রয়েছেন নায়িকা-গায়িকারা।”
‘বন্যাবিধ্বস্তদের’ বাঁচাতে কিছু ক্ষণের মধ্যেই ছুটে আসে বেভারলি হিলসের দমকল বাহিনী। তার পর চলে সাফাই পর্ব। কর্মকর্তাদের তরফে বলা হয়েছিল, অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র থেকেই এই বিপত্তি। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, আগুন নেভানোর স্প্রিঙ্কলারে তো আর নোংরা জল থাকতে পারে না! বেভারলি হিলস হোটেলের তরফে যদিও ঘোষণা করা হয়েছে, রেড কার্পেটের কাছের স্প্রিঙ্কলারটাতেই গণ্ডগোল ছিল।
ঘণ্টা খানেকের প্রচেষ্টার পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সাফাই যজ্ঞের পর দেখা যায়, এক জায়গায় কার্পেট ছিঁড়ে গিয়ে ভিতরের ইটের রাস্তা বেরিয়ে এসেছে। তবে তড়িঘড়ি সবটা সামলে নেয় দমকল বাহিনী। নির্ধারিত সময়েই কার্পেটে প্রবেশের পথ খুলে দেওয়া হয় তারকাদের জন্য। ঝাঁ চকচকে পোশাক, ক্যামেরার ঝলকানি আর সুগন্ধীতে তখন ম ম করছে চার দিক। কে বলবে মাত্র কিছু ক্ষণ আগেই ঘটে গিয়েছে গন্ধ-বিপর্যয়! |
স্বামী বিবেকানন্দের সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে বনগাঁয় নানা অনুষ্ঠান |
ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক। |
স্বামী বিবেকানন্দের সার্ধ শতবর্ষ উপলক্ষে বনগাঁর খয়রামারির স্বামীজি স্পোর্টিং ক্লাবে দু’দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আসরে উপস্থিত ছিলেন বহু মানুষ। ছিল প্রভাতফেরি, স্থিরচিত্র প্রদর্শনী। উপস্থিত ছিলেন বেলঘরিয়া মঠের স্বামী বলদেবানন্দ মহারাজ। ছিল পথ শিশুদের নিয়ে তৈরি মছলন্দপুরের সংস্থা ইমন মাইম সেন্টারের মূকাভিনয়। সঙ্গীত পরিবেশন করেন রিম্পা কপাট, সমার্পণ রায় ও শ্যাম খ্যাপা। শেষ অনুষ্ঠানে সঙ্গীতে অংশ নেন অর্জুন খ্যাপা ও মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়। |
|
ছবির প্রচারে মাধুরী দীক্ষিত। সোমবার আমদাবাদে। ছবি: পিটিআই। |
|