টাটকা খবর
ফের চলন্ত ট্রেনে আগুন, মহারাষ্ট্রে মৃত ৯
দশ দিনও কাটল না, ফের চলন্ত ট্রেনে আগুন লেগে মারা গেলেন এক মহিলা-সহ ৯ জন যাত্রী। অন্ধ্রপ্রদেশের পর এ বার মহারাষ্ট্র। ঠানে জেলার দহানু রোড স্টেশনের কাছে মঙ্গলবার গভীর রাতে মুম্বই-দেহরাদূন এক্সপ্রেসের তিনটি কামরায় আগুন লাগে। দমকল এবং রেলকর্মীদের প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তিনটি ভষ্মীভূত কামরা বিচ্ছিন্ন করে ট্রেনটি ফের দেহরাদূনের উদ্দেশে রওনা হয়।
পুড়ে যাওয়া মুম্বই-দেহরাদূন এক্সপ্রেস। ছবি সৌজন্য: এবিপি আনন্দ।
পশ্চিম রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শরৎ চন্দ্র বুধবার সকালে জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে এক জন মহিলা এবং চার জন পুরুষ রয়েছেন। বাকিদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি। রেল সূত্রে খবর, মুম্বই থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার দূরে গুজরাত সীমানা লাগোয়া দহানু রোড স্টেশন পেরনোর পর ওই দিন রাত পৌনে তিনটে নাগাদ রেলের এক গেটম্যান জ্বলন্ত ট্রেনটিকে দেখতে পান। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনের গার্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগুনের কথা জানান তিনি। গার্ড সে কথা চালককে জানালে ঘোলওয়াড় হল্টের কাছে ট্রেনটিকে দাঁড় করানো হয়। দমকল এবং রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
চন্দ্র জানিয়েছেন, ট্রেনের যাত্রীরা তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। প্রথমে এস-৪ কামরায় আগুন লাগে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে এস-২ এবং এস-৩ কামরায়। মৃতদের মধ্যে সাত জনই ওই এস-৪ কামরার। বাকি দু’জন এস-২ কামরায় ছিলেন। এই ঘটনায় চার জন গুরুতর জখম হয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। দমকল দেরিতে এসেছে বলে ট্রেনের যাত্রীরা অভিযোগ করেন। রেলের তরফে সেই অভিযোগ স্বীকার করে নিয়ে চন্দ্র জানান, দুর্ঘটনাস্থলের সঙ্গে সড়ক পথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না হওয়ায় এই দেরি।
অগ্নিদগ্ধ কামরা। ছবি: এএফপি।
রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অরুণেন্দু কুমার এ দিন বলেন, “রেলমন্ত্রী মল্লিকার্জুন খার্গে এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।” তদন্তের নির্দেশ দিয়ে রেলমন্ত্রী দুর্ঘটনায় মৃত ব্যক্তিদের পরিবার পিছু এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা এবং আহতদের এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। চেয়ারম্যান বলেন, “রেলওয়ে সেফটি কমিশনার এই দুর্ঘটনার তদন্ত করবেন।”
ওই গেটম্যান সতর্ক না করলে আরও ভয়াবহ বিপর্যয় হতে পারত বলে এ দিন মন্তব্য করেন পশ্চিম রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক। একই সুরে ওই গেটম্যানের প্রশংসা করেন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীররঞ্জন চৌধুরী।
কিন্তু কী ভাবে আগুন লাগল ওই ট্রেনে?
শরৎ চন্দ্র জানিয়েছেন, যান্ত্রিক কোনও ত্রুটির কারণে ওই আগুন লাগেনি বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে।
গত ২৮ ডিসেম্বর বেঙ্গালুরু-নান্দেড় এক্সপ্রসে আগুন লেগে ২৬ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। তার রেশ না কাটতেই এ দিনের দুর্ঘটনা রেলের যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলল।
যাত্রী সহায়তায় রেলের হেল্পলাইন নম্বর:
০২২-২৩০১১৮৫৩, ২৩০০৭৩৮৮

অগ্নিগ্রাসে রেল
কবে কোথায় ট্রেনের নাম মৃত
২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৫ রাজনন্দগাঁও, মধ্যপ্রদেশ প্যাসেঞ্জার ৫০
১৬ এপ্রিল ১৯৯০ পটনা, বিহার প্যাসেঞ্জার ৭০
৬ জুন ১৯৯০ গোল্লাগুড়া, অন্ধ্রপ্রদেশ প্যাসেঞ্জার ৩৫
১০ অক্টোবর ১৯৯০ চেরলাপল্লি, অন্ধ্রপ্রদেশ প্যাসেঞ্জার ৪০
২৬ অক্টোবর, ১৯৯৪ লোটাপাহাড়, বিহার মুম্বই-হাওড়া মেল ২৭
১৪ মে, ১৯৯৫ সালেম, তামিলনাড়ু মাদ্রাজ-কন্যাকুমারী এক্সপ্রেস ৫২
১৫ মে, ২০০৩ লুধিয়ানা, পঞ্জাব গোল্ডেন টেম্পল মেল ৪০
১ অগস্ট, ২০০৮ ওয়ারাঙ্গল, অন্ধ্রপ্রদেশ গৌতমী এক্সপ্রেস ৩২
২২ নভেম্বর, ২০১১ পারসনাথ, ঝাড়খণ্ড হাওড়া-দেহরাদূন এক্সপ্রেস
৩০ জুলাই, ২০১২ নেল্লোর, অন্ধ্রপ্রদেশ নিউদিল্লি-তামিলনাড়ু এক্সপ্রেস ৩৫
২৮ ডিসেম্বর, ২০১৩ কোতাচেরুভু, অন্ধ্রপ্রদেশ বেঙ্গলুরু-নান্দেড় এক্সপ্রেস ২৬
আগুন লাগলেও প্রাণহানি হয়নি
কবে কোথায় ট্রেনের নাম
১৮ অগস্ট, ২০০৬ সেকেন্দরাবাদ, অন্ধ্রপ্রদেশ চেন্নাই-হয়দরাবাদ এক্সপ্রেস
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ জাজপুর, ওড়িশা করমণ্ডল এক্সপ্রেস
১৮ এপ্রিল, ২০১১ মুম্বই-দিল্লি রাজধানীএক্সপ্রেস রতলাম, মধ্যপ্রদেশ
১২ জুলাই, ২০১১ নিউদিল্লি নিউদিল্লি-পটনা রাজধানী এক্সপ্রেস

পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী
ঝাড়গ্রামে ৫২টি সরকারি প্রকল্প উদ্বোধনের পাশাপাশি ১২টি প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার এই পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জঙ্গলমহল বিবেক চেতনা উৎসব এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন।
গত কয়েক মাস ধরে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে সরকারি উদ্যোগে ‘জঙ্গলমহল কাপ’ চলছিল। প্রায় ১৭০০ ক্লাব এই ফুটবল খেলায় অংশ নেয়। এ দিনের অনুষ্ঠানে ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রায় ৩০ হাজার খেলোয়াড় উপস্থিত ছিলেন।
ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী। ভিড়ে ঠাসা স্টেডিয়াম।
বিভিন্ন জেলায় জঙ্গলমহল কাপে জয়ী সংশ্লিষ্ট দলগুলিকে পুরস্কৃত করেন মুখ্যমন্ত্রী। ফাইনালে হেরে যাওয়া ক্লাবের হাতেও পুরস্কার তুলে দেন তিনি। বিভিন্ন খেলায় কৃতীদের পুরস্কৃত করেন মমতা। খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করতে এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন ফুটবল তারকা সুব্রত ভট্টাচার্য, গৌতম সরকার, বিদেশ বসু প্রমুখ। ফুটবলের পাশাপাশি তিরন্দাজি এবং কবাডি প্রতিযোগিতায় জয়ী খেলোয়াড়দের পুরস্কৃত করে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “আমি শুরু করলাম। এর পর ধরে রাখতে হবে আপনাদের।” মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই সমস্ত খেলোয়াড়কে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে ভাল করে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের আরও খেলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তিনি ক্রীড়ামন্ত্রীকে অনুরোধ করবেন। জঙ্গলমহলের খেলোয়াড়দের মান উন্নততর করতে ক্রীড়া দফতর যাবতীয় ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। এ দিনের অনুষ্ঠানে জঙ্গলমহলের ওই ১৭০০ ক্লাবকে ফের ২৫ হাজার করে টাকা অনুদান দেওয়াও হবে বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ছবি: দেবরাজ ঘোষ।

ভিড়ে-ভরা ধর্মতলায় প্রবল আক্রমণাত্মক সিপিএম
ব্রিগেড সমাবেশের ঠিক এক মাস আগে কলকাতায় বড় জন সমাগম করে দেখাল সিপিএম। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের ডাকে ‘ধর্মতলা অভিযান’-এ বুধবার বেশ কয়েক ঘণ্টার জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল মধ্য কলকাতা। সুন্দরবন ঘেঁষা হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি থেকে শুরু করে কাঁচরাপাড়া পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাড়ি, বাস এবং ট্রেনে ধর্মতলায় ভিড় জমিয়েছিলেন সিপিএম সমর্থকেরা। তার সঙ্গে এ বারই প্রথম লোক আনতে নৌ-বাহিনী ব্যবহার করল সিপিএম। গৌতম দেবের জেলার সিপিএম নেতৃত্বের পরিকল্পনামাফিক এ দিন বরাহনগর এবং আশেপাশের এলাকা থেকে ৪১টি নৌকায় লোক এসেছিল বাবুঘাট এবং প্রিন্সেপঘাটে।
সিপিএমে’র মিছিলে কার্যত অবরুদ্ধ ধর্মতলা চত্বর। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
লোকসভা ভোটের আগে ভরা সমাবেশ দেখে উৎসাহিত সিপিএম নেতৃত্ব স্বভাবতই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর চড়িয়েছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বর্তমান রাজ্য সরকারকে ‘সমাজবিরোধীদের সরকার’ বলে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তাঁর কথায়, “এই সরকারকে সমাজবিরোধীদের সরকার বলতে আমরা বাধ্য হচ্ছি। পাড়ায় পাড়ায় সাধারণ মানুষ না গুন্ডা সমাজবিরোধী, কাদের কথা শোনা হবে, এই নিয়ে লড়াই চলছে। সমাজবিরোধীরা বুঝে গিয়েছে তারা যা খুশি করতে পারে। কেউ কিছু বলার নেই। এ জিনিস বেশি দিন চলতে পারে না!” শিল্প না হওয়া, বেহিসাবি টাকা খরচের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র কটাক্ষও করেছেন বুদ্ধবাবু। তাঁর বক্তব্য, “শুধু উৎসব আর উৎসব। রোজ শুধু বিজ্ঞাপন আর বিজ্ঞাপন। কোথা থেকে আসছে এই টাকা! কার টাকায় হেলিকপ্টার চাপছেন! হিসেব আমরা নেব। সব হিসেব এক দিন দিতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের যখন তখন প্রকাশ্যে অপদস্থ হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক গৌতমবাবু। আমলাশোলে গিয়ে মঞ্চ বাঁধার জন্য বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপর যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন, সেই প্রসঙ্গ তুলেছেন গৌতমবাবু। তাঁর প্রশ্ন, “পুলিশ প্রসাসন তার নিজের কাজ করবে। যে প্রশাসনকে দিয়ে আপনি সিপিএমকে মারছেন, তারই শীর্ষ ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে অপমান করছেন! এ ভাবে কী সরকার চলে!”

আম আদমি-র সদর দফতরে হামলায় ধৃত ১
কৌশাম্বিতে বুধবার আম আদমি পার্টি-র সদর দফতরে হামলা চালানোর অভিযোগে হিন্দু রক্ষা দলের সর্বভারতীয় আহ্বায়ক পিঙ্কি চৌধুরীকে সাহিবাবাদ থেকে গ্রেফতার করল গাজিয়াবাদ পুলিশ। আপ-এর তরফে অভিযোগ করা হয়, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ দলের সদর দফতরে হামলা চালায় জনা চল্লিশেক দুষ্কৃতীর একটি দল। সেই সময় কার্যালয়ে কয়েক জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ফুলের টবের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি কাচের দরজা ভেঙে ফেলা হয়। দলের পোস্টারও ছিঁড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ করেন আপ নেতৃত্ব। তবে এই ঘটনায় কেউ জখম হননি।
গাজিয়াবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, আপ-এর দফতরে বসানো সিসিটিভি-র ফুটেজ পরীক্ষা করে পিঙ্কিকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। এই ঘটনায় আরও এক জনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকেও গ্রেফতার করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক।
গ্রেফতার হওয়ার পর পিঙ্কি চৌধুরী বলেন, “কাশ্মীর প্রসঙ্গে আপ নেতা প্রশান্ত ভূষণ যে মন্তব্য করেছেন, আমরা তার বিরোধী। বাটলা-র ভুয়ো সংঘর্ষ নিয়ে কেজরিওয়াল যা বলেছেন আমরা তারও বিরোধী।” এ দিনের হামলা এই বিরোধীতার জায়গা থেকেই করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। অন্য দিকে এই ঘটনার জেরে নিরাপত্তারক্ষী নিতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য দিল্লি হাইকোর্টে একটি আবেদন জমা পড়েছে। আইনজীবী অনুপ অবস্থির করা এই আবেদন নিয়ে বিচারপতি বি ডি আহমেদ এবং বিচারপতি সিদ্ধার্থ মৃদুলের বেঞ্চে এ বিষযে খুব শীঘ্রই শুনানি হবে। অবস্থি বলেন, “ভারতের বহু নেতাকে আমরা আক্রান্ত হতে দেখেছি। এমনকী, অনেক নেতাকে প্রাণেও মেরে ফেলা হয়েছে। দিল্লিবাসীর হয়ে আমি আদালতে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক এই আবেদন করেছি।”
তবে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে মোটেও ভাবিত নন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বরং নিজের থেকে তিনি সরকারকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই বেশি উদ্যোগী। রামলীলা ময়দানে গত ২৮ ডিসেম্বর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার সময় অরবিন্দ কেজরিওয়াল দুর্নীতি রুখতে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি টোল-ফ্রি নম্বরের কথা উল্লেখ করেছিলেন। এ দিন তিনি সেই নম্বরটি সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করেন: ০১১-২৭৩৫৭১৬৯। রাজ্য সরকারের যে কোনও দফতর সম্পর্কে নাগরিকদের কেনও অভিযোগ থাকলে এই নম্বরে জানানো যাবে বলে জানিয়েছেন কেজরিওয়াল।
এ দিকে সূত্রের খবর, বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী মল্লিকা সারাভাই আম আদমি পার্টি-তে যোগ দেবেন। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মল্লিকা গাঁধীনগর কেন্দ্র থেকে বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর বিরুদ্ধে লড়েছেন। কিন্তু হেরে যান। তবে আপ-এর তরফে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

এ বারও লিগ লাল-হলুদের

ইস্টবেঙ্গল-২ : কালীঘাট এমএস-০
তিন মাসেই কেল্লা ফতে! কলকাতায় আসার পরে বুধবারই প্রথম খেতাব জয়ের স্বাদ পেলেন ময়দানের প্রথম গোয়ান কোচ আর্মান্দো কোলাসো।
এ দিন নিজেদের মাঠে কালীঘাট এমএসকে ২-০ হারিয়ে ২০১৩-১৪ মরসুমের কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে গেল সুয়োকা-চিডিদের ইস্টবেঙ্গলে। এই নিয়ে পর পর চার বার। সব মিলিয়ে ৩৫ বার কলকাতা লিগ জয়ের খেতাব পেল ইস্টবেঙ্গল। গত সোমবার মোহনবাগান-মহমেডানের সঙ্গে ড্র করায়, বুধবার ড্র করলেই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত ইস্টবেঙ্গল। ২৩ মিনিটে সুবোধ কুমারের থেকে বল পেয়ে জেমস মোগা আগুয়ান কালীঘাট এমএস গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে লব করে দলকে ১-০ এগিয়ে দিতেই শুরু হয়ে যায় লিগ জয়ের উত্‌সব।
দলীয় সমর্থকদের মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের চিডি। ছবি: উত্পল সরকার।
কলকাতা লিগে এটি মোগার ষষ্ঠ গোল। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর জন্য ঝাঁপিয়েছিল আর্মান্দো কোলাসোর দল। এই সময় বেশ কিছু সহজ সুযোগ নষ্ট করে লাল-হলুদ ব্রিগেড। লোবো-জোয়াকিমদের একের পর এক আক্রমণে কালীঘাট রক্ষণ যখন দিশাহারা তখনই মোগাকে তুলে চিডিকে নামান লাল-হলুদ কোচ। নামার পরেই ডান প্রান্তে পরিবর্ত হিসেবে নামা তুলুঙ্গার বাড়ানো বল থেকে ২-০ করে লাল-হলুদ সমর্থকদের উত্‌সব আরও জোরাল করেন চিডি। অতিরিক্ত সময়ে সুয়োকা পেনাল্টি মিস না করলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। এ দিনের জয়ের ফলে ১০ ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট দাঁড়াল ২৮। সমসংখ্যক ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট ২২। ফলে শনিবারের কলকাতা ডার্বি আপাতত নিয়মরক্ষার হয়ে দাঁড়াল।

বাবার পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করবে না বলে মালদহে আত্মহত্যার চেষ্টা তরুণীর

পছন্দের পাত্রের সঙ্গে না দিয়ে অন্যত্র জোর করে বিয়ে দেওয়ায় হস্টেলের ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করল এক তরুণী। মালদহ মহিলা মহাবিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ওই ছাত্রীর নাম বিলকিস জাহান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৈষ্ণবনগর থানার শিমুলপুরের বাসিন্দা ওই তরুণী কুট্টিতলায় মুসলিম গার্লস হস্টেলে থাকতেন। পরিবারের লোকজন সম্প্রতি তার বিয়ের ঠিক করেন। সেই মতো গত ২৬ ডিসেম্বর ওই ছাত্রীর আশীর্বাদও হয়ে যায়। ইতিমধ্যে ওই তরুণীর বাবা-মা জানতে পারেন মেয়ের অন্যত্র সম্পর্ক রয়েছে। এ দিন সকালে তাঁরা মেয়েকে হস্টেল থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসেন। হস্টেল থেকে বেরিয়ে প্রায় ৫০ মিটার এগোতেই বাবা ইউসুফ আলির হাত ছাড়িয়ে বিলকিস দৌড়ে ফের সেখানেই ঢুকে যায়। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই উপর থেকে কিছু পড়ে যাওয়ার জোরালো শব্দে ইউসুফ তাকিয়ে রক্তাক্ত মেয়েকে দেখতে পান। প্রতক্ষদর্শী এক ছাত্রী জানিয়েছে, হস্টেলে ঢুকে বিলকিস সোজা তিনতলায় চলে যায়। সেখান থেকেই নীচে ঝাঁপ দেয় সে।
আহত ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, “আমাদের পছন্দ করা পাত্রকে বিয়ে করবে না বলেই এমন কাণ্ড ঘটাল মেয়ে।” জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তার অমতে বাবার পছন্দের পাত্রের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল বলে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ওই তরুণী।

রাজধানীতে পাথর ছুড়ে হামলা বিহারে

বুধবার বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ বিহারের গোমো ও আলিগড় স্টেশনের মধ্যে দিল্লি থেকে আপ হাওড়ামুখী রাজধানী এক্সপ্রেসের একটি বাতানুকুল কামরায় পাথর ছুড়ে হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। পূর্ব রেল সুত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি-হাওড়া মেন লাইনে চলন্ত ট্রেনে এই হামলার ফলে এসি টু টিয়ার কামরাটির একটি জানলার কাচ ভেঙে যায়। ট্রেনটি থেমে গেলে কামরায় থাকা আরপিএফ কর্মীরা অভিযুক্তদের পিছু ধাওয়া করেন। কিন্তু তারা নিরাপত্তা কর্মীদের নাগাল এড়িয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এর ফলে ট্রেনটি প্রায় আধ ঘণ্টা দেরিতে হাওড়ায় পৌঁছয়।

অন্ধ্রে আত্মসমর্পণ শীর্ষ মাও নেতার
অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের কাছে বুধবার সস্ত্রীক আত্মসমর্পণ করলেন শীর্ষ মাওবাদী নেতা গুড়সা উসেন্ডি ওরফে জিভিকে প্রসাদ। তিনি মাওবাদীদের ছত্তীসগঢ়ের দণ্ডকারণ্য শাখার স্পেশ্যাল জোনাল কমিটির মুখপাত্র ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। অন্ধ্র পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত ২৫ বছর ধরে আত্মসমর্পণকারী ওই নেতা মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। আদতে অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়ারাঙ্গাল জেলার বাসিন্দা ওই নেতার মাথার দাম ধরা হয়েছিল ২০ লক্ষ টাকা।

জঙ্গি শিবিরে গুলি পুলিশকে
শিবির থেকে তিন জন সদস্য নিখোঁজ হয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছিল মেঘালয়ের গারো জঙ্গি সংগঠন এএনভিসি (বি)। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনার তদন্তে দু’জন নিরস্ত্র পুলিশকর্মী ওই জঙ্গি শিবিরে গেলে তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়। জঙ্গিদের গুলিতে জখম হয়ে দু’জনই হাসপাতালে ভর্তি। নিরাপত্তাবাহিনীর হানার ভয়ে শিবির পুড়িয়ে দিয়ে পালিয়েছে জঙ্গিরা।
পশ্চিম গারো হিলের এসপি মুকেশকুমার সিংহ জানান, এএনভিসি (বি)-র এডেনবারি শিবিরের তরফে সম্প্রতি চাঁদমারি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করা হয়, বর্ষবরণের রাতে তাদের সংগঠনের দুই মহিলা ও এক পুরুষ নিখোঁজ হয়েছে। এএনভিসি (বি)-র সন্দেহ ছিল, বিপক্ষ দলের জঙ্গিরা তিন জনকে অপহরণ করেছে।
ঘটনার তদন্তে সাব-ইনস্পেক্টর স্টারসন সাংমা ও হেড কনস্টেবল চিত্তরঞ্জন বনাই সিআরপি জওয়ানদের সঙ্গে ওই জঙ্গি শিবিরে যান। সিআরপি দরজার বাইরে ছিল, দুই পুলিশকর্মী নিরস্ত্র অবস্থায় শিবিরে ঢোকেন। প্রবেশপথে তাঁদের সেখানে যাওয়ার কারণও জানানো হয়েছিল। কিন্তু, শিবিরে ঢোকার পর জঙ্গিরা তাঁদের ঘিরে হেনস্থা করতে থাকে। দু’জনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। স্টারসনের মাথায় ও চিত্তরঞ্জনের হাতে গুলি লাগে। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঘটনার পরে পুলিশবাহিনী ওই শিবিরে হানা দেয়। পুলিশ পৌঁছনোর আগেই জঙ্গিরা শিবিরের একাংশ পুড়িয়ে, গুলি ও রক্তের দাগ লোপাট করে শিবির ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের হত্যার চেষ্টা-সহ অন্য ধারায় ফৌজদারি মামলা রুজু করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওই শিবিরটি সরকার স্বীকৃত ছিল না। সেখান থেকে একটি গুলিভরা পিস্তল, ১৪টি নকল একে ৪৭ রাইফেল ও বহু ধনুক, বিষ মেশানো তীর উদ্ধার হয়।

ব্যাঙ্ক লুঠেরা ধৃত
এটিএম-এর সামনে থেকে লুঠ হওয়া ৬৬ লক্ষ টাকার মধ্যে ২৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার বুধবার করল ইটানগর পুলিশ। ধরা পড়ল দুই লুঠেরাও। পুলিশ জানায়, গত ২০ ডিসেম্বর ইটানগরে একটি ব্যাঙ্কের এটিএম-এ টাকা ভরতে যাওয়া ব্যাঙ্ককর্মীদের কাছ থেকে ৬৬ লক্ষ টাকা লুঠ করে পালায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ইটানগর ও নিরজুলি থেকে ব্যাবাং পুনুং ও গুরাং আজব নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের কাছ থেকে ২৩ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়ি, পাঁচটি মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, অরুণাচল বেকার যুব সংগঠনের সভাপতি ব্যাবাং। আজব অস্থায়ী নিরাপত্তাকর্মী। এ দিকে, মঙ্গলবার অরুণাচলের ইয়াচুলিতে গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শাখায় হানা দেয় সশস্ত্র ডাকাতদল। গ্রাহকদের মারধর করে, ব্যাঙ্ককর্মীদের একটি ঘরে বন্ধ করে ৭ লক্ষ টাকা নিয়ে পালায় তারা।

বিষে পরিযায়ী পাখির মৃত্যু
জলাশয়ে বিষ দেওয়ায় ব্রহ্মপুত্রের তীরে অনেক পাখির মৃত্যু হয়েছে। সেগুলির মধ্যে রয়েছে কয়েকটি পরিযায়ী পাখিও। ঘটনাটি ঘটেছে যোরহাটে। পশুপ্রেমীরা জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্রের কাছে বরচরোলা বিলে শীতকালে হাজার-হাজার পাখি আসে। স্থানীয় পাখি শিকারিরা বিলের জলে বিষ মেশানোয় রাত থেকেই পাখিদের মড়ক শুরু হয়। মৃত পাখিদের মধ্যে রয়েছে মুরহেন, টিল। বুধবার সকালে শিকারিরা অনেক পাখির দেহ নিয়ে পালিয়েছে। অন্য দিকে, শোণিতপুরের বিশ্বনাথ চারিয়ালিতে চোরাশিকারিরা একটি গন্ডারকে গুলিতে জখম করে। বিহপুখুরিতে কাজিরাঙার ষষ্ঠ সংযোজন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

গুয়াহাটিতে তিব্বত সংস্কৃতির উৎসবে দলাই লামা
গুয়াহাটিতে হতে চলেছে তিব্বতি সংস্কৃতির উৎসব। তিব্বত সরকারের সাংসদ কর্মা ইয়েসি বুধবার জানান, ফেব্রুয়ারির ২ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত শ্রীমন্ত শঙ্করদেব কলাক্ষেত্রে ওই উৎসব হবে। সেই উপলক্ষে গুয়াহাটিতে একটি জনসভায় হাজির হবেন দলাই লামা। কর্মা এ দিন জানান, ১৯৫৯ সালে তিব্বত থেকে অরুণাচল পালানোর পথে গুয়াহাটি ছুঁয়ে গিয়েছিলেন দলাই লামা। তার পর, তাওয়াং-এ সভা করলেও গুয়াহাটিতে আসেননি তিনি। রবীন্দ্র ভবনে একটি শান্তি সমাবেশেও অংশ নেওয়ার কথা দলাইয়ের। উৎসবের উদ্ধোধন করবেন অরুণাচলের পর্যটনমন্ত্রী পেমা খাণ্ডু। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে থাকবেন তিব্বত সরকারের প্রধানমন্ত্রী লবসাং সাংগে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.