টাটকা খবর |
উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করবে আমলাশোল, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • বেলপাহাড়ি |
অনাহার নয়, উন্নয়নের জোয়ার আসুক আমলাশোলে। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর প্রথম আমলাশোল সফরে এই ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্কুল ও কলেজ গড়ার পাশাপাশি তিনি এ দিন এলাকার মানুষকে উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করার অনুরোধও জানান। কী ভাবে এই অঞ্চলের উন্নয়ন করা যেতে পারে সে বিষয়ে এলাকার মানুষকেই পরিকল্পনা তৈরি করে তাঁর কাছে জমা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিন পরিষেবা প্রদান এবং কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলপাহাড়ির আমলাশোলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী।
গ্রামীণ এলাকায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য এ দিন এখান থেকে ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েতে একযোগে নতুন রাস্তা তৈরির সূচনা করেন তিনি। ‘ফার্ম নেট’ নামের এই প্রকল্পে রাজ্যের ৩৩৪৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতে এক কিলোমিটার করে কংক্রিট রাস্তা (অল ওয়েদার রাস্তা) তৈরি করা হবে। পাশাপাশি তৈরি হবে আরও চারটি করে রাস্তা। সব মিলিয়ে এই প্রকল্পে প্রায় ১৬ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে রাজ্য জুড়ে। গ্রামবাসীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, “এই রাস্তা তৈরির ফলে পুরুলিয়া এবং ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ বাড়বে।”
এলাকায় কোনও মাধ্যমিক স্কুল নেই, প্রায় ৫-৬ কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। এ কথা শোনার পর মুখ্যমন্ত্রী গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করেন, খুব তাড়াতাড়ি আমলাশোলে একটি স্কুল তৈরি করবে রাজ্য সরকার। শুধু তাই নয়, ছাত্রছাত্রীদের যাতে আর শিলদার কলেজে না যেতে হয় সে জন্য আমলাশোল-কাঁকড়াঝোর এলাকায় একটি কলেজও তৈরি করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। ১০০ দিনের কাজের প্রশংসা করে এ দিন তিনি বলেন, “অনেকে ৯৫ দিন কাজ পেয়েছেন, কেউ বা ৮৫ দিন। তবে যাতে খাবারের অসুবিধা না হয়, সে জন্য সরকার আপনাদের ২০০ দিনের কাজ দিতেও রাজি।”
অনাহারের কারণে সংবাদ শিরোনামে আসা আমলাশোলে এর আগে তিনি বিরোধী নেত্রী হিসেবে এসেছিলেন। সে কথা মনে করিয়ে এ দিন তিনি বলেন, “এখন আমলাশোলে ২টাকা কিলো দরে চাল মানুষের খাদ্য সুরক্ষা ফিরিয়েছে।” অনাহার না থাকলেও উন্নয়ন যে এখনও অনেক বাকি সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মমতা। তিনি এ দিন জানিয়েছেন, স্কুল-কলেজ নেই, রয়েছে পানীয় জলের সমস্যা। যেখানে যেমনটা দরকার সরকার সে মতোই কাজ করবে। জেলাশাসক থেকে শুরু করে বিডিও, এমনকী, থানার আইসি-দেরও মাঝেমাঝে গ্রামে আসার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনের কর্তাদের বলেন, “আপনাদের দায়িত্ব নিয়ে গ্রামে যেতে হবে। হৃদয় দিয়ে সাহায্য করতে হবে গ্রামবাসীদের।”
তবে এলাকার উন্নয়নের জন্য তিনি গ্রামবাসীদের উপরই পরিকল্পনার দায়িত্ব দিয়েছেন। ১৫ দিনের মধ্যে প্রত্যেকটি ব্লক থেকে ১০ জন করে মহিলা ও পুরুষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে এক জন অতিরিক্ত জেলাশাসককে উন্নয়নের রূপরেখা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, “এলাকার উন্নতি কীসে হবে, তা আপনাদের থেকে ভাল কেউ জানে না। নিজেরাই পরিকল্পনা করুন, কী ভাবে এলাকায় ব্যবসা বাড়ানো যায়, কী ভাবে চাকরির সম্ভাবনা বাড়তে পারে, পর্যটনকেন্দ্র গড়তে কী কী পদক্ষেপ করা উচিত, সব আপনারাই ঠিক করুন। সেই পরিকল্পনা লিখিত ভাবে আমাকে পাঠান। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সব কাজ করার চেষ্টা করা হবে।”
জঙ্গলমহলে যেন আর রক্ত না ঝরে সে কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী দিনে আমলাশোল সারা দেশকে পথ দেখাবে। তিনি বলেন, “আপনাদের মধ্যেই মুক্তির আলো আছে।” পাশাপাশি তিনি ১৮ বছরের আগে মেয়েদের বিয়ে না দেওয়ার অনুরোধ করে বলেন, “মেয়েরা কবে বিয়ে করবে সেটা ওদের ঠিক করতে দিন।”
আমলাশোল থেকে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রাম পৌঁছন। সেখানে বুধবার প্রশাসনিক সভার পাশাপাশি কন্যাশ্রী মেলার উদ্বোধন করবেন তিনি।
|
অশোক গঙ্গোপাধ্যায়ের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করলেন রাজ্যপাল
সংবাদ সংস্থা
|
রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার রাজভবনে গিয়ে তিনি রাজ্যপালের কাছে ইস্তফা পত্র জমা দিয়ে আসেন বলে সূত্রের খবর। মঙ্গলবার অশোকবাবুর ইস্তফা পত্র গ্রহণ করেন রাজ্যপাল। এ দিন রাজ্য সরকারকে রাজভবন সূত্রে এই খবর জানানো হয়।
|
জলপাইগুড়িতে নিস্তেজ চিতাবাঘ পিটিয়ে মারল গ্রামবাসীরা
নিজস্ব সংবাদাদাতা • মালবাজার |
বনকর্মীদের সামনেই নিস্তেজ একটি চিতাবাঘকে পিটিয়ে মারল ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার সকালে জলপাইগুড়ি জেলার মূর্তি নদী লাগোয়া ধূপঝোরার জয়ন্তী ভিলেজে এই ঘটনা ঘটে। এ দিন সকালে এক পর্যটক এবং দু’জন গ্রামবাসীকে আক্রমণ করে ওই বাঘটি। খবর পেয়ে বনকর্মীরা এসে ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে কাবু করেন তাকে। নিস্তেজ অবস্থায় বাঘটিকে গাড়িতে তোলার সময় উত্তেজিত জনতা লাঠি-ভোজালির আঘাতে বাঘটিকে মেরে ফেলে। |
|
|
ধূপঝোরার বিট অফিসে মৃত চিতাবাঘ (বাঁ দিকে)। গলার কাছে রয়েছে ভোজালির কোপ। —নিজস্ব চিত্র। |
|
এ দিন সকাল ছ’টা নাগাদ স্থানীয় অতীন রায়ের বাড়ি লাগোয়া একটি বাঁশঝাড়ের ভেতর বিশাল আকারের ওই পুরুষ চিতাবাঘটিকে দেখা যায়। সেখান থেকে আধ কিলোমিটার দূরেই মূর্তি নদী। তার ওপারে গরুমারার জঙ্গল। বনকর্মীদের ধারণা, জঙ্গল থেকে বাঘটি নদী পেরিয়ে গ্রামে ঢুকে পড়েছিল। বাইরে তখন ঘন কুয়াশা। কিন্তু, বাঘ বেরিয়েছে এই খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় জমতে শুরু করে। ঝোপের আড়ালে থাকলেও বাইরে থেকে তাকে লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। রেগে গিয়ে স্থানীয় ভ্যানচালক সিরাজুল ইসলামকে আক্রমণ করে বাঘটি। ভিড়টা একটু হালকা হতেই আফজল হোসেন নামের অন্য এক গ্রামবাসীর বাড়ির পাশের ঝোপে গিয়ে গা ঢাকা দেয় সে। সেখানেও ফের ভিড় জমে যায়। ইট-পাটকেল-ঢিল ছোড়াছুড়ি চলতেই থাকে। বাঘটি এর পর শানিক ওঁরাও নামে আর এক জনকে আক্রমণ করে।
পর্যটন কেন্দ্র হওয়ায় এই এলাকায় প্রচুর রিসর্ট রয়েছে। ডুয়ার্সে এখন ভরা মরসুম। প্রায় সব রিসর্টই পর্যটকে ভরা। তাঁদেরই এক জন উৎসাহী হয়ে চিতাবাঘটির ছবি তুলতে গেলে হঠাৎই সে ওই যুবকের দিকে ধেয়ে যায়। তাঁর হাতে চিতাবাঘটির নখের আঁচড় লাগে। আহতদের মালবাজার মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তাঁদের আঘাত খুব একটা গুরুতর নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
বনকর্মীদের কাছে খবর গেলে তাঁরা ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন। ইতিমধ্যে বাঘটি ঝোপঝাড় ছেড়ে আফজলের গোয়ালে ঢুকে পড়ে। যদিও সেখানে কোনও গবাদি পশু ছিল না। বনকর্মীরা নিশানার মধ্যে পেয়ে বাঘটিকে ঘুম পাড়ানি গুলি ছোড়েন। ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়ে সে।
চিতাটিকে যখন গাড়িতে তুলছিলেন বনকর্মীরা, তখন শতাধিক গ্রামবাসী আচমকাই লাঠিসোটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে চিতাটির উপর। বেধড়ক পেটানো হয় নিস্তেজ বাঘটিকে। এমনকী, ভোজালি দিয়ে বাঘটির গলাতেও কোপ দেওয়া হয়। তার মাথা প্রায় আলাদা হয়ে যায় দেহ থেকে। গ্রামবাসীর তুলনায় বনকর্মীর সংখ্যা যথেষ্ট কম হওয়ায় তাঁরা কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি।
এই ঘটনার পর জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণ বিভাগ ২-এর ডিএফও সুমিতা ঘটক এ দিন বলেন, “বাঘটিকে কোনও কারণ ছাড়াই মেরে ফেলা হয়েছে। ৬-৭ জন বনকর্মীর পক্ষে ওই বিপুল সংখ্যক গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো অসম্ভব ছিল। তবে, কয়েক জন গ্রামবাসীকে আমরা চিহ্নিত করেছি। দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।” চিতাবাঘটির দেহ প্রথমে ধূপঝোরার বিট অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য তাকে গরুমারায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছেন সুমিতাদেবী।
|
ভালই আছেন সুচিত্রা সেন
নিজস্ব সংবাদাদাতা |
মঙ্গলবার নতুন করে সুচিত্রা সেনের শারীরিক অবস্থার আর কোনও অবনতি হয়নি। তাঁর হৃদস্পন্দনের গতি এবং রক্তচাপ আপাতত স্বাভাবিক রয়েছে বলে এ দিন হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়েছে। বুকের কফ বের করতে ফিজিওথেরাপি চলছে। এ দিন দুপুরে তাঁকে হাল্কা খাবার দেওয়া হয়। তবে এখনও বিপদমুক্ত নন মহানায়িকা। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়লেও মাঝে মাঝে তা নেমে যাওয়ায় কখনও কখনও তাঁকে নন-ইনভেসিভ ভেন্টিলেটরে রাখা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
|
ফের কলকাতা বিমানবন্দরে আটক সোনা
নিজস্ব সংবাদদাতা |
লুকিয়ে সোনা পাচারের আরও এক অভিনব পদ্ধতির প্রয়োগ দেখা গেল কলকাতা বিমানবন্দরে।
এ বার নতুন ‘ফ্ল্যাট স্ক্রিন’ টেলিভিশন-এর ভিতরে মাদার বোর্ডে আঠা দিয়ে পাঁচটি ছোট ছোট সোনার বিস্কুট লাগিয়ে নিয়ে এলেন এক যাত্রী! শুল্ক অফিসারদের কাছে আগে থেকেই খবর পৌঁছেছিল। ওই যাত্রীকে চিহ্নিত করে প্রথমে তাঁকে আটকানো হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা ৪২ ইঞ্চি টিভির এক্স-রে করিয়ে তার খোলনলচে খুলে ফেলতেই বেরিয়ে পড়ে সোনা। এর আগে টর্চের ব্যাটারির ভিতরে, কোমরের বেল্টে খাপ বানিয়ে, ট্রলি ব্যাগের চাকার তলায় লুকিয়ে, ব্যাগের ভিতরে লুকানো কুঠুরিতে সোনা নিয়ে যাওয়ার সময় চোরাকারবারীরা ধরা পড়েছেন। এমনকী বেশ কিছু ক্ষেত্রে পায়ুদ্বারের ভিতরেও সোনা লুকিয়ে আনার ঘটনা ঘটেছে।
কলকাতা বিমানবন্দরের শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, সোমবার গভীর রাতে তাই এয়ারওয়েজের উড়ানে চেপে ব্যাঙ্কক থেকে এই টিভি নিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন পঞ্জাবের বাসিন্দা তেজেন্দর সিংহ সচদেব। তাঁর টিভির মাদার বোর্ডে আটকানো ছিল ছোট ছোট পাঁচটি সোনার বিস্কুট। সব মিলিয়ে ৪০০ গ্রাম সোনা। সোনার মূল্য ২০ লক্ষ টাকার কম হওয়ায় সেই সোনা বাজেয়াপ্ত করে তেজেন্দরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরে মঙ্গলবার সকালে ব্যাঙ্কক থেকে জেট এয়ারওয়েজের উড়ানে কলকাতার তিন বাসিন্দা শহরে নামার পরে তাঁদেরও আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে সবমিলিয়ে ৩০০ গ্রাম সোনার গয়না পাওয়া গিয়েছে। তাঁদের ওই গয়নাও বাজেয়াপ্ত করে যাত্রীদের ছেড়ে দিয়েছে শুল্ক দফতর। |
বাংলাদেশের নির্বাচন হতাশাজনক, মত রাষ্ট্রপুঞ্জ ও আমেরিকার
সংবাদ সংস্থা |
বাংলাদেশে নির্বাচনকে ঘিরে সংঘর্ষ ও ২১ জনের প্রাণহানির বিষয়ে মঙ্গলবার দুঃখপ্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব বান কি-মুন। হিংসাত্মক নির্বাচনের জন্য দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করতেও পিছপা হননি তিনি। এ দিন এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জের মুখপাত্র ফারহান হক জানান, বাংলাদেশের রাজনৈতিক হানাহানি নিয়ে মহাসচিব খুবই উদ্বিগ্ন। নির্বাচনে প্রাণহানির প্রসঙ্গ তুলে তিনি এ দিন বলেন, “মহাসচিব মনে করেন, এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। হিংসাকে কখনই মেনে নেওয়া যায় না। রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকলে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হত। ফলাফলও হত অভূতপূর্ব।” হক আরও জানান, মহাসচিব চান বাংলাদেশে শান্তির বাতাবরণ ফিরিয়ে আনতে রাজনৈতিক দলগুলি আলোচনায় বসুক। দেশবাসীকে স্বাধীন ভাবে তাঁদের মত প্রকাশের সুযোগ করে দেওয়া হোক। দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে রাষ্ট্রপুঞ্জের পক্ষ থেকে সব রকম সহযোগিতা করা হবে বলেও জানিয়েছেন হক।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে এ দিন হতাশা প্রকাশ করল আমেরিকা। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলি ‘অস্বচ্ছ নির্বাচন’-এর অভিযোগ তোলায় বিষয়টি সরকারের পুনর্বিবেচনা করা উচিত। কেন না, এই নির্বাচনে অধিকাংশ আসনেই কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে।
বিরোধীরা এই নির্বাচনকে ‘বিতর্কিত ও অস্বচ্ছ’ যা-ই বলুক, দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই ফের সরকার গড়ার পথে আওয়ামি লিগ। তবে মঙ্গলবারও সংঘর্ষে মৃত্যু হয় ৫ জনের। ভোটের দিন থেকে এ নিয়ে মোট ৩১ জনের প্রাণহাণি হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। এ দিন সকালে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামি লিগের সংঘর্ষে নৃত্যু হয় তিন জনের। আহত হন প্রায় ১০ জন। ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় বিএনপি-র মুখ্য সচেতক জইনুল আবদিন ফারুক-সহ সাত নেতাকে। |
কুয়াশার কারণে দেরিতে চলছে উত্তর ভারতগামী ট্রেন
সংবাদ সংস্থা |
|
ছবি: পিটিআই। |
কুয়াশার কারণে মঙ্গলবার উত্তর ভারতগামী ট্রেনগুলির উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। রেল সূত্রে খবর, এ দিন প্রায় ৪৭টি ট্রেন সময়সূচির পরিবর্তন করা হয়। দিল্লিগামী সমস্ত রাজধানী এক্সপ্রেস ৩-৪ ঘণ্টা দেরিতে চলছে। এর মধ্যে রয়েছে বেঙ্গালুরু, বিলাসপুর, ভুবনেশ্বর, হাওড়া, শিয়ালদহ, গুয়াহাটি ও পটনা-রাজধানী এক্সপ্রেস। অন্যান্য যে ট্রেন দেরিতে চলছে তার মধ্যে রয়েছে চেন্নাই-দুরন্ত ও শিয়ালদহ-দুরন্ত এক্সপ্রেস। উত্তর রেল জানিয়েছে, রেওয়া এবং শিবগঙ্গা এক্সপ্রেস যথাক্রমে আট ও পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে চলছে। কুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতে সমস্ত দূরপাল্লার ট্রেনকে নির্দিষ্ট গতিতে চালানোর নির্দেশ দিয়েছে রেল।
|
গোয়ায় ভেঙে পড়া বহুতল নিয়ে সরব রাজ্য মানবাধিকার কমিশন
সংবাদ সংস্থা |
গোয়ায় বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় সোমবার রাতে গ্রেফতার হয়েছেন নগর পরিকল্পনা বিভাগের এক শীর্ষ আধিকারিক। প্রকাশ বান্দোরকর নামে ওই ব্যক্তি ডেপুটি টাউন প্ল্যানার হিসাবে কাজ করতেন। ২০১০ সাল থেকে ক্যানকোনা শহরে নির্মাণ কাজের সঙ্গে জড়িত তিনি। তবে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার অজয় দেশাই-সহ নির্মাণ সংস্থার ৩ ডিরেক্টর এখনও পলাতক। পুলিশ এঁদের বিরুদ্ধে আগেই এফআইআর দায়ের করেছিল। মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিক্কর সোমবার জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বান্দোরকর এই বহুতল নির্মাণের অনুমতি দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, গোয়ার মানবাধিকার কমিশন মঙ্গলবার রাজ্যের মুখ্য সচিবকে এ বিষয়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি, নিরাপত্তার স্বার্থে ভেঙে পড়া বহুতল সংলগ্ন আরও তিনটি বাড়ি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। বুধবার থেকে এই সব বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হবে বলে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জানান। তিনি আরও জানিয়েছেন, বহুতলের পরিকাঠামোই দুর্বল ছিল। এটি ভেঙে পড়ায় পাশের তিনটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফের যাতে কোনও রকম দুর্ঘটনা না ঘটে সে কারণে ওই বাড়িগুলি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ৫ জানুয়ারি ক্যানকোনা শহরে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় ১৭ জনের। আহত হন আরও অনেকে।
|
কাশ্মীরে পুলিশ-জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত ১ পুলিশকর্মী
সংবাদ সংস্থা |
কাশ্মীরের সোপোরে সোমবার পুলিশ-জঙ্গি সংঘর্ষে নিহত হলেন হলেন এক পুলিশকর্মী, আহত হন আরও ৩ জন। চানাখান অঞ্চলে একটি বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে ২-৩ জন জঙ্গি, এ দিন সকালে গোপন সূত্রে এই খবর পায় পুলিশ। সেনাবাহিনীর সঙ্গে ওই অঞ্চলে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে জঙ্গিরা। আহত হন চার পুলিশকর্মী। তাঁদের শ্রীনগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালেই মারা যান এক এএসআই। জঙ্গিদের ধরতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় স্পেশ্যাল অর্গানাইজেশন গ্রুপ (এসওজি), রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও সিআরপিএফ-এর জওয়ানরা। ঘিরে ফেলা হয় গোটা অঞ্চল। |
|