|
|
|
|
বিক্ষোভে রক্তাক্ত মিশর, হত ১৭
|
সংবাদ সংস্থা • কায়রো
৪ জানুয়ারি |
বিক্ষোভ-প্রতিবাদ-সংঘর্ষে ফের রক্তাক্ত মিশর। দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, মুরসি-সমর্থক এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ষাটেরও বেশি। প্রশাসনিক কর্তাদের একাংশের দাবি, দু’মাসের মধ্যে এমন অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি দেখেনি মিশর।
তবে ইতিহাস এটাও বলছে, মহম্মদ মুরসি গদিচ্যুত হওয়ার পর থেকে নিয়মিত সংঘর্ষ হয়েছে মিশরে। কিন্তু ডিসেম্বরের শেষের দিকে মুসলিম ব্রাদারহুডকে জঙ্গি সংগঠনের তকমা দেওয়ার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হতে থাকে। যা চরমে পৌঁছয় এই শুক্রবার। মুরসি-সমর্থকদের দাবি, জানুয়ারি মাসে নয়া সংবিধান নিয়ে যে গণভোটের ঘোষণা করেছিল সরকার, তা সম্পূর্ণ ভাবে ব্রাদারহুড-বিরোধী। সংবিধানের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ শুরু করেন মুরসি-সমর্থকরা।
পুলিশ জানিয়েছে, গত কালের সংঘর্ষে রাজধানী কায়রোতেই ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়োমে তিন জন, আলেকজান্দ্রিয়ায় দু’জন এবং উত্তর মিশরের ইসমালিয়া এবং মিনিয়ায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। অবশ্য প্রথম দিকে এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সশস্ত্র ছিল না। কিন্তু প্রশাসনের দাবি, মুরসি-সমর্থকরা আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে লড়াই শুরু করেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনও তাই কড়া।
কাল কায়রোর কর্নিক সড়কের উপর প্রায় তিনশো ব্রাদারহুড সমর্থক জড়ো হন। তাতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। বিক্ষুব্ধ জনতা পাথর ছুড়ে তার জবাব দেয়। তা ছাড়া, আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্র মিছিলেও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। আবার গিজার ফয়জল জেলায় পুলিশের গাড়ির দিকে বিস্ফোরক ছুড়ে তাতে আগুন লাগিয়ে দেন প্রতিবাদকারীরা। প্রাণ বাঁচাতে শেষমেশ গুলি ছুড়তে হয় পুলিশকে। আলেকজান্দ্রিয়ার বিক্ষোভও কাল ভয়াবহ রূপ নেয়।
কাল মিশরে ১২২ জন ব্রাদারহুড সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তবে জুলাই মাসে মুরসি গদিচ্যুত হওয়ার পর থেকেই ব্রাদারহুডের বহু নেতা জেলে। তাতে কিছুটা যেন স্তিমিত হয়ে পড়েছিল মুরসি-সমর্থকদের বিক্ষোভ। শুক্রবারের সংঘর্ষের পর সেই বিক্ষোভ ফের নতুন করে শুরু হবে কি না, সময়ই বলবে।
|
নগ্ন করে তল্লাশির ভিডিও ভুয়ো, দাবি
সংবাদ সংস্থা • ওয়াশিংটন
৪ জানুয়ারি |
ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানী খোবরাগাড়েকে নগ্ন করে তল্লাশি চালানো হচ্ছে, এমনই এক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভিডিওটি ভুয়ো বলে শনিবার দাবি করলেন মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মারি হর্ফ। তিনি জানিয়েছেন, দেবযানীর দেহ তল্লাশির সিসিটিভি ফুটেজ বলে যেটা প্রকাশিত হয়েছে সেটা আদৌ সেই ছবি নয়। বরং ভয়ঙ্কর ও উস্কানিমূলক ভিডিওটি পুরোপুরিই বানানো। এক মহিলাকে নগ্ন করে তাঁর দেহ তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখছেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা মার্কিন মার্শাল অফিসাররা। আর ভয়ে চিৎকার জুড়েছেন ওই মহিলা। এ রকমই ভিডিও দেখা গিয়েছে কিছু খবরের ওয়েবসাইটে। কিন্তু কোথা থেকে ভিডিওটা পাওয়া গিয়েছে, তার উল্লেখ তারা করেনি বলে অভিযোগ। |
|
|
|
|
|