টাটকা খবর
আস্থা ভোটে জয় কেজরিওয়ালের
আস্থা ভোটে ‘পাশ’ করলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বৃহস্পতিবার দিল্লি বিধানসভায় ৩৭-৩২ ভোটের ব্যবধানে আস্থা ভোটে জিতলেন তিনি। এর ফলে আপাতত আগামী ছ’মাসের জন্য আম আদমি পার্টির (আপ) হাতেই রইল দিল্লির মসনদ। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে বৃহস্পতিবার আস্থাভোটে মুখোমুখি হয় কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন সরকার। ৭০ আসন বিশিষ্ট দিল্লি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে ন্যূনতম ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন দরকার ছিল। আম আদমি পার্টিকে বাইরে থেকে সমর্থন করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। তবে এই সমর্থন নিয়ে দলে মতানৈক্য ছিল। এ দিনের অধিবেশনে আপের পক্ষে তাঁদের ২৮ জন বিধায়ক ছাড়াও কংগ্রেসের সাত জন ভোট দেন। কংগ্রেসের এক জন বিধায়ক স্পিকারের দায়িত্ব সামলানোয় তিনি ভোট দেননি। বাকি দু’টি ভোটের একটি দেন জেডিইউ-এর বিধায়ক। অন্য ভোটটি দেন দিল্লির একমাত্র নির্দলীয় বিধায়ক। বিজেপির ৩১ জন বিধায়ক ছাড়াও অকালি দলের এক জন বিধায়ক আস্থাভোটে আপের বিপক্ষে ভোট দেন। বিধানসভায় ভাষণে অরবিন্দ বলেন, ‘‘আমি এখানে আস্থাভোটে জিততে আসিনি। আমি দিল্লিবাসীকে এটাই দেখাতে এসেছি রাজনীতিকে পরিচ্ছন্ন করতে কত জন আপের পক্ষে আছে।’’
গত ২৮ ডিসেম্বর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন ‘আম আদমি’ অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বিনামূল্যে জল দেওয়া থেকে শুরু করে বিদ্যুতের মাশুল কমানো— মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নতুন ইনিংসের শুরু থেকেই প্রতিশ্রুতি রাখার পথে হাঁটছেন কেজরিওয়াল। বিজেপি বা কংগ্রেস ‘রাজনৈতিক চমক’ আখ্যা দিলেও এই পদক্ষেপগুলিকে স্বাগত জানিয়েছে দিল্লিবাসী। বিদ্যুতের মাসুল কমিয়ে ভর্তুকি বাড়াবার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে টাটা পাওয়ারের মতো প্রথম সারির শিল্পগোষ্ঠীও।

নবান্নে পুলিশের হাতে প্রহৃত সাংবাদিকেরা
ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে নবান্নে পুলিশের হাতে প্রহৃত হলেন সাংবাদিকেরা। বৃহস্পতিবার নবান্নে ‘প্রশাসনিক ক্যালেন্ডার’-এর প্রকাশ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের ছবি তোলার জন্য ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েক জন চিত্রগ্রাহক এগিয়েও যান। কিন্তু পরের চিত্রগ্রাহকেরা ঢুকতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এখান থেকেই শুরু হয় বচসা। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে মাথা ফাটে একটি দৈনিক সংবাদপত্রের এক সাংবাদিক ও এক চিত্র সাংবাদিকের। আহত হন আরও অনেকে। ঘটনার পরেই রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানান সাংবাদিকেরা। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে হাওড়ার পুলিশ কমিশনারেটের ডিএসপি পদমর্যাদার দু’জন অফিসারের বিরুদ্ধে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মুখ্যসচিব ও পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল।
নবান্নে বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন ও মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অন্য মন্ত্রীরা। ছবি: প্রদীপ আদক।
নবান্নে সাংবাদিকদের উপরে পুলিশি মারের তীব্র নিন্দা এসেছে বিরোধী পক্ষ বামফ্রন্টের তরফে। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেছেন, “পুলিশের একাংশের মাথায় পেটাই মানসিকতা ঢুকে গিয়েছে! নিমতলা শ্মশানে নির্যাতিতা কিশোরীর দেহ দাহ করার চেষ্টার সময় পুলিশ কিছু প্রতিবাদকারীদের পেটাই করেছিল বুধবার। পরের দিন নবান্নে সাংবাদিকদের উপরে আক্রমণ হল। অথচ মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপালের ওই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকেরা তো রবাহুত হয়ে যাননি!” বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের বক্তব্য, “খুবই নিন্দনীয় ঘটনা! রাজ্যপাল যে হেতু নিজেই মুখ্যসচিবকে বলেছেন, আশা করি সরকার ব্যবস্থা নেবে। যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ঘটনার কড়া নিন্দা করে কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার বক্তব্য, “এই পুলিশ এমন হয়েছে যে, ডেকে আনতে বললে বেঁধে আনে! বেঁধে আনতে বলে মেরে কপাল ফাটিয়ে আনে!”

মধ্যমগ্রামের ধর্ষিতার প্রতি সমবেদনা জানাল রাজ্য সরকার
রাজ্য সরকারের অস্বস্তি এড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। মধ্যমগ্রাম কাণ্ডে ধর্ষিতার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে নির্যাতিতার পরিবারকে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। দেহ নিয়ে রাজনীতিরও তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘সকল অভিযুক্ত ধরা পড়েছে। আইনানুগ তাদের কঠোরতম শাস্তির আবেদন জানাবে সরকার।’’ কিশোরির চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযাগ উড়িয়ে গিয়েছেন তিনি।
তবে এই ঘটনায় ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্য সরকারের। পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করে এবং তদন্তের অগ্রগতি জানতে বুধবারই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মমতা শর্মা। বৃহস্পতিবার ধর্ষিতার পরিবারকে এক লক্ষ টাকা সাহায্য করার কথা ঘোষণা করেছে বিহার সরকার। তদন্তের অগ্রগতি জানতে রাজ্যে আসছেন বিহার পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা। ধর্ষিতার পরিবার ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেবেন তিনি। ধর্ষিতার পরিবারকে এক লক্ষ টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএম-ও।

পাহাড়ের সামগ্রিক উন্নয়নে জোর জিটিএ প্রধান গুরুঙ্গের
পৃথক গোর্খাল্যান্ড নয়, দার্জিলিং পাহাড়ের সামগ্রিক উন্নয়নে আরও গতি আনার কথা বলে গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ)-এর প্রধান হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন বিমল গুরুঙ্গ। সম্প্রতি দ্বিতীয় দফায় ‘চিফ’ হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে বৃহস্পতিবার সদর দফতর লালকুঠিতে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকের পরে গুরুঙ্গ এ কথা জানান। তিনি বলেন, “দার্জিলিঙের বাসিন্দারা উন্নয়ন চান। বাসিন্দাদের ইচ্ছেকে মর্যাদা দিতেই ফের জিটিএ-র দায়িত্ব নিয়েছি। এখন অন্য কোনও দিকে বেশি মাথা ঘামাতে চাই না। আপাতত পাহাড়ের সামগ্রিক উন্নয়নে গতি আনাই আমার লক্ষ্য। রাজ্যের সঙ্গে মিলেও সব কাজ হবে। পুরো পশ্চিমবঙ্গ একটি পরিবারের মতো এক সঙ্গে কাজ করবে।”
ছবি: রবিন রাই।
সেই সঙ্গে ধস নেমে প্রায় চার বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে থাকা দার্জিলিঙের ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক সংস্কার করে খোলার আর্জি নিয়ে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পাঁচ মাস আগে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলনে সময় দেওয়ার কথা জানিয়ে জিটিএ প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মোর্চা সভাপতি। কিন্তু, ঘরে-বাইরে নানা চাপের মুখে সম্প্রতি দ্বিতীয় দফায় জিটিএ-এর প্রধানের পদে বসার সিদ্ধান্ত নেন গুরুঙ্গ। সম্প্রতি কলকাতায় রাজভবনে তিনি শপথ গ্রহণ করেন।
তবে প্রয়োজন মতো পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবি নিয়ে যে দলীয় কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে তা-ও তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “প্রয়োজন মতো কেন্দ্রীয় সরকারের উপর চাপ তৈরি করা হবে। তবে আপাতত দার্জিলিং এবং বাসিন্দাদের উন্নয়নেই জিটিএ কাজ করবে।”

মুর্শিদাবাদে অধীর-দুর্গে ফের ভাঙন ধরাল তৃণমূল
মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের জমি দুর্বল করার প্রয়াস অব্যাহত রাখল তৃণমূল।
অধীর-দুর্গে আঘাত হানার কাজ তৃণমূল শুরু করেছিল মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে নিজেদের দলে টেনে। সেই ধারাতেই দলত্যাগ করে বৃহস্পতিবার তৃণমূলে যোগ দিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের তিন সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদের এক সদস্য, তিন জন কর্মাধ্যক্ষ-সহ খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির এবং ওই ব্লকের তিন প্রধান-সহ চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কয়েক জন সদস্য।
ওই কংগ্রেসত্যাগীদের এ দিন তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বাগত জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়। এই দলত্যাগকে কেন্দ্র করে এ দিন তৃণমূল ভবন ছিল সরগরম। দলত্যাগী জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের সঙ্গে তাঁদের অনুগামী অসংখ্য মানুষ এসেছিলেন তৃণমূল ভবনে। ভিড়ের বহর দেখে দলে যোগদানের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া ভবনের চাতালেই সারতে হয় মুকুলবাবুদের। মুর্শিদাবাদের সঙ্গে বর্ধমানের কালনার সিপিআই (এমএল)-এর এক জন পদাধিকারী-সহ সংগঠনের বেশ কয়েক জন নেতা-কর্মীও এ দিন তৃণমূলে যোগ দেন।
লোকসভা ভোটের আগে এই দলত্যাগে মুর্শিদাবাদে তৃণমূল শক্তিশালী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মুকুলবাবু। তিনি বলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের তিন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, নির্মল দত্ত এবং মফিজুদ্দিন মণ্ডল দলত্যাগ করে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। এতে নিশ্চিত করেই মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধি হবে।” রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী কিন্তু ওই ব্যাখ্যা মানতে নারাজ। তাঁর ব্যাখ্যা, “নীতি বা আদর্শগত কারণে নয়। ব্যক্তিস্বার্থ পূরণ না হওয়াতেই ওঁরা দল ছেড়েছেন।”

কলকাতায় জোড়া অগ্নিকাণ্ড
বৃহস্পতিবার কলকাতার দু’টি প্রান্তে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সকালে লেনিন সরণি ও দুপুরে ট্যাংরায় এই দু’টি ঘটনায় কয়েক জন সামান্য আহত হন।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে সকাল ১০টা নাগাদ লেনিন সরণিতে। এখানে একটি বহুতলে আগুন লাগে। দমকল সূত্রে খবর, প্রথমে তিন তলায় আগুন লাগে। পরে তা পাঁচ তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। বাড়িটির মিটার বক্সের বৈদ্যুতিক তার থেকেই এই আগুন ছড়ায় বলে জানিয়েছে তারা। মোট ৩৫ জন বাড়িটিতে আটকে পড়েন। আগুন থেকে বাঁচতে মহিলা ও শিশু-সহ ন’জন বাড়িটির ছাদে আশ্রয় নিয়েছিলেন। বাকিরা নিজেরাই বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। দমকল কর্মীরা বিশেষ মইয়ের সাহায্যে সেই ন’জনকে পরে নীচে নামিয়ে আনেন। ধোঁয়ার কারণ সামান্য অসুস্থ হওয়ায় তাঁদের প্রাথমিক চিকিত্সার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে তাঁদের কারও অবস্থা গুরুতর নয়।
লেনিন সরণির বহুতলে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
এ দিন, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরে আরও দু’টি ইঞ্জিন আসে। খবর পেয়ে নিউ মার্কেট থানার পুলিশ ও দুর্যোগ মোকাবিলা দলের কর্মীরাও সেখানে পৌঁছয়। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকল কর্মীরা জানান, আগুনের তীব্রতা তেমন না থাকলেও ধোঁয়ার কারণে পরিস্থিতি কিছুটা জটিল হয়। বাড়িটিতে বেশ কয়েকটি বেসরকারি অফিস, ব্যাঙ্ক, গেস্ট হাউস থাকায় গোটা বাড়ি তল্লাশি করতে কিছুটা সময় লাগে। তবে দমকল কর্মীরা তত্পরতার সঙ্গে বাড়ির মধ্যে আটকে থাকা সকলকেই উদ্ধার করেন।
পুড়ে ছাই ট্যাংরার ছাপাখানা। চলছে আগুন নেভানোর কাজ।
বৃহস্পতিবার বিশ্বনাথ বণিকের তোলা ছবি।
অন্য একটি ঘটনায় ভস্মীভূত হল ট্যাংরার ডি সি দে রোডের একটি ছাপাখানা। দমকল সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো নাগাদ আগুন লাগার খবর পেয়ে ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। স্থানীয় মানুষ ও দমকল কর্মীদের তত্পরতায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই নিয়ন্ত্রণে আসে। কারখানার পাঁচিল ভেঙে ছ’জন শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছে। দমকল আরও জানিয়েছে, ওই একই চৌহদ্দির মধ্যে আরও বেশ কয়েকটি কারখানা আছে। এখানেও দাহ্য পদার্থ মজুত আছে। তবে বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

কালিয়াচকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

বৃহস্পতিবার সকালে কালিয়াচকের যদুপুরে তৃণমূলের ব্লকের সাধারণ সম্পাদক এবং সংখ্যালঘু সেলের নেতা আসাদুল শেখের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল দলেরই অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ এবং তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। দলীয় সূত্রের খবর, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এই হামলা। বকুল শেখ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের ঘনিষ্ঠ। উল্টো দিকে আসাদুল শেখ রাজ্যের পযর্টনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ।
অভিযোগ, হামলাকারীরা পেট্রল ঢেলে সমস্ত আসবাপত্র, গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি লক্ষাধিক টাকা ও সোনার গয়না লুঠ করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার রাতে আসাদুল শেখের ভাই বারেক শেখের বিরুদ্ধে বকুল শেখের ঘনিষ্ঠ জাইদুল শেখকে গুলি করার অভিযোগ ওঠে। এর বদলা নিতেই এই হামলা। আসাদুল শেখ জানান, বকুল শেখ এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে। তার বিরোধিতা করায় এই হামলা। বকুল শেখ অবশ্য বলেন, “আমি কিছুই জানি না। বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম। বারেক এখনও অবধি পাঁচ জনকে গুলি করেছে। কিন্তু পুলিশ ওঁকে গ্রেফতার করছে না। তাই গ্রামের মানুষ ক্ষেপে গিয়ে ওঁর বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন বলে শুনেছি।”
সাবিত্রীদেবী বলেন, “দলের এক কর্মীর উপরে হামলার প্রতিবাদে গ্রামবাসীদের একাংশ আসাদুলের বাড়িতে হামলা করেছে বলে শুনেছি। বারেক শেখ তৃণমূলের কেউ নন। এর সঙ্গে বকুল শেখ ও তাঁর দলবল জড়িত নন।” কৃষ্ণেন্দুবাবু বলেন, “অত্যন্ত নিন্দনীয়। অভিযুক্তরা দলের হলেও পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।” মালদহের পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আসাদুল শেখের অভিযোগের ভিত্তিতে বকুল শেখ-সহ বাকিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”

শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত, তুষারপাতে বিচ্ছিন্ন কাশ্মীর
ইংরেজি নববর্ষের দ্বিতীয় দিনেও প্রবল শৈত্যপ্রবাহ ও তুষারপাতের হাত থেকে রেহাই মিলল না ভূস্বর্গ কাশ্মীরের। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দেশের অন্য প্রান্তের সঙ্গে কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। টানা তিন দিন ধরে শ্রীনগর-জম্মু জাতীয় সড়কে যান চলাচল একেবারে বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলার দিকে রাস্তায় আটকে থাকা গাড়িগুলিকে শ্রীনগরের দিকে পাঠানোর চেষ্টা করা হলেও জাতীয় সড়কে এখনই যান চলাচল স্বাভাবিক হবে না বলে জানিয়েছে পরিবহণ দফতর।
অন্য দিকে, আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, কুয়াশা না থাকায় বুধবার রাতে পহেলগাঁওতে পারদ নেমে যায় হিমাঙ্কের ১২.২ ডিগ্রি নীচে। মঙ্গলবার রাতের তুলনায় আট ডিগ্রি কম। চলতি মরসুমে এটিই শীতলতম রাত বলে জানা গিয়েছে। শ্রীনগরে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে হিমাঙ্কের ২.১ ডিগ্রি নীচে। পর্যটন কেন্দ্র গুলমার্গে পারদ নামে হিমাঙ্কের ১১ ডিগ্রি নীচে। লে’তে তাপমাত্রা রয়েছে হিমাঙ্কের ১৫.৩ ডিগ্রি নীচে।
কাশ্মীরের তুষার-চিত্র
ডোরা জেলা। রম্বন জেলায় আটকে রয়েছে গাড়ি।
 
চলছে বরফ সাফাইয়ের কাজ।
ছবি: পিটিআই।
কার্গিল,কাজীগুন্দ, কুপওয়ারা এবং কোকেরনাগ প্রভৃতি এলাকাতেও পারদ নেমেছে হিমাঙ্কের অনেকটাই নীচে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় আংশিক তুষারপাত অথবা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
ভূস্বর্গের মতোই প্রবল ঠান্ডায় কাবু উত্তরের আরও দুই রাজ্য পঞ্জাব ও হরিয়ানাও। শৈত্যপ্রবাহ ও প্রবল কুয়াশার জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত ওই দু’রাজ্যেও। অমৃতসরে তাপমাত্রা রয়েছে ০.৮ ডিগ্রিতে। লুধিয়ানা এবং পাটিয়ালায় পারদ ওঠানামা করছে ৫.৬ ডিগ্রি থেকে ৫.৮ ডিগ্রির আশপাশে। হরিয়ানার হিসার, ভিওয়ানি প্রভৃতি এলাকাতেও তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে এক ডিগ্রির আশপাশে।আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শৈত্যপ্রবাহের হাত থেকে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে রেহাই মিলবে না পঞ্জাব ও হরিয়ানাবাসীর। কুয়াশার জেরে দৃশ্যমানতা কম থাকবে চণ্ডীগড়, হিসার ও কারনালে।
নববর্ষের দ্বিতীয় দিনে অবশ্য ঠান্ডার হাত থেকে আংশিক রেহাই মিলেছে দিল্লিবাসীদের। হাল্কা কুয়াশার জেরে এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি। আপেক্ষিক আদ্রতা রয়েছে ৯৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ১৬ ডিগ্রির আশপাশে।
উত্তর ভারতের তিন রাজ্যের মতোই প্রবল ঠান্ডায় জবুথবু রাজস্থানও। মরু শহর জয়পুরে প্রবল শৈত্যপ্রবাহের জেরে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন দু’জন। তাঁদের দেহ শহরের জালুপুরা ও সুভাষচকের খোলা জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয়। ঠান্ডা ও কুয়াশার জেরে জয়পুরে পারদ নেমেছে ২.৮ ডিগ্রিতে। স্বাভাবিকের তুলনায় পাঁচ ডিগ্রি কম। জোধপুর, জয়সলমির এবং বারমেরে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রির আশপাশে। রাজ্যের মধ্যে একমাত্র ব্যতিক্রম কোটা ডিভিশনের হাদাউতি নামক জায়গাটি, যেখানে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহেও একই অবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

পারদের ওঠানামা
জম্মু-কাশ্মীর
পহেলগাঁও হিমাঙ্কের ১২.২ ডিগ্রি নীচে।
গুলমার্গ হিমাঙ্কের ১১ ডিগ্রি নীচে।
লে’ হিমাঙ্কের ১৫.৩ ডিগ্রি নীচে।
কার্গিল হিমাঙ্কের ১১.৬ ডিগ্রি নীচে।
কাজীগুন্দ হিমাঙ্কের ২.৮ ডিগ্রি নীচে।
কুপওয়ারা হিমাঙ্কের ৪.৪ ডিগ্রি নীচে।
কোকেরনাগ হিমাঙ্কের ৬.৪ ডিগ্রি নীচে।
পঞ্জাব-হরিয়ানা
অমৃতসর ০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
লুধিয়ানা ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পাটিয়ালা ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কারনাল ৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অম্বালা ৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চণ্ডীগড় ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিল্লি
দিল্লি ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজস্থান
জয়পুর ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুরু ১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পিলানি ১.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শ্রীগঙ্গানগর ১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিকানের ২.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতেই নির্বাচন:
হাসিনা
মাঝে মাত্র দু’দিন। বাংলাদেশে আগামী রবিবার সাধারণ নির্বাচন। তার আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিলেন আওয়ামি লিগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এ দিনের ভাষণে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার গড়ার সময় গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখার শপথ নিয়েছিল তাঁর দল। তার প্রতি সম্মান জানাতেই সাংবিধানিক সমস্ত রীতি মেনে আগামী ৫ তারিখ দেশে সাধারণ নির্বাচন হবে বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। রেডিও এবং টেলিভিশনে দেওয়া এ দিনের ভাষণে হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, “এই নির্বাচনে যাতে বিএনপি অংশ নেয় তার সমস্ত চেষ্টা আমরা করেছি। আশা করেছিলাম জনগণের উপর আস্থা রেখে প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নেবে। কিন্তু আমাদের আন্তরিক চেষ্টা সত্ত্বেও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি।” নির্বাচন আটকাতে বিরোধীদের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের উল্লেখও এ দিনের ভাষণে করেছেন তিনি।
বিরোধী বিএনপি ও ১৮ দলের জোটের ডাকা অবরোধ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশের জেলায় যান চলাচল প্রায় স্বাভাবিক ছিল। বুধবারের মতো এ দিনও লঞ্চ পরিষেবা ছিল একেবারে স্বাভাবিক। তবে স্থানীয় পরিষেবা মিললেও দূরপাল্লার বাস পরিষেবা বন্ধ ছিল।
এ দিনও ঢাকার সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সেনাবাহিনীর কড়া নজরদারি ছিল। পল্টন ও বংশালে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ছাড়া বড় কোনও সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। যদিও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি-র চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাড়িতে সেনাবাহিনীর কড়া নজরদারি রয়েছে।

কোর্টের পথে হৃদরোগে আক্রান্ত মুশারফ
দেশদ্রোহিতার মামলায় এ বারও আদালতে পৌঁছতে পারলেন না পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ। বৃহস্পতিবার আদালতে যাওয়ার পথেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবারও তাঁর খামারবাড়ির সামনে বোমা উদ্ধার হওয়ায় নিরাপত্তার কারণে আদালতে যেতে পারেননি তিনি। এ দিনের ঘটনার পর সোমবার পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত। তবে ওই দিন তাঁকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে কি না সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
হাসপাতালের বাইরে মুশারফের আরোগ্য কামনায় তাঁর সমর্থকরা। ছবি: এএফপি।
মুশারফের দল অল পাকিস্তান মুসলিম লিগের মুখপাত্র জানান, ‘‘বুধবার রাত থেকেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। তাঁকে বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিত্সকেরা। এ দিন আদালতে যাওয়ার পথে ফের অসুস্থ বোধ করেন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরীক্ষা করে চিকিত্সকরা জানান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ছেন তিনি।’’ তাঁকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.