কেউ তৈরি করেছে ফেলে দেওয়া শাকসব্জির অংশ থেকে গাড়ি চালাতে সক্ষম এমন যন্ত্রের মডেল। কেউ বা আবার নজর দিয়েছে গৃহস্থের বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ের দিকে। প্রতিদিন নিত্য ব্যবহৃত নানা যন্ত্রের পাখা ও চাকার ঘূর্ণনকে কাজে লাগিয়ে কেউ বানিয়েছে বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়কারী যন্ত্রের মডেল। দূষণ মুক্ত বিকল্প বিদ্যুৎ শক্তির উৎস হিসাবে কেউ আবার বেছে নিয়েছে সমুদ্রের লবণাক্ত জলকে। এই সব বিজ্ঞানের মডেলগুলি সারা ভারতের বিজ্ঞান মডেলের
সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে চলছে ২০১৪ সালে।
সম্প্রতি নবদ্বীপে আয়োজিত ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের ১০১তম অধিবেশনের ফোকাল থিম “ইনোভেশন অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি ফর ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট” বিষয়ে আলোচনাচক্রের আয়োজন করা হয়েছিল। ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস অ্যাসোসিয়েশনের কলকাতা চ্যাপ্টার এবং নবদ্বীপ আর.সি.বি.সারস্বত মন্দির বিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান সাড়া ফেলেছে নবদ্বীপের শিক্ষা মহলে। হাজির ছিলেন ইসকার কলকাতা চ্যাপ্টারের আহ্বায়ক অনঙ্গমোহন চন্দ্র, প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মনোজকুমার চক্রবর্তী প্রমুখ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা।
এই উপলক্ষে এক বিজ্ঞান মডেল প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়েছিল। সেই প্রদর্শনীতে নবদ্বীপের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের তৈরী মডেলগুলি নজর কেড়েছে। প্রথম তিনটি মডেলই নবদ্বীপের তিন ছাত্রছাত্রীর। সারস্বত মন্দিরের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র কৃষ্ণ দাসের বিদ্যুৎ সাশ্রয়কারী মডেল, তারাসুন্দরী গার্লসের দশম শ্রেণির ছাত্রী শুচিস্মিতা ঘোষের মডেল শাকসবজির ফেলে দেওয়া অংশ থেকে গাড়ি চালানোর কৌশল বা জাতীয় বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির শুভেন্দুকিশোর ঘোষের সমুদ্রের লবণাক্ত জল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মডেল তাক লাগিয়ে দিয়েছে সকলকে।
আয়োজকদের তরফে আর.সি.বি.সারস্বত মন্দিরের প্রধান শিক্ষক বিজনকুমার সাহা বলেন, “এই তিনটি মডেল আগামী ফেব্রুয়ারিতে জম্মুতে অনুষ্ঠিত সর্ব ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের ১০১তম অধিবেশনে কলকাতা চ্যাপ্টারের প্রতিনিধিত্ব করবে।” ইসকার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মনোজকুমার চক্রবর্তী বলেন, “প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নবদ্বীপের বিদ্যাচর্চার ইতিহাস বহু শতাব্দীর। বিজ্ঞানচর্চায় এখানকার ছেলেমেয়েরা ভাল করবে এটাই প্রত্যাশিত। খুব সাধারণ উপকরণ দিয়ে ওরা অসাধারণ ভাবনার প্রকাশ ঘটিয়েছে ওদের মডেলে। ইসকার তরফে আগামী দিনে আরও বড় মাপের অনুষ্ঠান হবে নবদ্বীপে।” |