বিশ্ব বাংলা হাট থেকে বাটারফ্লাই গার্ডেন, বাঁশবাগান থেকে ইকো আইল্যান্ড। এক বছরের মধ্যেই আরও সুন্দর ভাবে সেজে উঠছে নিউ টাউনের ইকো পার্ক। বর্ণময় এমনই নানা প্রকল্প উদ্বোধন করতে আগামী ২৭ তারিখ ইকো পার্কে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে এখন এই পার্ক ঘিরে হিডকোর ব্যস্ততা তুঙ্গে। গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ইকো পার্কের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তিনি চান, শহরের সব থেকে সুন্দর পার্কগুলির একটি হয়ে উঠুক এটি। সে ভাবেই এই পার্ক সাজিয়ে তুলতে হিডকোকে নির্দেশ দেন তিনি। সেই মতো গত এক বছর ধরে এই পার্ককে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা চালিয়েছে হিডকো। সংস্থার চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, “আগামী ২৭ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী ইকো পার্কে একগুচ্ছ প্রকল্প উদ্বোধন করছেন। ইতিমধ্যেই এই পার্ক শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। নতুন প্রকল্পগুলি চালু হলে পার্কটি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে আমাদের আশা।”
হিডকো সূত্রে খবর, বিশ্ব বাংলা হাটে বাংলার শিল্পীরা সরাসরি তাঁদের জিনিস বিক্রি করতে পারবেন। থাকবে বাঁকুড়ার ঘোড়া, টেরাকোটার সামগ্রী, ছো-এর মুখোশ। বাংলার শিল্পীরা তাঁদের শিল্পকীর্তি বিক্রির জন্য স্থায়ী প্ল্যাটফর্ম পাবেন এই বিশ্ব বাংলা হাটে। হিডকো সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পার্কে ভাসমান মিউজিক্যাল ফাউন্টেন তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ। মুখ্যমন্ত্রী এই ফোয়ারার উদ্বোধন করার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি চালু হয়ে যাবে। ফোয়ারায় থাকবে অ্যাকোয়া পর্দা। সেখানে দেখা যাবে সিনেমা।
কেউ যদি চান দ্বীপের মধ্যে প্রিয়জনের জন্মদিন পালন করতে, ব্যবস্থা রয়েছে তারও। সে জন্য তৈরি হয়েছে ইকো আইল্যান্ড। পাঁচ একর আয়তনের ওই কৃত্রিম দ্বীপে থাকবে দু’টি কটেজ, মাছ ধরার জায়গা, এমনকী ব্যাঙ্কোয়েটও। কটেজ ও ব্যাঙ্কোয়েট তৈরি প্রায় শেষ পর্যায়ে। দেবাশিসবাবু জানান, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরেই ওই দ্বীপে দর্শকেরা যেতে পারবেন।
শুধু ইকো আইল্যান্ডই নয়। মুখ্যমন্ত্রী উদ্বোধন করছেন বাটারফ্লাই গার্ডেনেরও। বাগানে দেখা মিলবে নানা ধরনের প্রজাপতির। প্রজাপতি হওয়ার আগে লার্ভা যে গাছের পাতা খায়, সেই গাছই এই বাগানে লাগানো হচ্ছে। প্রজাপতিকে বড় পাখি যাতে ঠুকরে খেতে না পারে, তাই পুরো বাগান জাল দিয়ে ঢাকারও ব্যবস্থা করেছে হিডকো। বাটারফ্লাই গার্ডেনের পাশেই থাকছে বাঁশ বাগান। এ ছাড়াও থাকবে চায়ের বাগান, আড্ডা জোন, নানা বাহারি ঘাসের মাঠ, ফুড কোর্ট। প্রকল্পগুলি উদ্বোধনের পরে ইকো পার্কে এলসিডি-তে দেখানো হবে সদ্য মুক্তি পাওয়া বাংলা ছবি ‘চাঁদের পাহাড়’। দেবাশিসবাবু জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী নিজে ইকো পার্কে বসে ছবিটি দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।
গত বছর বড়দিনের সময়ে ইকো পার্ক উদ্বোধন হওয়ার পরেই সেখানে ভিড় শুরু হয়। এ বছরও শীত পড়তে না পড়তেই ইকো পার্কে ভিড় হতে শুরু করেছে। দেবাশিসবাবু বলেন, “দর্শকেরা যাতে শীতের ছুটিতে চুটিয়ে ইকো পার্ক উপভোগ করতে পারেন, হিডকো সেই চেষ্টাই করেছে।”
|