লোকালয়ে ঢুকে যাওয়া বাঘিনীকে ধরতে ফাঁদ পেতেছিল বন বিভাগ। শেষ পর্যন্ত, সেটিতে আটক হল একটি ব্যাঘ্রশাবক। কাজিরাঙার কোহরা রেঞ্জের ঘটনা। বন বিভাগ জানিয়েছে, কোহরার ডিফলুপথার গ্রামে কয়েকদিন ধরে একটি বাঘিনী গবাদি পশু মেরে জঙ্গলে নিয়ে যাচ্ছিল। সেটিকে ধরতে বন বিভাগ ফাঁদ পাতে। গত রাতে, দু’টি শাবককে নিয়ে বাঘিনীটি ভেরোনি বন শিবিরের কাছে হাজির হয়। তখনই, একটি শাবক ফাঁদে আটকে যায়। অন্য শাবকটিকে নিয়ে পালায় বাঘিনী। গ্রামবাসীরা শাবকটির উপর হামলা করতে পারে, সেই আশঙ্কায় রাতেই শাবকটিকে কাজিরাঙা পশু উদ্ধার কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। বাঘিনী ও অন্য শাবকটিকে ধরতে ফের ফাঁদ পাতা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শাবকটিকে বেশি দিন খাঁচায় রাখা হবে না। ফের সেটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। অন্যদিকে, গোলাঘাট জেলার লেটেকু চা বাগানে দীপেন ফুকন নামে এক ব্যক্তি চিতাবাঘের আক্রমণে জখম হন। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। মাজুলির পাটরিচুক গ্রামে গ্রামবাসীরা একটি গন্ডারকে আক্রমণ করায় সেটি জখম হয়।
|
একটি পূর্ণবয়স্ক হায়নাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল পুরুলিয়ায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় মানবাজার থানা এলাকার ঝাড়বাগদা জঙ্গল লাগোয়া মাঠে ওই হায়নার রক্তাক্ত দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। রাতে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেহটি উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় শনিবারই বন দফতর মানবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এ দিন সকালেই মৃত হায়নার ময়না-তদন্ত হয়েছে। স্থানীয় প্রাণী চিকিৎসক শৌভিক বারুই বলেন, “বছর পনেরোর হায়নাটি লম্বায় প্রায় চার ফুট। বাঁশ ও ভারি কিছু দিয়ে হায়নাটির মাথায় ও মুখে আঘাত করা হয়েছে। পিটিয়ে মারার ফলেই তার মৃত্যু ঘটেছে।” এ দিকে বন দফতর সূত্রে খবর, এর আগে ঝাড়বাগদার জঙ্গলে এত বড় মাপের হায়না দেখা যায়নি। সম্ভবত হায়নাটি অসুস্থ ছিল। লোকালয়ে আসতেই বাসিন্দাদের একাংশ তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। মানবাজারের রেঞ্জারের দায়িত্বে থাকা সুরেশ বর্মণ বলেন, “ময়না-তদন্তের রিপোর্ট পেয়ে অভিযোগ করেছি।”
|