এক যুবককে স্পিরিট খাইয়ে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল চার জনকে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম বিশ্বজিৎ প্রামাণিক (২১)। তাঁর বাড়ি কালনা শহরের দশ নম্বর ওয়ার্ডের জাপট এলাকায়। সে একটি বেসরকারি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করত। শনিবার বিকেলে মৃতের দাদা অভিজিৎ প্রামাণিক এলাকার চার যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম শুভজিৎ কুণ্ডু, কৌশিক মণ্ডল, কমল বাগ ও সুদীপ্ত বণিক। তাঁরা প্রত্যেকেই স্থানীয় বাসিন্দা। ধৃত সুদীপ্ত স্থানীয় কাউন্সিলার বরুণ সিংহের আত্মীয়।
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে মৃতের দাদা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে ধৃত যুবকেরা তাঁদের বাড়িতে এসে গল্প করার নাম করে বিশ্বজিৎকে স্থানীয় একটি চোখের হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর বিকেল পাঁচটা নাগাদ তাঁরা বিশ্বজিৎকে বাড়ি দিয়ে যায়। বাড়ি ফেরার কিছু পরে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন পরিবারের সদস্যদের বিশ্বজিৎ জানায়, বন্ধুরা তাঁকে জোর করে মদ খাইয়েছে। মৃতের দাদা লিখিত অভিযোগে আরও জানিয়েছে, তাঁর ভাইকে যারা ডেকে নিয়ে গিয়েছিল তারা বলেছে, মদের নাম করে বিশ্বজিৎকে স্পিরিট খাওয়ানো হয়েছে।
অসুস্থ অবস্থায় বিশ্বজিৎকে প্রথমে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ার পর তাঁকে কল্যাণী হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। শনিবার ওই হাসপাতালেই মৃতদেহের ময়না তদন্ত করা হয়। স্থানীয় কাউন্সিলার বরুণ সিংহের অবশ্য দাবি, “চোখের হাসপাতাল সূত্রে জানতে পেরেছি নিজের ইচ্ছেতেই স্পিরিট খেয়েছেন ওই যুবক। আমার নাতি সেই কাজে বাধাও দিয়েছিল। অথচ তাঁদের ফাঁসিয়ে দেওয়া হল।” জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ধৃতদের জেরা করে প্রকৃত ঘটনা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মাঠ সংস্কারের দাবি। মানবাজার হাইস্কুলের মাঠ বর্ষায় খারাপ হয়ে যাওয়ায় ওই মাঠটি সংস্কারের দাবি জানালেন স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা। সম্প্রতি স্থানীয় কয়েকটি ক্লাবের পক্ষ থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে এ ব্যাপারে দাবি জানানো হয়। মানবাজার হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শম্ভুনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এলাকার বিধায়ক সন্ধ্যারানি টুডু স্কুলের মাঠ সংস্কারের জন্য টাকা বরাদ্দ করেছেন। শীঘ্রই মাঠটি সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।” |