টাটকা খবর
দেবযানী কাণ্ডে কড়া অবস্থানেই অনড় ভারত ও আমেরিকা
দেবযানী খোবরাগাড়ে কাণ্ডে অনড় অবস্থানই বজায় রাখল মার্কিন প্রশাসন। অন্য দিকে নিজেদের অবস্থানে অনড় ভারতও।
নিঃশর্ত ক্ষমা ও মামলা প্রত্যাহার— ভারতের এই দু’টি দাবিকেই কার্যত উড়িয়ে দিয়ে মার্কিন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ম্যারি হার্ফ জানিয়েছেন, ‘‘এই ধরনের অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। পিছু হঠার কোনও প্রশ্নই নেই। আইন আইনের পথেই চলবে।’’ এ দিকে দেবযানী কাণ্ডে কড়া অবস্থান বজায় রাখল ভারতও। শুক্রবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কমলনাথ বলেন, ‘‘ কোনও রকম টালবাহানা নয়, ক্ষমা চাইতেই হবে আমেরিকাকে। আমেরিকাকে বুঝতে হবে যুগ বদলেছে, ভারতও তার সঙ্গে বদলেছে।’’
বিষয়টি সবিস্তার না জানলেও আমেরিকা যে কোনও অবস্থাতেই অভিযোগ প্রত্যাহারের রাস্তায় হাঁটবে না তা এ দিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন হার্ফ। তাঁর দাবি, আমেরিকায় নিযুক্ত প্রত্যেক রাষ্ট্রদূতকে যে সে দেশের আইন মেনেই চলতে হবে তা সংশ্লিষ্ট দেশকে লিখিত ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়। দেবযানীর ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। তাই মার্কিন নীতির বাধ্যবাধকতাই যে অভিযোগ প্রত্যাহারের প্রধান বাধা তাও স্পষ্ট করে দেন তিনি। আমেরিকার সরকারি আইনজীবী প্রীত ভারারার মন্তব্যের বিরোধিতাও করেননি তিনি। বৃহস্পতিবার রাতে প্রীত দাবি করেন, গ্রেফতারের পরে দেবযানীর সঙ্গে যথেষ্ট ভাল ব্যবহার করা হয়েছিল। ঘটনার পরে দেবযানীকে আইনি রক্ষাকবচ দিতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিশেষ দূত নিয়োগ করে ভারত। তবে সেই রক্ষাকবচও যে এ ক্ষেত্রে কোনও কাজে লাগবে না তাও এ দিন বুঝিয়ে দিয়েছেন হার্ফ। তাঁর মতে, এই ধরনের সুবিধা নিয়োগের দিন থেকে ধার্য হয়। যেহেতু অভিযোগের সময়ে দেবযানী ওই পদে ছিলেন না, তাই এ ক্ষেত্রে রক্ষাকবচের কোনও ভূমিকা নেই বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরির সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা হবে বলে দাবি করেন। এ দিন এই ধরনের আলোচনার সম্ভাবনাও খারিজ করে দিয়েছে মার্কিন বিদেশ মন্ত্রক। হার্ফ বলেন, ‘‘আলোচনার রাস্তা সর্বদাই খোলা আছে, তবে এই বিষয়ে আলোচনার কোনও সম্ভাবনা নেই।’’
এ দিকে ক্ষমাপ্রার্থনা নয়, আমেরিকাকে যে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে দোষ স্বীকার করতেই হবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কমলনাথ। তিনি বলেন, ‘‘দেবযানী কাণ্ডে আমেরিকার ব্যবহার অত্যন্ত নিন্দনীয়। শুধুমাত্র ভারত নয়, অন্য দেশের পক্ষেও যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। শুধুমাত্র দুঃখপ্রকাশ নয়, ক্ষমাই চাইতে হবে আমেরিকাকে।’’ এই বিষয়ে সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপিও।

সিংহভাগ দফতরের কাজেই খুশি নন মমতা
চলতি আর্থিক বছরের ন’মাস কেটে গিয়েছে। রাজ্যের ৫৮টি দফতরের কাজকর্ম কেমন চলছে তা নিয়ে পর্যালোচনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার টাউন হলের এই বৈঠকে সিংহভাগ দফতরের কাজেই খুশি হতে পারেননি তিনি। হাতে গোনা পাঁচ-ছটি দফতরের কাজ তাঁর পছন্দ হলেও সার্বিক ভাবে রাজ্যের নিজস্ব উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে অগ্রগতির নিরিখে মুখ্যমন্ত্রী এ দিনের বৈঠকে তাঁর উষ্মা চেপে রাখেননি।
যদিও বৈঠক চলাকালীন যাঁদের মৃদু ধমক দিয়েছেন, তাঁদের হয়েই প্রকাশ্যে সাফাই গেয়েছেন তিনি। বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে চলেছি। যা রোজগার হচ্ছে, তার অনেকটাই কেন্দ্র কেটে নিচ্ছে। বাম জমানার ঋণ আর সুদ মেটাতেই টাকা চলে যাচ্ছে। কিন্তু তার পরেও ১৫ হাজার কোটি টাকা উন্নয়ন খাতে খরচ হয়েছে। ৩২% রাজস্ব বৃদ্ধি হয়েছে। এর মধ্যে দাঁড়িয়েও সব দফতরই ভাল কাজ করছে। এখনও তিন মাস বাকি, আশা করি উন্নয়নের সব টাকা শেষ হবে।”
টাউন হলে মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: প্রদীপ আদক।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কী হয়েছে, কোন কাজ বাকি, কী হয়নি, কেন হয়নি, কোন কাজ এখনই শুরু করা দরকার সে সব নিয়েই আলোচনা হয়েছে। অনেকেই ভাল কাজ করেছে, অনেকে কিছুটা পিছিয়ে। এ বার সকলকে উন্নয়নের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।” তাঁর নির্দেশ, প্রতিটি জেলাকে এ বার ‘ভিশন ক্যালেন্ডার’ তৈরি করতে হবে। তাতেই আগাম পরিকল্পনা জনগণকে জানিয়ে দিতে হবে। এ ছাড়া পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্প এবং সুযোগ-সুবিধার ব্যাপক প্রচারের জন্য জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত মেলা করতে হবে।
মমতার প্রশংসা কুড়িয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের কাজেও খুশি তিনি। সাফল্যের বিচারে বাহবা মিলেছে কৃষিমন্ত্রী মলয় ঘটক, বেচারাম মান্না, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকেরও। পাশাপাশি, পরিকল্পনা খাতের টাকা ঠিকমতো খরচ না হওয়ায় আবাসনমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, নারীকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র, প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী নুরে আলম চৌধুরী মুখ্যমন্ত্রীর মৃদু ধমক খেয়েছেন। তাঁদের প্রতি মমতার পরামর্শ, এখনও সময় রয়েছে। কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।

মমতার সঙ্গে কথা গুরুঙ্গদের
—নিজস্ব চিত্র।
জিটিএ প্রধানের পদ থেকে ইস্তফার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করলেন বিমল গুরুঙ্গ। শুক্রবার নবান্নের এই বৈঠকে রাজ্য সরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র, স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব মুখোপাধ্যায় ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। জিটিএ-র তরফে বিমল গুরুঙ্গ ছাড়াও ছিলেন রোশন গিরি, রমেশ আলে, তিলক দেওয়ান ও রাম ভুজেল। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে গুরুঙ্গ জানান বৈঠক ইতিবাচক হয়েছে। ৪৫ মিনিটের এই বৈঠকে জিটিএ-র সামগ্রিক উন্নতি ও পাহাড়ের আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জিটিএ প্রধানের পদে ফিরতে অনুরোধ করেছেন বলে দাবি করেন গুরুঙ্গ। তাঁর কথায়, ‘‘জনতার হিতের কথা ভেবেই আমি জিটিএ-তে ফিরছি।’’ আগামী ২৬ ডিসেম্বর রাজভবনে জিটিএ-র প্রধান হিসাবে শপথ নেবেন গুরুঙ্গ। শুক্রবারই ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন বর্তমান প্রধান রমেশ আলে। জিটিএ-র ধৃত সদস্যদের মুক্তি নিয়ে ইতিবাচক কথা হলেও এর জন্য কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। লোকসভা ভোটের পরেই আগামী জুলাইতে পাহাড়ে দ্বিস্তর পঞ্চায়েত ভোট করার বিষয়ে সহমত হয়েছে দু’পক্ষই। রাজ্য সরকারের সঙ্গে মতানৈক্যকে ‘পারিবারিক সমস্যা’ বলে মন্তব্য করে গুরুঙ্গ বলেন, ‘‘পরিবারের ভিতরের সমস্যা পরিবারের মধ্যেই আলোচনা করে মিটিয়ে নেওয়া হবে।’’ পাহাড়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক দাবি করে পর্যটকদের স্বাগত জানিয়েছেন গুরুঙ্গ।

ত্রিফলায় কাত দক্ষিণ আফ্রিকা, ৩২০ রানের লিড ভারতের
একেই বলে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা। স্টেইন অ্যান্ড কোম্পানি যে কাজটা এক দিন আগে করেছিল, সেই একই ভাবে ডে’ ভিলিয়ার্সের দলকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখালেন জাহির অ্যান্ড কোম্পানি। আজ সকালে খেলা শুরুর ৫০ মিনিটেই ভারতের তিন পেসার জাহির, ইশান্ত ও সামির দাপটে ২৪৪ রানেই শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস। ৩৬ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ভারত।
গত কাল ভারতীয় পেসার ত্রয়ীর দাপটে সুবিধাজনক জায়গায় শেষ করেছিল ভারত। ক্রিজে যথাক্রমে ১৭ ও ৪৮ রানে অপরাজিত দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ব্যাটম্যান ডু’ প্লেসি ও ভার্নন ফিল্যান্ডার তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেন। দিনের প্রথম ওভারেই সামির বলে চার মেরে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ফিল্যান্ডার। দ্রুত ছয় উইকেট পড়ে যাওয়ার পর এই দুই ব্যাটসম্যান ৮০ রানের পার্টনারশিপ গড়ার পর দিনের পঞ্চম ওভারে জাহিরের বলে প্রথম স্লিপে অশ্বিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ফিল্যান্ডার। ব্যক্তিগত ৫৯ রানে আউট হন তিনি।

ডু’ প্লেসিকে ফিরিয়ে জাহিরের ‘সেলিব্রেশন’। ছবি: এএফপি।
এর পর মাঠে আসেন ডেল স্টেইন। ক্রিজে এসেই ব্যাট চালাতে শুরু করেন স্টেইন। তবে মাত্র ১০ রান করে ইশান্ত শর্মার বলে স্লিপে রোহিতের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। অষ্টম উইকেট পতনের পর নামেন মর্নি মর্কেল। পরের ওভারেই জাহিরের আউট স্যুইঙ্গারে পরাস্ত হন ডু’ প্লেসি। ধোনির হাতে বল জমা দেন তিনি। মাঠে আসেন শেষ ব্যাটসম্যান ইমরান তাহির। পারফেক্ট ইয়র্কার কাকে বলে দেখালেন জাহির। ইন স্যুইঙ্গিং ইয়র্কারে মর্কেলের অফ স্টাম্প ছিটকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস ২৪৪ রানে গুটিয়ে দেন জাহির।
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে ভারতের দুই ওপেনার শিখর ধবন ও মুরলি বিজয় বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি। দলীয় ২৩ রানে দ্বিতীয় স্লিপে কালিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিল্যান্ডারের বলে ফরেন ধবন। ব্যাট করতে মাঠে আসেন পূজারা। কিন্তু এক দিকে পেস ও স্যুইয়ের সামনে মুরলি বিজয়ের থরহরিকম্প, অন্য দিকে, পূজারার আলট্রা ডিফেন্সিভ ব্যাটিংয়ে ভারতের রান সম্বুক গতিতে এগোয়। ধবন আউট হওয়ার পর এক সময় ১২ ওভারে দু’জনের মিলিত সংগ্রহ ছিল মাত্র ১৫ রান। তার মধ্যে তিন রান লেগ বাই। ৯৪ বল খেলে ৩৯ রান করে সম্ভবত দিনের সব থেকে খারাপ বলে আউট হন বিজয়। জাক কালিসের লেগ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে কিপারের হাতে জমা দেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটের পতনে মাঠে নামেন কোহলি। চা পানের বিরতিতে ভারতের স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১০৯ রান। ৭০ বল খেলার পর ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরেন পূজারা। ১২৭ বল খেলে অর্ধশতরান পূরণ করেন তিনি। এক দিকে নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং করছিলেন পূজারা। অন্য দিকে, একটু থিতু হতেই বিরাট কোহলি স্বমহিমায় ফেরেন। দ্রুত রান তোলার কাজ খুব সুচারুভাবেই সারেন তিনি। মাত্র ১৩৭ বলে ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তারা। ৭৪ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন কোহলি। তত ক্ষণে ভারত ২৪৭ রানের লিড নিয়ে নেয়। এর কিছু ক্ষণের মধ্যেই কেরিয়ারের ষষ্ঠ শতরান পূরণ করেন পূজারা। দিনের শেষে পূজারা-কোহলি জুটির ১৯১ রানের দৌলতে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩২০ রানের লিড পেয়েছে।

সবিস্তার স্কোর

সমকামিতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল কেন্দ্রের
সমকামিতা রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্র। শুক্রবার ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য শীর্ষ আদালতে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল জি ই বাহনবতী।
গত ১১ ডিসেম্বর সমকামিতা নিয়ে রায় ঘোষণা করে বিচারপতি এস জে মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি জি এস সিঙ্ঘভির বেঞ্চ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারাকে সাংবিধানিক আখ্যা দেয়। এই রায়ের ফলে ফের অপরাধের তকমা পায় সমকামিতা। রায় ঘোষণার পরেই প্রতিবাদে সরব হয় বিভিন্ন সমকামী সংগঠন। তখনই আইনমন্ত্রী সিব্বল-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সরকারের তরফে পদক্ষেপের আশ্বাস দেন। এ দিনের পিটিশনে ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের বিপক্ষে ৭৬টি কারণ দেখিয়ে বলা হয়েছে এই রায় মৌলিক অধিকারের ১৪, ১৫ ও ২১ নম্বর ধারার পরিপন্থী। ১৮৬০ সালের এই আইনকে ‘মধ্যযুগীয় ও সেকেলে’ আখ্যাও দেওয়া হয়েছে পিটিশনে।
এর আগে ২০০৯-এর ২ জুলাই দিল্লি হাইকোর্ট এই ধারাকে নাগরিকের মৌলিক অধিকারের বিরোধী আখ্যা দেয়।

ঘন কুয়াশায় বেহাল বিমান ও ট্রেন, বিপর্যস্ত জনজীবন
শীতের দাপটের সঙ্গে সঙ্গে শুক্রবার সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার জেরে নাকাল পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় ও উত্তরপ্রদেশের জনজীবন। আবহাওয়াবিদেরা জানিয়েছেন, এ দিন পঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রার পারদ অনেক নেমে যায়। শুক্রবার রাত পর্যন্ত এই দুর্ভোগ চলবে বলে মনে করছে মৌসম ভবন।
অমৃতসরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, লুধিয়ানা ও পাতিয়ালায় যথাক্রমে ৯ ও ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। একই পরিস্থিতি ছিল হরিয়ানা, অম্বালাতেও। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। এ দিন চণ্ডীগড়ে দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দেখা গিয়েছে ৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যেখানে হিসারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ ডিগ্রি বেশি। ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় ব্যাহত হয়েছে রেল পরিষেবাও। রেল সূত্রে খবর, কুয়াশার কারণে নয়াদিল্লি-কালকাগামী শতাব্দী এক্সপ্রেস স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অন্তত এক ঘণ্টা দেরীতে চলছে। দেরিতে চলছে আরও কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন। রেলের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, ঘন কুয়াশার কারণে উত্তরপ্রদেশে ৭৬টি ট্রেন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক দেরিতে চলছে। উত্তর রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার জন্য এই ডিভিশনে কাল, শনিবার থেকে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬টি ট্রেন বাতিল করতে হচ্ছে। ঘন কুয়াশার কারণে ব্যাহত হয়েছে বিমান পরিষেবাও। বাতিল হয়েছে উড়ান।

এক মহিলার শ্লীলতাহানি করার অভিযোগে গ্রেফতার হল এক অটোচালক। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটে রাসবিহারী কানেক্টরের কাছে। ধৃতের নাম পাঁচু সাউ (৩০)। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার এক মহিলা কসবা থানায় অভিযোগ জানান, তিনি রাসবিহারী অ্যাভিনিউ দিয়ে অটোয় বাড়ি ফিরছিলেন। অন্য এক জন অটো চালাচ্ছিলেন। চক্রবর্তীপাড়ার কাছে অটো পৌঁছলে পাঁচু এসে ওই অটোচালককে নামিয়ে দিয়ে নিজেই চালাতে থাকে। অভিযোগ, সব যাত্রী নেমে গেলে পাঁচু ওই মহিলার সঙ্গে অশালীন আচরণ করে, তাঁকে কুপ্রস্তাব দেয়।


দু’টি দুর্ঘটনায় মৃত দুই
শহরে দু’টি পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই ব্যক্তির। একটি ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে প্রশান্তকুমার আদক (৫১) নামে হাওড়ার এক বাসিন্দার। শুক্রবার, সকাল পৌনে দশটা নাগাদ প্রশান্তবাবু মোটরবাইকে বিদ্যাসাগর সেতুর উপর দিয়ে কলকাতার দিকে আসছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, চলন্ত মোটরবাইক থেকে আচমকাই তিনি পড়ে যান। সেই সময়ে পিছন থেকে অন্য একটি গাড়ি এসে তাঁকে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এর জেরে বিদ্যাসাগর সেতুর উপরে কলকাতা আসার রাস্তা বেশ কিছু ক্ষণ বন্ধ রাখা হয়। তৈরি হয় যানজট। প্রায় আধ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অন্য পথ দুর্ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার রাতে, কসবা থানা এলাকায় শীতলা মন্দিরের কাছে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে সাহেব হালদার (২১) নামে স্থানীয় এক যুবকের। পুলিশ জেনেছে, হেঁটে বাড়ি ফেরার সময়ে পিছন থেকে একটি গাড়ি সাহেবকে ধাক্কা মারে। অভিযুক্ত চালক-সহ গাড়িটি আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃত চালক সৌরভ ঘোষকে এ দিন আলিপুর কোর্টে তোলা হলে বিচারক সৌরভের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

গাছ সংক্রান্ত কমিটির প্রধান চিত্ততোষ
ক্যামাক স্ট্রিট-সহ গোটা কলকাতার গাছ কাটা, লাগানো, অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া সব খতিয়ে দেখতে যে কমিটি তৈরি হয়েছে, তার প্রধান হলেন প্রাক্তন বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়। কমিটির অন্য চার সদস্য হলেন কলকাতা পুরসভার দেবাশিস চক্রবর্তী, পরিবেশ দফতরের কান্হা তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে বনানী কক্কর এবং বন দফতরের লিপিকা রায়।
ক্যামাক স্ট্রিট চওড়া করার জন্য ৯টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলায় বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ক্যামাক স্ট্রিট চওড়া করার কাজ বন্ধ করে দেয়। শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চ আবার জানিয়েছে, কাজ চলবে। এই কমিটি সমস্ত দেখে রাস্তা চওড়া হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কী ভাবে গাছ বাঁচানো যায়, গাছ তুলে অন্যত্র বসানো যায় সব নিয়ে একটি ‘ফর্মুলা’ তৈরি করবে। পরে কোথাও এই জাতীয় সমস্যা দেখা দিলে কলকাতা পুরসভা এই কমিটির সঙ্গে বসে সেই ফর্মুলা অনুযায়ী কাজ করবে।

প্রবল শৈত্যপ্রবাহে জড়সড় কাশ্মীর, তুষারপাত গুলমার্গ ও পহেলগাঁওয়ে

বেশ কয়েক দিনের পর আবারও প্রবল শৈত্যপ্রবাহের কবলে জম্মু-কাশ্মীর। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শ্রীনগরে রাতের তাপমাত্রা নেমেছে হিমাঙ্কের ৩ ডিগ্রি নীচে। পর্যটন কেন্দ্র গুলমার্গে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ৭ ডিগ্রি নীচে। পহেলগাঁওতে চার ডিগ্রি কমে তাপমাত্রা নেমেছে হিমাঙ্কের ৭.৩ ডিগ্রির নীচে। রাজ্যের শীতলতম কার্গিলে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ১২.২ ডিগ্রি নীচে। তাপমাত্রা হুহু করে কমার সঙ্গে সঙ্গেই তুষারপাতও শুরু হয়েছে কাশ্মীরে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গুলমার্গে ১.২ সেমি ও পহেলগাঁওতে ১.৬ সেমি তুষারপাত হয়েছে। আগামিকাল তুষারপাতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
পারদের ওঠানামা
  বৃহস্পতিবার রাত বুধবার রাত
-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস
-৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস -২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
-৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস -২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
-৪.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস -১.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস
-৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস -৩.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস
-১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস  
-১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস  

মালকানগিরিতে পুলিশের উপর হামলা, ধৃত ৬

বেআইনি মোরগ লড়াই ঠেকাতে গিয়ে আদিবাসীদের হাতে আক্রান্ত পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার মালকানগিরি জেলার সিয়ালিমাল এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার এই এলাকায় বেআইনি মোরগ লড়াই চলছিল বলে খবর পায় পুলিশ। সেটি বন্ধ করতে গেলে ক্রুব্ধ গ্রামবাসীরা পুলিশের উপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় আহত হন ৫ জন পুলিশ কর্মী। জেলা পুলিশ সুপার অখিলেশ্বর সিংহ জানিয়েছেন, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এক যুব কংগ্রেস নেতা ও মালকানগিরি জেলা পরিষদ সদস্য-সহ ৩৪ জন গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ও অস্ত্র আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্য দিকে নবরাংপুরের কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ মাঝি এই ঘটনায় আদিবাসীদের উপর পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ তুলে বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

দক্ষিণ সুদানে রাষ্ট্রসংঘের শিবিরে হামলা, হত ৩ ভারতীয় শান্তি সেনা

গোষ্ঠী সংঘর্ষ অব্যাহত বিশ্বের নবতম রাষ্ট্র দক্ষিণ সুদানে। শুক্রবার ভোরে রাষ্ট্রসংঘের একটি শরণার্থী শিবিরে সশস্ত্র হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন তিন ভারতীয় শান্তি সেনা। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্রসংঘে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অশোক মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দক্ষিণ সুদানের জঙলেই প্রদেশের আকোবা এলাকায় রাষ্ট্রসংঘ পরিচালিত একটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় হাজার দুয়েক ‘বিদ্রোহী’। তারা প্রত্যেকেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী নুয়েরের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। এ দিন ভোরে এই হামলার সময় শিবিরে উপস্থিত ছিলেন ৪৩ জন ভারতীয় শান্তি সেনা-সহ আরও ৮ জন। হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল দিনকা গোষ্ঠীর শরণার্থীরা।
দক্ষিণ সুদানে গত পাঁচ দিন ধরে চলা সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন পাঁচশোরও বেশি মানুষ। প্রাণ বাঁচাতে রাষ্ট্রসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ।
রাষ্ট্রসংঘের সহকারী মহাসচিব জান এলিয়াসন জানিয়েছেন, জঙলেই প্রদেশে পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি হচ্ছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.