|
|
|
|
|
আমাকে আমার মতো জিম করতে দাও
নিজের মতো থাকুন। অন্যের মতো ফিগার
বানানোর দরকারটা কী? পরামর্শ চিন্ময় রায়-এর। |
|
জিমে ইদানীং অনেককেই দেখি এসেই জিজ্ঞেস করছেন আমার ফিগারটা প্লিজ ওই নায়কের মতো বানিয়ে দেবেন? কিন্তু সত্যিই কি সে রকম চেহারা বানানো সম্ভব! |
উফ্ কী আবদার |
সাধারণ মানুষকে বুঝতে হবে তাঁরা কী চাইছেন। প্রতিটি মানুষই আলাদা। কারও শরীর পেশিবহুল। কারও আবার শরীরে মেদের আধিক্য। একজন হয়তো বসে বসে কাজ করছেন। তো অন্য জন স্পোর্টসম্যান। বয়স এবং কত দিন এক্সারসাইজ করছেন, সেটাও দেখে নেওয়া দরকার। সিনেমাতে চরিত্রের প্রয়োজনে শরীর সে ভাবে বানানো হয়। একজন কর্পোরেট এক্সিকিউটিভের সিক্স প্যাক দিয়ে কী কাজ? বা চাকুরিরতা কোনও মহিলার নিশ্চয়ই অনুষ্কার মতো পায়ের প্রয়োজন নেই! নিজেদের কাজে কী ভাবে ফিট থাকা যায়, সেটা ভেবেই ওয়ার্কআউট করা উচিত তাঁদের। |
|
ওয়ার্কআউট শুরুর
আগে পরীক্ষা দিন |
এক্সারসাইজ শুরুর আগে আপনি ট্রেনারকে বলুন আপনার ট্রেনিংয়ের উদ্দেশ্যটা কী। ২২ বছরের যুবক যে মাসল বিল্ডিং এক্সারসাইজ করছেন, সেটা আপনার ৪০ বছর বয়সে প্রয়োজন নেই। ফিটনেস গুরু গ্রে কুক ফাংশনাল মুভমেন্ট স্ক্রিন-য়ের সন্ধান দিয়েছেন। যেমন ওভারহেড স্কোয়াট, ইন-লাইন লাঞ্জ, হার্ডল স্টেপ, পুশ আপ ইত্যাদি। এই পরীক্ষাগুলো করলে বুঝতে পারবেন আপনার এক্সারসাইজের প্রাথমিক মুভমেন্টগুলো জানা আছে কি না বা আপনার দুর্বলতা কোথায়।
পাশাপাশি হ্যামস্ট্রিং, গ্লুটিয়াস, হিপ ফ্লেক্সর, পিরিফরমিস, অ্যাবডমিনাল, চেস্ট, শোল্ডার, ল্যাটিসিমাস ডোরসি ইত্যাদি পেশির নমনীয়তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে কোন কোন জয়েন্টগুলো অতটা সক্রিয় নয়। তার পর জেনে নিতে হবে আপনি কত দিন ট্রেনিং করছেন, কোনও চোট-আঘাত আছে কি না, অসুখে ভুগছেন কি না। |
পাতলা হওয়ার পাসওয়ার্ড |
যাঁরা ওজন কমিয়ে পাতলা হতে চান, তাঁদের কিন্তু প্রেসক্রিপশন আলাদা। ওজন নিয়ে ব্যায়াম আর কার্ডিও এই দু’য়ের ককটেলে এঁদের প্রোগ্রাম বানাতে হবে। হাঁটুতে ব্যথা আছে, দৌড়তে পারেন না, এমন মানুষদের জন্য বক্সিং
হল দারুণ কার্ডিও এক্সারসাইজ। অথবা সাইক্লিং। সুইমিং পুল থাকলে পুলে ওয়াকিং বা সুইমিং।
স্ট্রেংথ আর কন্ডিশনিং বলছে ওজন কমাতে প্রথমে ৬-৭টা শক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম করতে হবে। তার পর একটু বিশ্রাম নিয়ে ১৫-২০ মিনিটের ইন্টারভ্যাল বা বিরতিমূলক কার্ডিও ওয়ার্কআউট করতে হবে। কে কোন এক্সারসাইজ করবেন, নির্ভর করবে তাঁর ফিটনেস লেভেল, বয়স ইত্যাদির ওপর।
যাঁদের হিপ আর পায়ের অংশে ফ্যাট বেশি, তাঁদের লড়াই অনেক লম্বা। যাঁদের পেটের অংশে ফ্যাট বেশি, তাঁদের কাজটা অপেক্ষাকৃত সহজ।
|
শুধু ব্যায়াম নয় |
বয়স-শরীরের ওজন অনুযায়ী রোজ ৮-১২টা ডিমের সাদা অংশ, ডাল, মুর্গির মাংস, হলে ওজন নিয়ে ব্যায়ামে ৯৫ শতাংশ মনোনিবেশ ভাল। কার্ডিও, মানে দৌড়ঝাঁপ অল্পবিস্তর করলেই চলবে।
বেশি কার্ডিও করলে আবার পেশির ক্ষয় হয়। |
|
|
|
|
|