টাটকা খবর
লোকসভায় পাশ লোকপাল বিল, অনশন ভাঙলেন অণ্ণা
রাজ্যসভায় পাশ হওয়ার পরে লোকসভায় পাশ হওয়াটা ছিল শুধু মাত্র সময়ের অপেক্ষা। বুধবার রাজ্যসভার সংশোধনী প্রস্তাব মেনে লোকসভায় শাসক দল কংগ্রেস, প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এবং অন্যান্য শরিক দলের সমর্থনে লোকপাল বিল পাশ হয়। যদিও সমাজবাদী পার্টি এবং শিব সেনা সাংসদরা এই বিলের বিরোধিতা করে সভাকক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান।
কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি রহুল গাঁধী বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ার জন্য শুধু লোকপাল বিলই যথেষ্ট নয়। আটটি নতুন কেন্দ্রীয় আইন গঠনের প্রস্তাব আনা হয়েছে। আরও ছ’টি দুর্নীতি দমন বিল এখনও লোকসভায় পেশ হয়নি।” প্রয়োজনে লোকসভার শীতকালীন অধিবেশনের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবও দেন তিনি। যদিও বিলটি পাশের জন্য বিরোধী দলনেত্রী সুষমা স্বরাজ কংগ্রেসকে কৃতিত্ব দিতে চাননি। তিনি জানান, দেশের মানুষের চাহিদা এবং অণ্ণা হজারের জন্য এটা সম্ভব হয়েছে। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী বিল সমর্থনকারী সমস্ত সাংসদকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বলেছেন, “লোকপাল বিল পাশ কেন্দ্রীয় সরকারের এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।”
বিলটি পাশের খবর অণ্ণা শিবিরে পৌঁছতেই খুশিতে ফেটে পড়েন সকলে। সরবত খেয়ে দীর্ঘ আট দিনের অনশন ভাঙেন অণ্ণা। বিলটি পাশ করার জন্য সমর্থনকারী সব রাজনৈতিক দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক
সকলের অনুমানকে ভুল প্রমাণ করে সুদের হার অপরিবর্তিত রাখলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর রঘুরাম রাজন। গত কয়েক দিনে সেনসেক্স ও নিফটির পতনের পর বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা ছিল, ঋণে সুদের পরিমাণ বাড়িয়ে সমস্যার সাময়িক সমাধানের পথে হাঁটবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বুধবার রাজন স্বল্পমেয়াদি ঋণে সুদের হার ৭.৭৫ শতাংশ এবং ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও (সিআরআর) ৪ শতাংশ রাখার কথা ঘোষণা করেন।
সুদ অপরিবর্তিত রাখার কথা ঘোষণার পরই সেনসেক্স ঊর্ধমুখী হয়। ফলে বাজার কিছুটা চাঙ্গা হয়ে ওঠে। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান সি রঙ্গরাজন বলেন, “এই পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখা খুবই মুশকিল। আমার মনে হয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুখ্য উদ্দেশ্য এখন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ হওয়া উচিত। তাই মুদ্রাস্ফীতির উপর কড়া নজরদারি রাখতে হবে।”

নদিয়াকে উদার প্রশংসা মমতার
এক জেলায় হুঁশিয়ারি, পাশের জেলায় হাসিমুখ। মঙ্গলবার রেজিনগরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতটা তীব্র সমালোচনা করেন মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের, বুধবার ততটাই উদার হলেন নদিয়া জেলা প্রশাসনের প্রতি। নানা প্রকল্পের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করলেন, সাংবাদিকদের কাছেও জেলা প্রশাসনের প্রশংসা করলেন। এ দিন বিরোধীরা প্রশ্ন তুললেন, সত্যিই কি উন্নয়নের কাজে এতটা ফারাক? নাকি রাজনৈতিক কারণে দুই জেলায় দু’রকম অবস্থান?
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, আজকের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আগাগোড়াই খুব ভাল ‘মুডে’ ছিলেন। বারবার তিনি জেলার বিভিন্ন কাজের প্রশংসা করেছেন। কাউকেই তেমন বকাঝকা করেননি। কেবল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্তাদের তিনি দ্রুত কাজ শেষ করতে বলেন। কারণ এই দফতরে সিংহভাগ বরাদ্দ এখন খরচ হয়নি। তবে এ দিন নদিয়ার পুলিশ তাঁর রোষের মুখে পড়েনি। রাস্তায় তোলা আদায়ের জন্য মুর্শিদাবাদের পুলিশকে মমতা মঙ্গলবার ভর্ৎসনা করলেও, নদিয়ার পুলিশকর্তাদের কেবল নির্দেশ দিয়েছেন, থানাগুলির পরিদর্শনের কাজ আগামী দশ দিনে শেষ করতে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতা নদিয়ার সাফল্যের কথা তুলে ধরে জেলা প্রশাসনের প্রশংসা করেন। তাঁর দাবি, নদিয়া জেলা একশো দিনের কাজের প্রকল্পে প্রথম। বিপিএল পরিবারে বিদ্যুৎ-সংযোগের কাজ ৯৭ শতাংশ শেষ হয়েছে, বাকি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে। চারশো কোটি টাকার ৯৯টি আর্সেনিক-মুক্ত পানীয় জলের প্রকল্পের ৪৫টি শেষ হবে মার্চের মধ্যে।
এই আর্থিক বছরের শেষে নদিয়া জেলাকে ‘মডেল জেলা’ হিসাবে ঘোষণার সম্ভবনার কথাও জানান। নানা প্রকল্পে একের পর এক জেলার সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমাদের রেকর্ড আমরাই ভাঙব।” আরও ভাল কাজ করলে পুরস্কার দেবার আশ্বাসও দেন তিনি।

বিষক্রিয়ায় মৃত সাত শবযাত্রী, ধৃত মদ ব্যবসায়ী
শবদাহ করে ফেরার পথে দেশি মদ খেয়েছিলেন শ্মশানযাত্রীরা। পরে বিষক্রিয়ায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি বীরভূমের রামপুরহাটের। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরে ময়ূরেশ্বর থানার মহুলা গ্রামের ১২ জন এবং রামপুরহাট থানার কুতুবপুর গ্রামের ৪০ জন পৃথক ভাবে দু’টি দেহ দাহ করার জন্য তারাপীঠ শ্মশানে যান। বাড়ি ফেরার পথে তাঁদের মধ্যে অনেকে শ্মশান লাগোয়া একটি দোকান থেকে মদ কিনে খান। রামপুরহাট ও বর্ধমানে মঙ্গল ও বুধবার মিলিয়ে মোট সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যালের ডেপুটি সুপার তাপস ঘোষ বলেন, “এখানে যে সাত জন ভর্তি হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে দু’জন মারা গিয়েছেন। বাকি পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের শরীরে মদের সঙ্গে মিশে বিষাক্ত মিথানল প্রবেশ করায় এই বিপত্তি।”
বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “তারাপীঠ শ্মশান লাগোয়া যে দোকান শ্মশানযাত্রীরা মদ কিনে খেয়েছিলেন, ওই দোকানের লাইসেন্স ছিল না। অথচ সেখানে সিল করা দেশি মদ বিক্রি করা হচ্ছিল। অবৈধ ভাবে মদ বিক্রি করার অভিযোগে দোকান মালিক ও দুই কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও দু’টি দোকান, যেখানে দেশি মদ বিক্রি করা হয় সেই দু’টি দোকানও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”

ডাকাতির আগেই কলেজ ছাত্র-সহ ধৃত ৫

গভীর রাতে ইএম বাইপাসের নির্জন এলাকায় দাঁড়িয়ে রয়েছে একটা টাটা ইন্ডিকা। ভিতরে বসে চার যুবক। বিষয়টি দেখেই সন্দেহ হয়েছিল সোনারপুর থানার টহলদার জিপের। গাড়ি থেকে যুবকদের নামিয়ে তল্লাশি করতেই উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র ও ভোজালি। এর পরেই চার যুবককে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ধৃতদের কাছ থেকে দু’টি ওয়ান শটার রিভলভার, একটি পাইপগান, চারটি তাজা কার্তুজ ও দু’টি ভোজালি মিলেছে। মিলেছে এক শিশি ক্লোরোফর্ম-ও। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বিষ্ণুপদ মণ্ডল, সুরজ বসাক, বিশ্বজিত্‌ মিস্ত্রি ও গৌতম সর্দার নামে ওই চার জন ডাকাতি করার জন্য জড়ো হয়েছিল। বাকি তিন জন দাগি দুষ্কৃতী হলেও সুরজ দক্ষিণ শহরতলির একটি কলেজে ইংরেজি অনার্সের প্রথম বর্ষের ছাত্র। পরে তাদের জেরা করে আরও এক জনকে বুধবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রের খবর, সুরজ পাটুলির বাসিন্দা। তার বাবা একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। চিত্রশিল্পী হিসেবেও পরিচয় রয়েছে তাঁর। সুরজেরও আঁকার হাত ভাল। সম্প্রতি বৃজি এলাকার বাসিন্দা গৌতম সর্দারের সঙ্গে সুরজের পরিচয় হয়। সে-ই সহজে টাকা আয়ের টোপ দিয়ে সুরজকে এই কাজে নিয়ে এসেছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। তাঁরা জেনেছেন, লুঠে সফল হতে পারলে লাখ দুয়েক টাকা মিলবে বলে সুরজকে বলা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের কাছ থেকে এক শিশি ‘রিমুভার’ মিলেছে। কোনও জায়গায় লুঠ-ডাকাতি সেরে পালানোর পরে গাড়ির নম্বর প্লেট বদলানোর সময় ওই রাসায়নিক ব্যবহার করা হত। নম্বর প্লেটে ওই রাসায়নিক লাগিয়ে দিলে সংখ্যাগুলি উঠে যেত। সেই সংখ্যার জায়গায় অন্য কোনও সংখ্যা বসিয়ে দিলেই গাড়ির নম্বর বদলে যেত বলে ধৃতেরা পুলিশকে জানিয়েছে।

তেলঙ্গানা ইস্যুতে অন্ধ্র বিধানসভার অধিবেশন মুলতুবি
তেলঙ্গানা নিয়ে ফের উত্তাল হয়ে উঠল অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভা। অন্ধ্র বিধানসভায় পৃথক তেলঙ্গানার খসড়া বিল নিয়ে আলোচনা বুধবারও সম্ভব হল না। তেলগু দেশম পার্টি, ওআইএসআর কংগ্রেস এবং সিপিআই-এর বিধায়করা বিধানসভা কক্ষের ওয়েলে নেমে আসেন। তাঁরা একজোটে অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন বিল-২০১৩ বিরোধিতায় স্লোগান দিতে থাকেন। এরই সঙ্গে সীমান্ধ্র এবং রায়ালসীমা বিধায়কদের বিরোধিতার জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে বিধানসভার অধিবেশন। অনেক চেষ্টাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় এক ঘণ্টার জন্য অধিবেশন মুলতুবিরর সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার এন মনোহর। পরে আবার অধিবেশন শুরু হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় শেষ পর্যন্ত আজকের মত বিধানসভার অধিবেশন শেষ করেন স্পিকার।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কোহলির সাহসী শতরান
স্টেইন-মর্কেল-ফিলান্ডার-কালিসের পেস-ঝড় সামলে বিরাট কোহলির দাপুটে শতরানের দৌলতে ওয়ান্ডারার্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারত। ওয়ান্ডারার্সে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। কিন্তু শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয় ধোনি বাহিনীকে। পেস সহায়ক উইকেটে শুরু থেকে ডেল স্টেইন ও ভার্নন ফিলান্ডারের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ব্যাক ফুটেই রাখে ভারতের দুই ওপেনার মুরলি বিজয় ও শিখর ধবনকে। নবম ওভারের শেষ বলে ধবনকে আউট করেন ডেল স্টেইন। ২৭ বলে ১৩ রান করেন তিনি।
শতরানের মুহূর্তে। সাক্ষী কালিস। ছবি: এএফপি।
এর পর ব্যক্তিগত ৬ রানে মর্কেলের বলে ডে’ভিলিয়ার্সের হাতে শেষ হয় মুরলি বিজয়ের ইনিংস। বিপর্যয় সামলে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন পূজারা এবং কোহলি। ২৪ রানে দুই উইকেট হারানোর পর এই দুই ব্যাটসম্যানের হাত ধরে একশো রানের গণ্ডি পেরোয় ভারত। কোহলিও টপকে যান পঞ্চাশ রানের গণ্ডি। এর পর ৪৩ ওভারের মাথায় ইমরান তাহিরের ওভারে রান আউট হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরেন পূজারা। পূজারা আউট হওয়ার দশ ওভার পরই ফিল্যান্ডারের বলে ডে’ভিলিয়ার্সের হাতে শেষ হয় রোহিত শর্মার ইনিংসও। কিন্তু রাহানেকে সঙ্গে নিয়ে কোহলি তখনও আক্রমণ করে চলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেস-ঝড়ের বিরুদ্ধে। বিপর্যয় সামলে কোহলি-রাহানে জুটি আরও ৬৮ রান যোগ করে ভারতের স্কোর বোর্ডে। ৭৬ ওভারে কালিসের বলে ১৮১ বলে ১১৯ রানে শেষ হয় কোহলির অনবদ্য ইনিংস।

সবিস্তার স্কোর



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.