শূন্যপদ চাহিদা অনুসারে পূরণ না হওয়ার কারণে বনরক্ষার কাজে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বনকর্মীদের। শনিবার শিলিগুড়িতে ফরেস্ট রেঞ্জার ফোরামের দ্বিবার্ষিক সভায় এই সমস্যা নিয়ে আলোচনায় এই কথা জানান ফোরামের সদস্যরা। ফরেস্ট রেঞ্জার ফোরামের সভাপতি কাঞ্চন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শূন্যপদের চেয়ে অনেক কম রয়েছে নিয়োগের হার। নানা সময়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কাজ করতে গিয়ে। পর্যাপ্ত লোক না থাকায় নিরাপত্তা, অফিসের কাজ, গণনার কাজে যোগ দেওয়া সমস্ত কাজ সামলাতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে।” এ রাজ্যের বনকর্মীরা যে বেতনক্রমের ক্ষেত্রেও বঞ্চনার স্বীকার হয়েছেন তা নিয়েও একমত হন সকলেই। ফোরাম সম্পাদক মানস আচার্য বলেন, “সারা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যের বনকর্মীদের বেতনক্রমে বিস্তর ফারাক। সপ্তদশ-অষ্টাদশক্রমে বেতন পাচ্ছেন দেশের অন্য রাজ্যের বনকর্মীরা, পশ্চিমবঙ্গের একাদশ-দ্বাদশ ক্রমে বেতন দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যবধান মুছে যাওয়া দরকার।” এ দিন শুরু হয়ে এই ফোরাম চলবে রবিবার পর্যন্ত। রাজ্য থেকে প্রায় পঞ্চাশ জন রেঞ্জার যোগ দিয়েছেন।
|
গভীর জঙ্গলে গুলির লড়াই চলল চোরাশিকারিদের সঙ্গে বনকর্মীদের। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পশ্চিম রাজাভাতখাওয়া বিটের জঙ্গলে। শেষে বনকর্মীদের তাড়ায় চোরাশিকারী দলটি পালিয়ে গেলেও ফেলে যায় একটি ছররা বন্দুক। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ৮ জনের বনকর্মীর দল এলাকায় টহল দিচ্ছিল। সেই সময় আচমকা ছররা গুলি চালানো শুরু করে দুষ্কৃতীরা। বনকর্মীরাও পাল্টা দুই রাউন্ড ছররা গুলি চালান। তারপরে দুষ্কৃতীরা পালায়। ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। বন কর্তাদের অনুমান, হাতির দাঁতের জন্যই দলটি জঙ্গলে ঢোকে।
|
গ্রামে ঢুকে পড়েছিল হাতির পাল। তা দেখতে গিয়েই মৃত্যু হল যুবকের। শনিবার বিকেলে বাঁকুড়ার তালড্যাংরার কুচাডোবা গ্রামের ঘটনা। মৃত ভোলানাথ পাইনের (৩২) বাড়ি রামপুরে। সিমলাপালের রেঞ্জ অফিসার জীবনকৃষ্ণ হালদার জানান, ১০টি হাতি তালড্যাংরায় ঢোকে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকে হাতির দলের কাছে চলে যান। হঠাৎই একটি হাতি ওই যুবককে সামনে পেয়ে পিষে মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
|
গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালাল এক দল হাতি। আতঙ্কে অনেকে গ্রাম ছাড়লেও ঘুমিয়ে ছিলেন এক মহিলা। একটি হাতি শুঁড়ে পেঁচিয়ে তাঁকে আছাড় মারে। পরে বাসিন্দারা তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। শুক্রবার গভীর রাতে ধুবুরি জেলার মানকাচরের কুসানিমার জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের ঘটনা। ৩০ টি হাতি ঘর-বাড়ি ভেঙে জমির ফসল নষ্ট করে মেঘালয়ের জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
|