টুকরো খবর
সল্টলেকে ফের উদ্ধার সদ্যোজাত
ফের সল্টলেক থেকে উদ্ধার করা হল এক সদ্যোজাতকে। বুধবার ভোরে কে বি-কে সি ব্লকে একটি আবাসনের মধ্যে এক দিনের ওই শিশুটির কান্না শুনতে পেয়ে প্রাতর্ভ্রমণকারীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে সল্টলেক মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটি সুস্থ রয়েছে। পুলিশ জানায়, প্লাস্টিকে জড়িয়ে কেউ বা কারা শিশুটিকে ফেলে যায়। উল্লেখ্য, এক বছর আগে বিধাননগর পূর্ব থানা এলাকায় কেষ্টপুর খালপাড় থেকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় এক সদ্যোজাতকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তাকে বাঁচানো যায়নি। তারও আগে সল্টলেক স্টেডিয়ামে সাই কমপ্লেক্সের বাইরে থেকে প্লাস্টিকে জড়ানো অবস্থায় এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সল্টলেকের বিধায়ক সুজিত বসু তাঁর বিধায়ক তহবিল থেকে শিশুটির চিকিৎসার খরচ বহন করছেন। সুজিতবাবু বলেন, “বার বার সল্টলেকে এমন ঘটছে। এটা সামাজিক অপরাধ।”

লুকিয়ে সোনা এনে ধৃত দুই ব্যক্তি
লুকিয়ে সোনা আনতে গিয়ে ধরা পড়লেন দুই বিমানযাত্রী। ব্যাঙ্কক থেকে তাঁরা যে সোনা নিয়ে আসছেন, তা জেনে যান কলকাতা বিমানবন্দরের শুল্ক অফিসারেরা। মঙ্গলবার গভীর রাতে তাই এয়ারওয়েজের উড়ানে দিল্লির বাসিন্দা ওই দুই যাত্রী কামরুদ্দিন (৫০) এবং সাবির আহমেদ (৩০) কলকাতায় নামার পরে শুরু হয় তল্লাশি। দেখা যায়, তাঁদের সঙ্গের ট্রলিব্যাগের তলায় আঠা দিয়ে সাঁটা আছে সোনার বার। দু’জনের কাছে প্রায় দেড় কেজির ৬টি বার ছিল। যার বাজার দর প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছেন শুল্ক অফিসারেরা। ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মাসেই অন্য এক বিমানযাত্রীর কাছ থেকেও পাওয়া গিয়েছিল ৫০০ গ্রাম সোনা। গত মাসে তিনটি ঘটনায় চোরাই সোনা বাজেয়াপ্ত করেছেন শুল্ক অফিসারেরা। তার মধ্যে এক বার বিমানের শৌচাগার থেকে পাওয়া গিয়েছিল ২৪ কিলোগ্রাম সোনা।

শ্লীলতাহানি, দুষ্কৃতীকে পুলিশে দিলেন তরুণী
আগের ডিসেম্বরে চলন্ত বাসে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত লড়েছিলেন দিল্লির নির্ভয়া। চলতি ডিসেম্বরে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলার বাসস্টপে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে রুখে দাঁড়ালেন এক তরুণী। অভিযুক্ত যুবকের কলার চেপে ধরে তাকে তুলে দিলেন পুলিশের হাতে। বছর একুশের ওই তরুণীর বয়ান অনুযায়ী, প্রতিদিনের মতো বুধবারেও রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ সল্টলেকের কর্মস্থল থেকে সরকারি বাসে ধর্মতলায় পৌঁছন তিনি। তরুণী বলেন, “আমি বাস থেকে নামার পরেই রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা এক যুবক আমাকে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করে। প্রথমে কিছুটা ভয় পেলেও আমি চিৎকার শুরু করি। তার পরে ছেলেটার জামার কলার চেপে ধরি, যাতে পালিয়ে যেতে না-পারে।” শহরের অতিব্যস্ত এলাকায় এক যুবকের কলার ধরে তরুণীকে চিৎকার করতে দেখে ভিড় জমে যায়। পথচারীদের সাহায্যে অভিযুক্তকে নিয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশ মহম্মদ আকবর নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে।

অভিযুক্তের বাড়ি থেকে উদ্ধার গিনি
ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জগাছার মৌখালি থেকে গ্রেফতার হয়েছিল এক যুবক। ধৃতকে জেরা করে তার বাড়ি থেকে মিলল লক্ষাধিক টাকার সোনার গিনি ও নগদ। পুলিশের অনুমান, ধৃত আন্তর্জাতিক চোরাচালান চক্রে যুক্ত। কারণ, গিনিগুলিতে ব্রিটেনের রাজা-রানির ছবি রয়েছে। উল্লিখিত সালও পুরনো। পুলিশ জানায়, ৫ ডিসেম্বর শেখ বাদশা নামে ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়। আদালত তাকে পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজত দেয়। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (সদর) নিশাত পারভেজ বুধবার জানান, বাদশাকে জেরায় পুলিশ জানতে পারে, তার বাড়িতে প্রচুর গিনি ও টাকা আছে। মঙ্গলবার তার বাড়ি থেকে মেলে ৩১টি গিনি ও ৬ লক্ষ ৪২ হাজার টাকা। ডিসি সদর বলেন, “জেরায় কয়েক জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। গিনিগুলি কোনও সংগ্রশালা থেকে চুরি করা কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

দুষ্কৃতী গ্রেফতার
আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে টাকা ও নথি ছিনতাই করার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শেখ সেলিম। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে কাশীপুর রোডে। পুলিশ জানায়, ওই রাতেই দীনেশকুমার বিশ্বাস নামে এক সিইএসসি কর্মী থানায় অভিযোগ জানান, তিনি যখন আরও কিছু কর্মীর সঙ্গে চিৎপুর থানার কে সি রোডে কেব্লের তার লাগানোর কাজ করছিলেন, তখন চার জন তাঁদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে কয়েক হাজার টাকা ও কিছু জরুরি নথি ছিনতাই করে পালায়। রাতেই সেলিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে কিছু টাকা ও নথি মিলেছে বলে পুলিশ জানায়। বাকিদের খোঁজ চলছে।

যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু
এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। মঙ্গলবার, সল্টলেকের মিলননগরে। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ নন্দী (২৬)। তিনি মিলননগরে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তাঁর আসল বাড়ি বাঁকুড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকালে বিশ্বজিতের এক সহকর্মী তাঁকে অনেক বার ফোন করেন। কিন্তু না পাওয়ায় তিনি মিলননগরে চলে যান। গিয়ে দেখেন, বিশ্বজিতের ঘরের দরজা বন্ধ। বহু বার ডেকেও সাড়া মেলেনি। এর পরেই পুলিশে খবর যায়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে বিশ্বজিতের দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, একটি সুইসাইড নোট মিলেছে। তবে মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করেননি বিশ্বজিৎ।

কলেজে হেনস্থা
গড়িয়ার দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ও পরিচালন সমিতির সভাপতি হরপ্রসাদ সমাদ্দারকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। কলেজ সূত্রের খবর, বুধবার সমিতির বৈঠক চলাকালীন হেনস্থার ঘটনা ঘটে। হরপ্রসাদবাবুর অভিযোগ, “সমিতির নতুন সদস্য, তৃণমূল নেতা তপন দাশগুপ্তের উপস্থিতিতে টিএমসিপির পড়ুয়ারা আমাদের গালিগালাজ করে।” টিএমসিপির তরফে বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “কী হয়েছে জানার চেষ্টা করছি।”

জখম বন্দি
বন্দিদের মধ্যে হাতাহাতির জেরে জখম হল এক বিচারাধীন বন্দি। বুধবার, দমদম সংশোধনাগারে। পুলিশ জানায়, সুরজিৎ দাস নামে এক বিচারাধীন বন্দির সঙ্গে ওই জেলেরই তিন বিচারাধীন বন্দি মারপিটে জড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, সুরজিতকে দোতলার বারান্দা থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়। তার মাথায় ও পিঠে চোট লাগে। জেল সুপার বিপ্লব দাস বলেন, “দমদম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সুরজিত আর জি করে ভর্তি। তার অবস্থা স্থিতিশীল।”

যাদবপুরে ভোট
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচন হবে ২৮ জানুয়ারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রদীপ ঘোষ জানান, বুধবার এই মর্মে নির্দেশিকা জারি হয়েছে। যাদবপুর, কলকাতা ও প্রেসিডেন্সিতে ছাত্রভোটের দিনক্ষণ ঠিক করার জন্য সম্প্রতি ওই তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের বৈঠক হয়। সেখানেই ২৮ জানুয়ারি যাদবপুরে ভোট করার প্রস্তাব আসে। বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ আলোচনা করে ওই তারিখটি চূড়ান্ত করেন।

দুর্ঘটনায় মৃত শিশু
রাস্তা পেরোতে গিয়ে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক শিশুর। বুধবার, মহেশতলার রবীন্দ্রনগর থানা এলাকায়। মৃতের নাম সিদ্দিকুল্লা ইসলাম (৫)। পুলিশ জানায়, বাবার হাত ধরে রাস্তা পার হচ্ছিল সিদ্দিকুল্লা। আচমকা পিছন থেকে একটি গাড়ি এসে ধাক্কা মারে তাকে। স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনাকে ঘিরে পথ অবরোধ হয়।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.