স্ত্রীর অসুস্থতার কথা জানিয়ে শুক্রবারই এক মাসের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন সঞ্জয় দত্ত। যদিও সঞ্জয়ের স্ত্রী মান্যতাকে দেখা গেল একটি ছবির প্রদর্শনীতে। তার পরে পার্টিতেও যান মান্যতা। স্বাভাবিক ভাবেই, শুরু হয়েছে বিতর্ক-জল্পনা-সমলোচনা সবই।
গত কাল জেল কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব মতো সঞ্জয়ের মুক্তি মঞ্জুর করেছিলেন পুণের ডিভিশনাল কমিশনার প্রভাকর দেশমুখ। এর আগেও এক মাস-ব্যাপী সময় প্যারোলে ছাড়া পেয়েছিলেন সঞ্জয়। সে বার কারণ হিসেবে নিজের অসুস্থতার কথা জানান অভিনেতা। এ বার স্ত্রীর অসুস্থতা। এ দিকে ‘অসুস্থ’ মান্যতার ছবি ধরা পড়েছে স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে।
আর তাতেই উত্তেজনা বাড়ে। সমালোচনা শুরু হয় নানা মহলে। আজ পুণের ইয়েরওয়াড়া জেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখান অনেকে। তাঁরা কালো পতাকা, ব্যানার হাতে স্লোগান দিতে দিতে জড়ো হন জেলের সামনে। বিক্ষুব্ধদের দাবি, ১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণ কাণ্ডে আর পাঁচ জন দোষীর মতোই ব্যবহার করা হোক সঞ্জয় দত্তের সঙ্গেও। “যদি এ ভাবেই বিশেষ ব্যবস্থা করা হয় সঞ্জয়ের জন্য, তা হলে খুব শিগগিরি জেল ভরো আন্দোলনে নামবো আমরা”, বললেন এক বিক্ষুব্ধ। উল্লেখ্য, এই নিয়ে এক মাসের ব্যবধানে দু’বার প্যারোলে ছাড়া পেলেন অভিনেতা। অভিযোগ শুনে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর আর পাটিল। তিনি বলেন, “প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিলেন ডিভিশনাল কমিশনার। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি।” তবে মান্যতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে আজও তাঁর চিকিৎসক অজয় চাউঘুলে বলেন, “ওঁর যকৃতে টিউমার ধরা পড়েছে। ১৫-২০ দিনের মধ্যেই দশ কেজি ওজন ঝরে গিয়েছে ওঁর।” তবে এ অবস্থাতেও কী ভাবে পার্টি করছেন তিনি, সে জবাব মেলেনি এখনও।
|
পুণের একটি সঙ্গীত অনুষ্ঠানে অনুষ্কাশঙ্কর। পিটিআইয়ের ছবি। |
ক্যালকাটা গার্লসের ১২৫তম বর্ষপূর্তিতে অনুষ্ঠান। শনিবার, টাউন হলে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক। |
|