টাটকা খবর
কৃষ্ণাঙ্গ বিপ্লবের নায়কের জীবনাবসান
চলে গেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলা। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ জোহানেসবার্গের বাড়িতে মৃত্যু হয় তাঁর। বৃহস্পতিবার রাতে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে এক বিবৃতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা জানান ‘‘দেশের মহানতম সন্তানকে হারালাম আমরা। দেশবাসী হারাল তাঁদের পিতাকে। দেশের পক্ষে এ এক অপূরণীয় ক্ষতি। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হবে তাঁর শেষকৃত্য।’’ গণতান্ত্রিক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিষ্ঠাতা তথা কৃষ্ণাঙ্গ বিপ্লবের এই মহান নায়কের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বিশ্ব।
১৯১৮ সালের ১৮ জুলাই দক্ষিণ আফ্রিকার উমতাতু প্রদেশের এমভেজো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নেলসন ম্যান্ডেলা। ছোটোবেলায় প্রচণ্ড ডানপিটে হওয়ায় তাঁর নাম দেওয়া হয় রোলিলালা, স্থানীয় ভাযায় যার মানে ‘উপদ্রবকারী’। তাঁর এক পূর্বপুরুষের নাম অনুযায়ী তাঁর পদবী ম্যান্ডেলা। এক শিক্ষক তাঁর নাম দেন নেলসন। উইথওয়াটারস্ট্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনার সময়ে প্রথম বর্ণবিদ্বেষের শিকার হন তিনি। আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে ১৯৪৪ সালের ১০ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠা করেন যুব লিগের। ১৯৪৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় সাউথ আফ্রিকান ন্যাশনাল পার্টি ক্ষমতায় এলে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতৃত্বের সামনের সারিতে আসেন তিনি। অংশ নেন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সশস্ত্র সংগঠন উমখন্তো উই সিজওয়ের আন্দোলনে।
শেষ শ্রদ্ধা। জোহানেসবার্গে ম্যান্ডেলার বাড়ির সামনে। ছবি: রয়টার্স।
১৯৬২ সালে অন্তর্ঘাত-সহ নানা অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তাঁর। ২৭ বছর কারাবাসের পরে ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মুক্ত হন তিনি। ১৯৯১-’৯৭ পর্যন্ত আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি। ১৯৯৪ সালে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হন তিনি। সারা জীবনে পেয়েছেন প্রচুর পুরস্কার। ১৯৯৩ সালে তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার পান। ১৯৯০ সালে ভারত সফরের সময়ে তাঁকে ভারতরত্ন সম্মান দেয় সরকার।

বিশ্বজোড়া স্মরণ
এক জন অন্যতম প্রভাবশালী, সাহসী নেতা এবং ভাল মানুষকে হারাল বিশ্ব।
বারাক ওবামা,
এক জন আদর্শ গাঁধীবাদী নেতার মৃত্যু হল। শুধুমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকা নয়, এই ক্ষতি ভারত-সহ গোটা বিশ্বের। আগামী প্রজন্মের কাছে তিনি এক বিরাট উদাহরণ।
মনমোহন সিংহ,
বর্তমান যুগের সর্বোচ্চ নেতাকে হারালাম। নিভে গেল একটি উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক।
ডেভিড ক্যামেরন,
দেশের মহানতম সন্তানকে হারালাম আমরা। দেশবাসী হারাল তাঁদের পিতাকে। দেশের পক্ষে এ এক অপূরণীয় ক্ষতি।
জ্যাকব জুমা,
বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মহান নেতার মৃত্যু। তিনি ছিলেন মানুষের স্বপ্ন ও আশার প্রতিভু।
ডেসমন্ড টুটু,
মহান নেতার মৃত্যু। মানবতার অণুপ্রেরণা ছিলেন তিনি।
প্রণব মুখোপাধ্যায়,
চিনের এক পুরনো বন্ধুকে হারালাম। দক্ষিণ আফ্রিকা তথা বিশ্বে তাঁর ঐতিহাসিক অবদান অনস্বীকার্য।
জি জিনপিং,
বিরামহীন যোদ্ধার মৃত্যু। সাহসী এক নেতাকে হারাল বিশ্ব।
ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ,
বর্ণবৈষম্য আন্দোলনের মূর্ত প্রতীক ছিলেন নেলসন ম্যান্ডেলা। তিনি সমগ্র জীবন উত্সর্গ করেছেন অন্যায় ও বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তাঁর মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,
নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে সাক্ষাত্ আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় দিনগুলির মধ্যে একটি। একজন সত্যিকারের ‘অনুপ্রেরণা’ তিনি। আমার হৃদয়ে তিনি অমর হয়ে থাকবেন।
সচিন তেন্ডুলকর,

বিদায় ম্যান্ডেলা। দেখুন...

বিশ্বমানবতার পরিভ্রমণ...
১৮ জুলাই, ১৯১৮ দক্ষিণ আফ্রিকার উমতাতু প্রদেশের এমভেজো গ্রামে জন্ম।
১৯২৫ ছোট্ট গ্রাম কুনু-র প্রাথমিক স্কুলে হাতেখড়ি। স্কুলের এক শিক্ষক তাঁর নাম দেন ‘নেলসন’।
১৯৩০ থেম্বু রিজেন্টের একটি মিশনারি স্কুলে পড়াশোনা।
১৯৩৪ ক্লার্কবারির বোর্ডিং স্কুলে ভর্তি।
১৯৩৭ ফোর্ট বেউফোর্টের ওয়েসলেয়ান কলেজে ভর্তি।
১৯৩৯ ওয়েসলেয়ান কলেজ থেকে বিতারিত ম্যান্ডেলা। উইটওয়াটারস্ট্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে স্নাতক।
১৯৪৩ আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি)-এ যোগদান।
১৯৪৪ এএনসি-র অধীনে তৈরি করেন যুব লিগ।
১৯৪৮ সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ।
১৯৫৬ রাজদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতার।
১৯৬১ এএনসি-র সশস্ত্র সংগঠন উমখন্তো উই সিজওয়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব।
১৯৬২ গ্রেফতার করে জোহানেসবার্গের জেলে পাঠানো হল তাঁকে।
১৯৬৪ অন্তর্ঘাত-সহ নানা অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
১৯৮২ গ্রেফতার হওয়া অন্য নেতাদের সঙ্গে পোলসমোরের একটি কারাগারে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়।
১৯৯০ ২৭ বছর কারাবাসের পর ১১ ফেব্রুয়ারি মুক্তি। পেলেন ভারতরত্ন সম্মান।
১৯৯১ এএনসি-র প্রেসিডেন্ট হন তিনি।
১৯৯৩ পেলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার।
১৯৯৪ দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট।
১৯৯৯ সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর। তৈরি করলেন ‘নেলসন ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশন’।
২০০৯ ম্যান্ডেলার জন্মদিনকে ‘ম্যান্ডেলা দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রপুঞ্জের।
২০১২ ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
৫ ডিসেম্বর, ২০১৩ জোহানেসবার্গে মৃত্যু।

জামিন পেলেন জ্যোতির্ময় নন্দী
মহাকরণে কেরোসিনকাণ্ডে শুক্রবার আদালতে তোলা হয় জ্যোতির্ময় নন্দীকে। আদালত সূত্রে খবর, ১০০ টাকা ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেওয়া হয় তাঁকে। পুলিশ জানিয়েছে শুক্রবার সকালেই ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তাঁকে নিয়ে যায় হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। সকাল থেকেই এজলাসের ভিতরের বেঞ্চে ছেলের অপেক্ষায় প্রহর গুনছিলেন জ্যোতির্ময়বাবুর মা চিত্রা নন্দী। জামিন পাওয়ার পর স্বভাবতই স্বস্তিতে তাঁর পরিবার।
মায়ের সঙ্গে জ্যোতির্ময় নন্দী। ছবি: রণজিত্‌ নন্দী।
গত ২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র দফতরের অধীনে প্রকাশনা বিভাগের অফিসঘরে কীটনাশকের সঙ্গে কেরোসিন তেল মিশিয়ে স্প্রে করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল হুগলির শ্রীরামপুরের বাসিন্দা জ্যোতির্ময় নন্দীকে। এই ঘটনায় সন্দেহ প্রকাশ করে চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন স্বরাষ্ট্র-সচিব। কোনওরকম বৈধ প্রবেশপত্র ছাড়াই মহাকরণে ঢোকার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু জ্যোতির্ময়বাবু ‘সম্পূর্ণ নির্দোষ’ বলেই তদন্তকারী অফিসারদের জানান স্বরাষ্ট্র-প্রকাশনার রেজিস্ট্রার বিস্ময় রায়।

সারদা-মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ
সারদা-মামলার প্রথম সাক্ষীর লিখিত বয়ানের সঙ্গে বৃহস্পতিবার আদালতে দেওয়া সাক্ষ্য মেলেনি। শুক্রবার দ্বিতীয় সাক্ষীর ক্ষেত্রেও তার পুনরাবৃত্তি হল। ফলে বিড়ম্বনা আরও বাড়ল বিধাননগর পুলিশের।
বৃহস্পতিবার আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন সারদা গোষ্ঠীর একটি অফিসের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী বিমল গিরি। এ দিন সাক্ষ্য দিলেন সারদা গোষ্ঠীর এক সংবাদপত্রের পদস্থ কর্তা তথা কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি উজ্জ্বল পাল। উজ্জ্বলবাবু গত এপ্রিলে বিধাননগর পুলিশের কাছে অভিযোগপত্র পেশ করে জানিয়েছিলেন, সারদা-কর্ণধার সুদীপ্ত সেন কী ভাবে তাঁদের ঠকিয়েছেন। এমনকী, সুদীপ্তবাবুর নির্দেশে অফিসের বিদ্যুত্‌ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বলেও তাঁর অভিযোগ।
কিন্তু সেই অভিযোগকারীই এ দিন মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে যা বললেন, তাতে দু’টো ব্যাপার স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এক, তিনি অভিযোগপত্রটি লিখেছেন যে কম্পিউটারে সেটি সারদার সেই অফিসেরই, যেখানে বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছিল বলে তাঁর দাবি। দুই, অভিযোগপত্রটি যখন লেখা হয়, তখন অফিসে বিদ্যুত্‌ সংযোগ ছিল।
এ দিন বিধাননগর আদালতে উজ্জ্বলবাবু তাঁর সাক্ষ্যে বলেন, চলতি বছরের এপ্রিলে এক দিন সংবাদপত্রের অফিসে গিয়ে তিনি দেখেন, সকলের হাতে-হাতে ঘুরছে একটা ই-মেলের কপি। তাতে বলা হয়েছে, সারদার সব অফিস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, এবং কর্মীদের বকেয়া প্রাপ্য জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়া হবে। মেলের প্রেরক স্বয়ং সুদীপ্ত সেন। এ হেন বার্তা পেয়ে কর্মীরা সকলে মিলে সারদা-কর্তার বিরুদ্ধে এফআইআর দাখিলের সিদ্ধান্ত নেন। বিধাননগর পাঁচ নম্বর সেক্টর থানায় গিয়ে তাঁরা এফআইআর লিপিবদ্ধ করেন। প্রসঙ্গত, সারদা-কাণ্ডের এই মামলাটিতে মূল অভিযোগ সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত-তালিকায় রয়েছেন দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও মনোজ নাগেলও।
অভিযোগপত্রটিতে অবশ্য উজ্জ্বলবাবু ছাড়া আরও এক জনের সই ছিল, যা পরে কেটে দেওয়া হয়েছে। তাতে কম্পিউটারে ছাপা অক্ষরের সঙ্গে হাতের লেখাও ছিল একাধিক জায়গায়। অভিযুক্তপক্ষের কৌঁসুলি উজ্জ্বলবাবুকে অভিযোগপত্র দেখিয়ে জানতে চান, এখানে অনেকের হাতের লেখা রয়েছে। সেগুলো কাদের?
উজ্জ্বলবাবু বলতে পারেননি। তিনি শুধু নিজের সইটিই চিনতে পেরেছেন। পাশাপাশি তিনি সুদীপ্ত সেনের সংবাদপত্রে ১০-১১ মাস কাজ করলেও নিয়োগপত্র কিংবা কর্মী-পরিচিতির কোনও প্রমাণ এ দিন দেখাতে পারেননি। শুধু তা-ই নয়, উজ্জ্বলবাবু এ দিন আদালতে সুদীপ্ত সেনকে শনাক্ত করেছেন বটে, কিন্তু দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে আদৌ চিনতে পারেননি। কেন?
উজ্জ্বলবাবুর যুক্তি, তিনি দেবযানীকে আগে কোনও দিন দেখেননি, তাঁর সম্পর্কে কোনও দিন কোনও অভিযোগও করেননি। যদিও পুলিশের দাবি, তাদের কাছে দেওয়া লিখিত বয়ানে তিনি দেবযানীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছিলেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা, সৌম্যজিত্‌ রাহা প্রশ্ন করলে উজ্জ্বলবাবু বলেন, এফআইআর দাখিলের পরে তিনি কাউকে কোনও বয়ান দেননি।
বস্তুত বিপক্ষের কৌঁসুলিদের লাগাতার প্রশ্নের মুখে উজ্জ্বলবাবুকে এ দিন রীতিমতো হিমসিম খেতে হয়েছে। মাঝে তিনি বিচারকের অনুমতি নিয়ে কাঠগড়া থেকে নেমে ঢকঢক করে জল খান। সুদীপ্ত-দেবযানীর কৌঁসুলি অনির্বাণবাবু আদালতের বাইরে বলেন, “এফআইআর হল মামলার ভিত্তি। দ্বিতীয় সাক্ষীর বয়ানের পরে সেই ভিত্তিতেই ফাটল ধরে গেল।” সরকারপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি শেখর চক্রবর্তী অবশ্য এ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

মহিলাদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, চাপের মুখে ক্ষমা চাইলেন ফারুখ
মহিলাদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে বিতর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লা। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মহিলা সহায়ক রাখা অনুচিত। যে কোনও সময়েই যৌন নির্যাতনের অভিযোগে জেল হতে পারে।’’ পরে অবশ্য মন্তব্যের ‘ভুল ব্যাখ্যা’ করা হয়েছে বলে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি।
শুক্রবার সংসদের বাইরে নারী নির্যাতন নিয়ে সাংবাদিকদের একটি প্রশ্নের উত্তরে ফারুখ বলেন ‘‘এখন পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, কোনও মহিলার সঙ্গে কথা বলতেও ভয় হয়। আমার মনে হয় মহিলা সহায়ক রাখাও উচিত না। যে কোনও সময়েই যৌন নির্যাতনের অভিযোগে জেল হতে পারে।’’ নারী সমাজকেই তিনি এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী করছেন কি না তার উত্তরে তিনি বলেন ‘’দোষ মহিলাদের নয়। কিন্তু পরিস্থিতি এমনই যে, অভিযোগ শুধুমাত্র মহিলাদের তরফ থেকেই করা হচ্ছে।’’
তাঁর এই মন্তব্যের প্রতিবাদে সরব হয় বিজেপি। বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি মন্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক বলে আখ্যা দেন। জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ও ফারুখ পুত্র ওমর আবদুল্লাও মন্তব্যের জন্য ফারুখকে ক্ষমা চাইতে বলেন। এর পরেই তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন ফারুখ আবদুল্লা।

ফের বনধে বিপর্যস্ত সীমান্ধ্র ও রায়লসীমা
ফের বনধে বিপর্যস্ত সীমান্ধ্র ও রায়লসীমা অঞ্চলের জনজীবন। বৃহস্পতিবার তেলঙ্গনা খসড়া বিলে কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন দেয়। তার প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে ওই দুই অঞ্চলে বনধ ডাকে টিডিপি ও ওয়াইএসআরসিপি। স্কুল-কলেজ ও দোকানপাট সব বন্ধ ছিল এ দিন। রাস্তায় নামেনি অন্ধ্রপ্রদেশ পরিবহণ নিগমের কেনও বাস। নিগম সূত্রে খবর, ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় সমস্ত দূরপাল্লার বাস বন্ধ রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবারে খসড়া বিলে অনুমোদনের পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ার আশঙ্কায় প্রশাসনকে আগাম সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে এ দিন সকালে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয় সীমান্ধ্র ও রায়লসীমা অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায়। বিজয়ওয়াড়াতে বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় গ্রেফতার করা হয়েছে টিডিপি বিধায়ক দেবীনেনি উমামহেশ্বর রাও-সহ বেশ কয়েক জনকে। বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে পূর্ব গোদাবরী জেলায়। সীমান্ধ্রের ১৩টি জেলায় এই বনধে অংশ নিয়েছে ‘দ্য সীমান্ধ্র ল’ইয়ারস জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি’(জেএসি)। জেএসি-র আহ্বায়ক মুপাল্লা সুব্বা রাও বলেন, ‘‘আমরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাব। আজ সন্ধেয় এক বৈঠকে বসে আগামী দিনের কর্মসূচি ঠিক করা হবে।’’
পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, এ দিনের পরিস্থিতির কথা ভেবেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদদের বাসভবনগুলিতে। এ ছাড়াও নজরদারি চালানো হচ্ছে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়।

অপহৃত বাঙালি টেলিকম কর্মীর মুক্তিপণ দাবি ৫ কোটি
দিল্লির টেলিকম সংস্থার কর্মী দীপ মণ্ডলের মুক্তিপণ হিসাবে ৫ কোটি টাকা দাবি করেছে অপহরণকারীরা। শুক্রবার এ কথা জানাল মিজোরাম পুলিশ। দীপের সঙ্গে অপর যে দু’জনকে অপহরণ করা হয়েছিল তাঁদের জন্য কোনও মুক্তিপণ দাবি করা হয়নি বলেও জানিয়েছে পুলিশ। ওই দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন মিজোরাম-বাংলাদেশ-ত্রিপুরা সীমান্তে মামিত-এর ট্যাক্সি চালক। অন্য জন আইজলের বাসিন্দা। তাঁরা ফোনে তাঁদের পরিবারকে জানিয়েছেন, ১০-২০ জনের সশস্ত্র একটি দল তাঁদের অপহরণ করে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে তাঁদের দু’জায়গায় রেখেছিল।
এ দিকে, ট্যাক্সি চালকের মুক্তির দাবিতে মিজো স্টুডেন্টস ফেডারেশন ও ট্যাক্সি চালক সংগঠন আইজল থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত মিছিল করে বৃহস্পতিবার।

রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পুরস্কার পেলেন মালালা
রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার পুরস্কার পেলেন মালালা ইউসুফজাই। পাকিস্তানের পনেরো বছরের এই কিশোরী মেয়েদের শিক্ষার অধিকারের দাবিতে সরব হয়েছিলেন। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে চমকে দিয়েছিলেন সারা বিশ্বকে। বন্দুকের গুলিও তাঁকে টলাতে পারেনি। তাঁর এই কৃতিত্বের জন্য আগেই পেয়েছেন আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার। এ বার আরও একটি সম্মান তাঁর ঝুলিতে।
অফিস অফ দ্য হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস(ওএইচসিএইচআর) সূত্রে খবর, আগামী ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর কার্যালয়ে এই পুরস্কার দেওয়া হবে। পাশাপাশি, ওএইচসিএইচআর-এর সৃষ্টির ২০ বছর পূর্তি ও ‘ভিয়েনা ঘোষণাপত্র’-এর উদযাপন করা হবে ওই দিন।
ওএইচসিএইচআর আরও জানিয়েছে, সারা বিশ্বে মানবাধিকার নিয়ে যাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তাঁদের অনুপ্রেরণা ও উত্সাহ দিতে এই পুরস্কারের আয়োজন করা হয়।

তৃণমূলে যোগ দিলেন সপা-র চাঁদ মহম্মদ
শেষ পর্যন্ত তৃণমূলেই যোগ দিলেন সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক চাঁদ মহম্মদ। বামফ্রন্টের সিদ্ধান্ত ভেঙে বিধানসভার ৭৫ বর্ষ-সমাপ্তির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দু’দিন আগেই বাম শিবিরে ভাঙনের ইঙ্গিত স্পষ্ট করেছিলেন চাঁদ। এ বার তৃণমূলে তাঁর যোগ দেওয়ার পরে বামফ্রন্টের শরিক হিসাবে সমাজবাদী পার্টির অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হল। দলের একমাত্র বিধায়ক হওয়ায় চাঁদের ক্ষেত্রে অবশ্য দলত্যাগ-বিরোধী আইন প্রযোজ্য হবে না। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় দাবি করেছেন, “চাঁদ মহম্মদ তাঁর অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বাংলার সমাজবাদী পার্টিও তৃণমূলের সঙ্গে মিশে গেল। দল ও সরকার নিশ্চিত ভাবে চাঁদকে কাজে লাগাবে।”

মহিলার দেহ উদ্ধার স্ট্র্যান্ড রোডে
শুক্রবার সকালে কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডে পরিত্যক্ত গুদামে এক মহিলার দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার আনুমানিক বয়স ২০-২৫। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় দেহটি। তাঁর পরনে ছিল চুড়িদার। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছে ওই মহিলাকে। তবে এখানে খুন না অন্য কোথাও খুন করে গুদামে দেহটি ফেলে দেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে উত্তর বন্দর থানার পুলিশ। মহিলার উপর কোনও শারীরিক অত্যাচার হয়েছে কি না তার জন্য ফরেন্সিক দলকে খবর দেওয়া হয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.