টাটকা খবর
নির্বিঘ্নেই শেষ দিল্লির ভোট
ভোট দেওয়ার পর সনিয়া গাঁধী এবং শীলা দীক্ষিত। ছবি: এএফপি।
দিল্লি বিধানসভার ৭০টি আসনের জন্য নির্বাচন হল বুধবার। এ দিন মোট ১১০০ টি বুথে ভোটগ্রহণ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার খারাপ হয়ে যাওয়ায় ১১২টি ইভিএম বদলানো হয়। প্রায় ৬৬ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে নির্বাচন দফতর সূত্রের খবর। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ভোট পড়েছিল প্রায় ৫৮ শতাংশ। এ দিন ৬৩০টি বুথকে উত্তেজনাপ্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। দিল্লি বিধানসভায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ১৯ লক্ষ। এদের মধ্যে ৬৬.১১ লক্ষ পুরুষ এবং ৫৩.২০ লক্ষ ভোটার মহিলা। নতুন ভোটারের সংখ্যা নেহাত কম ছিল না়, প্রায় ৪ লাখ ৫ হাজার।
ভোট দিলেন হর্ষ বর্ধন।
ছবি: পিটিআই।
অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
ছবি: এএফপি।
৭০টি আসনের প্রতিটিতেই কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছিল। বিজেপি দিয়েছিল ৬৬টি আসনে। যদিও এ বারের এই নির্বাচনে সারা দেশের নজরে ছিল এ দু’টি দলের বাইরে তৃতীয় একটি দল, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি তথা আপ। তারাও প্রতিটি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল। সব মিলিয়ে আজ ৮১০ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হয়। রাজধানীর এই নির্বাচনকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট করতে এ দিন দিল্লি পুলিশের প্রায় ৩৩ হাজার কর্মী-সহ ১০৭ কোম্পানি আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
সকাল ন’টাতেই কৃষ্ণনগরের একটি বুথে ভোট দেন বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হর্ষ বর্ধন। সকাল সোয়া আটটায় হনুমান রোডের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোট দেন আপ-এর প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নির্মাণ ভবনের একটি বুথে এ দিন সকালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত-সহ ভোট দিয়েছেন সনিয়া গাঁধী। ভোট দিয়েছেন রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা বঢরাও।
অন্য চারটি রাজ্যের সঙ্গে দিল্লি বিধানসভার এই নির্বাচনকে আগামী বছরের লোকসভা ভোটের আগে ‘সেমি ফাইনাল’ বলেই মনে করা হচ্ছে।
মোট ভোটার ১.১৯ কোটি
পুরুষ ৬৬.১১ লক্ষ
মহিলা ৫৩.২০ লক্ষ
নতুন ভোটার ৪ লাখ ৫ হাজার
মোট আসন ৭০টি
মোট প্রার্থী ৮১০ জন
কোন দল কত প্রার্থী

কংগ্রেস

বিজেপি

আপ

এনসিপি
৭০ ৬৬ ৭০

নির্দল

বিএসপি

সমাজবাদী পার্টি
২২৪ ৬৯ ২৭

বিধানসভায় বিরোধীদের কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর
বিরোধীশূন্য বিধানসভায় ৭৫ বর্ষ সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বিরোধীদের একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস— দুই বিরোধী পক্ষের বিধায়করাই আজ বুধবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের এই বিশেষ অধিবেশন বয়কট করেছেন। দু’পক্ষের বিধায়করা এ দিন সকালে বিধানসভায় এসেছিলেন। তবে সভাকক্ষে ঢোকেননি। বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বাম পরিষদীয় দলের পক্ষ থেকে একটি চিঠি দিয়ে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, ‘স্বৈরতান্ত্রিক আচরণ’ যেখানে দেখা যাচ্ছে, সেখানে এমন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ সম্ভব নয়। এই অনুষ্ঠানের দুই মুখ্য অতিথি রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং লোকসভার স্পিকার মীরাকুমারকেও কেন তাঁরা বয়কট করছেন তা লিখিত ভাবে জানিয়েছেন সূর্যবাবুরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতেই এ দিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “রাজনৈতিক বক্তব্য পেশ করার জায়গা বিধানসভার বাইরে। বিধানসভার ভিতরটা মানুষের জন্য। যখন আমার মনে হবে আসব, অন্য সময় আসব না এটা সৌজন্য নয়। সংসদীয় গণতন্ত্রে সৌজন্য এবং পরম্পরা বলে একটা ব্যাপার আছে। সেটা মাথায় রাখা উচিত।” ১৯৭২-৭৭ সাল পর্যন্ত সিপিএম যে বিধানসভা বয়কট করেছিল সেই সিদ্ধান্তকেও এ দিন কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের মধ্যে শুধু এসইউসি-র তরুণ নস্কর এবং সমাজবাদী পার্টির চাঁদ মহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
বিরোধীদের তরফ থেকে কংগ্রেসের বিধায়কদের কেউ কেউ অবশ্য পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন, যে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের বয়কট নিয়ে সমালোচনা করছেন সেই মুখ্যমন্ত্রীর দলই দিল্লিতে সংসদের সর্বদলীয় বৈঠক বয়কট করেছে। কেন তাঁরা এই রকম একটা মঞ্চে হাজির হয়ে নিজেদের মতামত জানালেন না তার জবাবে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, “বাইরের অতিথিদের সামনে আমরা আমাদের কথা বলতে গেলে বিতর্ক বাধত। অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো। তাই সৌজন্যের খাতিরেই অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

ঢাকায় ভারতের বিদেশসচিব, শান্তিপ্রস্তাব আমেরিকার
বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির আঁচ ছড়াল আন্তর্জাতিক আঙিনায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আওয়ামি লিগ ও বিএনপি-কে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। পাশাপাশি, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে স্বাগত জানিয়ে সে দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলকে তাতে অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে আমেরিকা। বুধবার ঢাকায় আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ড্যান মোঝেনা তিন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। আগামী শুক্রবার বিএনপি ও আওয়ামি লিগের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাংলাদেশে আসছে রাষ্ট্রপুঞ্জের একটি বিশেষ দল।
মঙ্গলবার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণার পরে বুধবার দুপুরে মহাজোটের সরকার থেকে দলের মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের ইস্তফার নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় পার্টির সুপ্রিমো এরশাদ। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে আওয়ামি লিগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট মঙ্গলবার রাত দশটা নাগাদ বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গণভবনে আলোচনায় বসে। সূত্রের খবর, বৈঠকে নির্বাচন থেকে সরে না আসার বিষয়ে একমত হয়েছেন জোটের নেতারা। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এরশাদের সঙ্গেও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অচলাবস্থা কাটাতে প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন ও জরুরি অবস্থা জারি করার বিষয়েও আলোচনা হয় এই বৈঠকে। এরই মধ্যে হিংসা অব্যাহত বাংলাদেশে। মঙ্গলবার গভীর রাতে ফিশপ্লেট খুলে নেওয়ায় বেলাইন হয় পদ্মরাগ এক্সপ্রেস। মৃত্যু হয় চার জনের, আহত অন্তত ৫০। একই কারণে বেলাইন হয় নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস ও মেঘনা এক্সপ্রেস। তবে এ ক্ষেত্রে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
বেলাইন পদ্মরাগ এক্সপ্রেস। ছবি: এএফপি।
ঢাকার নয়াবাজার এলাকায় একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় এক দল দুষ্কৃতী। কিশোরগঞ্জে একটি ট্রাকে দুষ্কৃতীরা হামলা করলে মৃত্যু হয় চালকের, আহত হন আরও সাত জন। ফেনিতে বিএনপি সমর্থকরা পুলিশ চৌকিতে হামলা করলে ৩০ জন আহত হয়। বুধবার সকালে বিএনপি সভাপতি আব্দুল হাই-এর নেতৃত্বে গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন কয়েক হাজার বিএনপি কর্মী। দুপুরের দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তুলে দেয় পুলিশ। অন্য দিকে আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত দাবি দাওয়া মেনে না নিলে আরও বড় আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন বিএনপি মুখপাত্র সালাউদ্দিন আহমেদ। সব রকম পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য সেনাবাহিনীকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিরোধী জোটের বয়কট কর্মসূচির মধ্যেও নির্ধারিত দিনে ভোট করতে বদ্ধপরিকর তাঁর সরকার। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আইনমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
এ দিকে বাসে পেট্রোল বোমা মারার ঘটনায় গ্রেফতার বিএনপি নেতা রুহুল কবীর রিজভির জামিনের আবেদন নাকচ করল ঢাকার একটি আদালত। গত ২৮ নভেম্বর বাসে বোমা মারার ঘটনায় গ্রেফতার হন তিনি। ঘটনায় নিহত হন তিন জন।
দু’দিনের বাংলাদেশ সফরে বুধবার সকালে ঢাকায় পৌঁছন ভারতের বিদেশসচিব সুজাতা সিংহ। অচলাবস্থা নিরসনে ও আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য খালেদা ও এরশাদের কাছে আর্জি জানাতে পারেন সুজাতা। আজ দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

৮৬ বছরের বৃদ্ধার মুখ-হাত বেঁধে ডাকাতি রঘুনাথগঞ্জে
৮৬ বছরের এক বৃদ্ধার মুখ-হাত বেঁধে প্রায় আট লক্ষ টাকা ও ৩০ ভরি সোনার গয়না ডাকাতি করে পালাল এক দুষ্কৃতী। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে। পুলিশ জানিয়েছে, দেবযানী দাস নামের ওই বৃদ্ধা একাই থাকতেন বাড়িতে। তাঁর স্বামী ও ছেলে থাকেন ফরাক্কায়। গতকাল রাতে বৃদ্ধার এক জামাই ও মেয়ে তাঁর কাছে ছিলেন। কিন্তু প্রতি দিনের মতোই তাঁরা সকাল সাতটা নাগাদ বেরিয়ে যান। এ দিন সকালে জামাই-মেয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর দেবযানীদেবী দোতলার একটি ঘরে বসে টিভি দেখছিলেন। এর পর সাড়ে সাতটা নাগাদ এক দুষ্কৃতী মুখঢাকা অবস্থায় এসে তাঁর গলায় একটি ছুরি ধরে মুখ বেঁধে দেয়। দড়ি দিয়ে সে বৃদ্ধার হাত-ও বেঁধে ফেলে। তার পর ওঁর কাছ থেকে চাবি নিয়ে একের পর এক আলমারি খুলে টাকা গয়না যা ছিল সব বের করে। ঘরে সব মিলিয়ে প্রায় আট লক্ষ টাকা ও ৩০ ভরি সোনার গয়না ছিল। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে ডাকাতি করার পর দেবযানীদেবীকে টানতে টানতে দোতলার একটি গুদাম ঘরে আটকে রেখে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতী।
এর পর কোনও রকমে নিজের মুখ-হাত-এর বাঁধন খুলে চিৎকার করতে থাকেন ওই বৃদ্ধা। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেন। মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “অভিযোগ পেয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। পরিচিত কেউই এ কাজ করেছে বলে আমাদের সন্দেহ।” ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেফতার আসারামের ছেলে নারায়ণ সাই
ধৃত নারায়ণ সাই।
ছবি: পিটিআই।
স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুর ছেলে নারায়ণ সাইকে বুধবার সকালে গ্রেফতার করল পুলিশ। একটি ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত নারায়ণ সাই প্রায় দু’মাস ধরে ফেরার ছিল। এ দিন দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। লুধিয়ানার কাছে একটি গ্রাম থেকে পালানোর সময় তাকে ধরে ফেলে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মীরা। সূত্রের খবর, জেরার জন্য দিল্লিতে নিয়ে আসা হয় ৪১ বছরের নারায়ণকে। তার পর তদন্তের স্বার্থে তাকে গুজরাত পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। গুজরাতের সুরাতে দুই বোনকে আসারাম ও নারায়ণ ধর্ষণ করে বলে অক্টোবর মাসে একটি মামলা হয়। অভিযোগে বলা হয়, দু’বোনের ছোটজনকে সুরাতের আশ্রমে থাকাকালীন ২০০২ থেকে ’০৫ সাল পর্যন্ত প্রায় নিয়মিত ধর্ষণ করে নারায়ণ। অন্য দিকে তাঁর দিদি অভিযোগ করেন আসারামের বিরুদ্ধে। ১৯৯৭ সাল থেকে প্রায় ২০০৬ সাল পর্যন্ত আসারাম তাঁকে আমদাবাদের কাছে একটি আশ্রমে নিয়মিত ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত ৭৫ বছরের আসারাম অন্য একটি ধর্ষণের মামলায় এখন জোধপুর জেলে রয়েছে।
দিল্লি আদালতে তোলা হলে তাকে এক দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে গুজরাত পুলিশ।

দ্বিতীয় দফার শারীরিক পরীক্ষা তেজপালের
গত সোমবারের পর ফের বুধবার শারীরিক বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য গোয়া মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হল তহেলকার প্রাক্তন প্রধান সম্পাদক তরুণ তেজপালকে। গোয়া পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এ দিন সকালে তাঁকে ফের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তদন্তের কারণেই বিভিন্ন মেডিক্যাল টেস্ট করা প্রয়োজন তেজপালের বলে জানান তিনি। এর আগে গত ২ ডিসেম্বর ওই একই হাসপাতালে তরুণ তেজপালের যৌন ক্ষমতার পরীক্ষা করা হয়। একটি ধর্ষণের মামলায় গত ১ ডিসেম্বর তেজপালকে গ্রেফতার করে গোয়া পুলিশ। এ দিন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিক্কর জানিয়েছেন, আগামী এক দেড় মাসের মধ্যে তেজপালের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করা হবে।

নারী পাচারের অভিযোগে কসবায় গ্রেফতার তিন
নারী পাচারের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সেই সূত্রেই মুম্বই থেকে আসা তিন তরুণীকে উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের দল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মঙ্গলবার কসবা থানায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফ থেকে ফোন করে জানানো হয় মুম্বই থেকে আট তরুণীকে চাকরির টোপ দিয়ে এনে টেগোর পার্কের একটি বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছে। এর পর ওই বাড়িতে হানা দিয়ে আট তরুণীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, আট তরুণীর মধ্যে তিন জন অভিযোগ করেন তাদের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় চাকরির টোপ দিয়ে মুম্বই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। কিন্তু চাকরি না দিয়ে বারে কাজে করতে বলা হয় তাঁদের। ওই তিন তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে তিন যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা হলেন দীপক দেবনাথ, মানোয়ার হুসেন এবং জোহের আব্বাস। পুলিশ জানিয়েছে, দীপকের বাড়ি নদিয়ায়, মানোয়ারের বাড়ি উত্তরপ্রদেশ এবং জোহের আব্বাসের বাড়ি মুম্বইয়ে। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এক মহিলারও খোঁজ চলছে বলে তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন।

কসবায় বৃদ্ধাকে বেঁধে লুঠতরাজের অভিযোগ
এক বৃদ্ধাকে ঘরের মধ্যে বেঁধে লুঠতরাজ চালানোর পর প্রণাম করে বেরিয়ে যায় তিন যুবক। কসবার এন কে ঘোষাল রোডের বাসিন্দা বৃদ্ধা রত্না মুখোপাধ্যায় মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের কাছে এই অভিযোগ জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন যুবকের মধ্যে দু’জনকে ওই বৃদ্ধা আগে থেকেই চিনতেন। তাদের কাছ থেকে তিনি শাড়ি কিনতেন। মাঝে মধ্যে শাড়ির টাকা বাকিও থাকত। বৃদ্ধা পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁর পরিচিত দুই যুবকের নাম মুন্না এবং অর্ণব দেব। আর এক যুবককে তিনি চিনতে পারেননি। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানতে পেরেছে, মঙ্গলবার দুপুরে ওই তিন যুবক বৃদ্ধার বাড়িতে শাড়ির টাকা চাইতে আসে। বৃদ্ধা দরজা খুললে তারা ঘরে ঢুকে জল চায়। এর পর তিনি জল দিতে গেলে তাঁকে পিছন থেকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে ওই তিন যুবক।
বৃদ্ধার ঘর থেকে দু’টি মোবাইল, দু’টি সোনার দুল, হার, একটি সোনার আংটি এবং বারো হাজার টাকা খোওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ দিন দুপুরে রত্নাদেবীকে লালাবাজারে নিয়ে এসে বিস্তারিত জিজ্ঞাসা করেন গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। তাঁর মুখে বিবরণ শুনে তিন যুবকের স্কেচও আঁকানো হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.