টাটকা খবর
গ্রেফতার হলেন তেজপাল
শেষরক্ষা হল না। যৌন নির্যাতন কাণ্ডে গ্রেফতার হলেন তরুণ তেজপাল। আগাম জামিনের আর্জি আগেই খারিজ হওয়ায় গ্রেফতারিটা ছিল শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। শনিবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে যখন তাঁকে গ্রেফতার করে গোয়া পুলিশ, তখন তিনি ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসেই ছিলেন। গ্রেফতারের পর তাঁর শারীরিক পরীক্ষার জন্য গোয়া মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ির খাবার এবং জামাকাপড়ের অনুমতি দেওয়া হয়েছে তেজপালকে। দিনে এক বার আইনজীবীর সঙ্গেও দেখা করতে পারবেন তিনি।
এ দিন সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় তৎপরতা। সকাল ৯টা নাগাদ তহেলকার প্রাক্তন প্রধান সম্পাদক তরুণ তেজপাল পৌঁছন গোয়া পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চে। মিনিট দশেক সেখানে ছিলেন তিনি। তবে তাঁকে কোনওরকম জেরা করা হয়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন ‘‘আদালতে উপস্থিত থাকার চেয়েও ক্রাইম ব্রাঞ্চে হাজিরা দেওয়া ও তদন্তে সহযোগিতা করা আমার কাছে বেশি জরুরি।’’ শুক্রবার শেষ বিকেলে গোয়ায় এসে পৌঁছেছিলেন তরুণ। তাঁর আগাম জামিনের শুনানি ওই দিন স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। তবে শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত তেজপালকে গ্রেফতার না করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচারক। শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্রাইম ব্রাঞ্চে গিয়ে ২০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ড জমা দিয়েছিলেন তিনি। এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ ফের শুনানি শুরু হয়। শুরুতেই তেজপালের আইনজীবী আবার বলেন, তাঁর মক্কেল সব সমযে়ই তদন্তে সাহায্য করতে প্রস্তুত। এমনকী, যত দিন তদন্ত চলবে প্রয়োজনে তত দিন তিনি গোয়াতেই থাকতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাঁকে কেন হেফাজতে চাইছে পুলিশ? গ্রেফতার করার প্রয়োজনই বা কী? এর আগেও ধর্ষণে অভিযুক্তদের আদালত যে আগাম জামিন দিয়েছে সে সংক্রান্ত নথি জমা দেন তেজপালের আইনজীবীরা। বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ সওয়াল শেষ করেন তাঁরা। জবাবে সরকারপক্ষের আইনজীবী সারেশ লোটলিকর তেজপালের গ্রেফতার ও ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের জন্য আবেদন করেন। তেজপাল শুধুমাত্র নিজের শর্তে তদন্তে সহযোগিতা করতে চাইছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বার বার বয়ান বদল করে তেজপাল যে তদন্তে বিঘ্ন ঘটাচ্ছেন সেই অভিযোগও আনেন। এর আগেও যে তেজপাল তদন্ত প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন তাঁর প্রমাণস্বরূপ দিল্লি পুলিশের পুরনো একটি এফআইআর পেশ করেন সরকারি আইনজীবী। বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ শেষ হয় সওয়াল-জবাব। বিকাল সাড়ে ৪টে নাগাদ রায় ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছিলেন মুখ্য জেলা এবং দায়রা বিচারক অনুজা প্রভুদেশাই। আদালতে রয়েছেন তেজপালের স্ত্রী, মেয়ে ও বোন। আদালতে না গিয়ে ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসেই রায়ের অপেক্ষা করতে থাকেন তরুণ তেজপাল। তবে এখনও আদালতে এসে না পৌঁছননি বিচারক অনুজা প্রভুদেশাই।
এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ আদালতে ঢুকেই বাইরে বেরিয়ে যান তেজপাল। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই ফিরে এসে আদালতকক্ষের একেবারে শেষ দিকে স্ত্রী গীতান বাত্রা ও বোনের মাঝখানে এসে বসেন তিনি। চোখ বন্ধ করে শুনতে থাকেন শুনানি।
এ দিকে তেজপাল কাণ্ডে অব্যাহত রাজনৈতিক তরজা। তেজপালের সমর্থনে এগিয়ে এসে কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এডুয়ার্ডো ফালেইরো সমস্ত ঘটনার জন্য বিজেপি ও গোয়া সরকারকে দায়ী করেছেন। অন্য দিকে জম্মু কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা গোটা ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে বলেন, তেজপাল যদি দোষী হন তবে আইন অনুযায়ী শাস্তি হওয়া উচিত তাঁর। এ দিকে টুইটারে নিগৃহীতা তরুণীর পরিচয় প্রকাশ করায় বিজেপির মুখপাত্র মীনাক্ষি লেখির জবাব তলব করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন।
দিনভর তেজপাল
গোয়ার হোটেলে পৌঁছলেন ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসারেরা।
সকাল ৯টা ১৫
গোয়া আদালতের বাইরে কড়া নিরাপত্তা।
সকাল ১০টা
আদালতে পৌঁছলেন তেজপালের আইনজীবীরা।
সকাল ১০টা ১৫
আদালতে পৌঁছলেন তেজপাল।
সকাল ১২টা ৩০
তেজপালের আগাম জামিনের আর্জি খারিজ।
রাত ৯টা ২০

মালদহের ডিএম’কে গ্রেফতারের জেরে অপসারিত শিলিগুড়ির সিপি
শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদের (এসজেডিএ) বহু কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ঘটনাবলি নাটকীয় মোড় নিল।
এসজেডিএ-র আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে শনিবার বিকেলে গ্রেফতার হলেন এসজেডিএ-র প্রাক্তন সিইও, মালদহের বর্তমান জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁকে চার দিনের জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে। এ দিকে এই ঘটনার জেরে শিলিগুড়ির
গোদালা কিরণ কুমার
কে জয়রামন
পুলিশ কমিশনার কে জয়রামনকে তড়িঘড়ি তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দিল রাজ্য সরকার। তাঁকে দায়িত্বভার বুঝিয়ে কলকাতায় আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র এ দিন সন্ধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার মনে করছে মালদহের জেলাশাসককে গ্রেফতার করা সমীচীন হয়নি। এই স্তরের কোনও সিনিয়র অফিসারকে গ্রেফতার করতে হলে রাজ্য সরকারকে জানানোর ও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। এ ক্ষেত্রে কোনওটাই করা হয়নি।’’
মালদহের জেলাশাসককে আগামী ৪ ডিসেম্বর আদালতে পেশ করা হবে। গ্রেফতারের আগে এ দিনও শিলিগুড়ি থানার গোয়েন্দা বিভাগে তাঁকে ঘণ্টা চারেক জেরা করা হয়। জেলাশাসককে গ্রেফতারির ঘটনা জানার পরেই নবান্নে রাজ্যের মুখ্যসচিব সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। তিনি বলেন, ‘‘গ্রেফতার করা তখনই প্রয়োজন ছিল যদি কেউ তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেন, সাক্ষীদের প্রভাবিত করেন বা পালিয়ে যান। এ ক্ষেত্রে এর কোনওটাই হয়নি। এই ধরনের ঘটনায় প্রশাসনের উপরে সামগ্রিক ভাবে প্রভাব পড়ে। পুলিশ কমিশনার তাঁর এক্তিয়ারের বাইরে কাজ করেছেন। তাই পুলিশ কমিশনারকে দায়িত্বভার ছাড়তে বলা হয়েছে।’’ আপাতত এই দায়িত্বভার অস্থায়ী ভাবে সামলাবেন জাভেদ শামিম। তিনি বর্তমানে দার্জিলিঙের ডিআইজি।
শুক্রবার শিলিগুড়ি কমিশনারেটে টানা সাত ঘণ্টা জেরা করা হয় তাঁকে। কিরণ কুমার এসজেডিএ-র সিইও থাকাকালীন এই দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ। এসজেডিএ সূত্রে খবর, সংস্থার বিভিন্ন প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে এখনও পর্যন্ত আটটি মামলা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৭০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছে এসজেডিএ কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগে পুলিশ এসজেডিএ-র তিন বাস্তুকার ও একটি ঠিকাদার সংস্থার কর্মী-সহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে। কিরণ কুমারকে গ্রেফতারের প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব।

কুণালের পুলিশি হেফাজত হাওড়ায়
বিধাননগরের পরে এ বার হাওড়া আদালতে তোলা হল কুণাল ঘোষকে। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁকে দমদম সেন্ট্রাল জেল থেকে কড়া নিরাপত্তায় আদালতে নিয়ে আসে হাওড়া সিটি পুলিশ। প্রতারণা, হুমকি, চক্রান্ত, বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ফের সারদা কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন হাওড়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অরুণকুমার নন্দী। শুক্রবার কুণালবাবুকে বিধাননগর এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক অপূর্বকুমার ঘোষ তাঁকে ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এর পরে তাঁর কৌঁসুলিরা মক্কেলের তরফে গোপন জবানবন্দি পেশের আবেদন জানালে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। স্থির হয়, সোমবার, ২ ডিসেম্বর বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেবেন কুণালবাবু। এ দিন কুণালবাবুর আইনজীবীরা অভিযোগ করেন, গোপন জবানবন্দি এড়াতে ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁকে তুলে এনে পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। গত ৫ মে সাঁত্রাগাছি থানায় স্থানীয় বাসিন্দা জয়ন্ত বেরা প্রতারণা, হুমকি, চক্রান্ত ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ একটি মামলাও দায়ের করে। অভিযোগ ছিল, সারদায় ৭ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন জয়ন্তবাবু। তবে জয়ন্তবাবুর দায়ের করা সেই অভিযোগে সুদীপ্ত সেন ও ব্রজেশ রায়ের নাম থাকলেও কুণাল ঘোষের নাম ছিল না। কিন্তু এই প্রথম হাওড়ায়, সারদা কাণ্ডের মূল মামলার সঙ্গে কুণাল ঘোষকে যুক্ত করা হল।

বিহারে চলন্ত ট্রেনে মাও হামলা, হত ৩ নিরাপত্তাকর্মী

ছত্তীসগঢ়ে সিআরপিএফ জওয়ানদের উপর হামলার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা চালাল মাওবাদীরা। এ বার তারা নিশানা হিসেবে বেছে নিল সাহেবগঞ্জ-পটনা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। শনিবারের এই ঘটনায় তিন জিআরপি কর্মী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হন আরও দুই জওয়ান। মাওবাদীরা হতাহতদের গুলি-সহ ৫টি রাইফেল লুঠ করেছে।
জামালপুরের রেল পুলিশ সুপার অমিতাভ কুমার দাস জানিয়েছেন, এ দিন বিহারের মুঙ্গের জেলায় জামালপুর ও আশিকপুর স্টেশনের মাঝে একটি সুরঙ্গের মধ্যে চলন্ত ট্রেনে হামলা চালায় মাওবাদীরা। এই ঘটনায় বিন্দুমাত্র প্রতিরোধের সুযোগ না পেয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান বিহার মিলিটারি পুলিশের দ্বাদশ ইউনিটের হাবিলদার অশোক কুমার, কনস্টেবল ভোলা ঠাকুর ও উদয় সিংহ। নিহতদের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

অবরোধে ব্যাপক হিংসা, গ্রেফতার বিএনপি নেতা রিজভি
অবরোধের সময়সীমা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই শনিবার ভোরে গ্রেফতার হলেন বিএনপি-র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি। শনিবার সকাল থেকে বিএনপি ও জামাতে ইসলামির ডাকা ৭২ ঘণ্টা অবরোধে বাংলাদেশ জুড়ে ফের নানা হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে। রাস্তায় আটকে পড়া একশোরও বেশি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাদ যায়নি ধান ও ওষুধবাহী ট্রাকও।
বনধ-অবরোধ ওঠার অপেক্ষায়। ছবি: এএফপি।
ঢাকার দলীয় কার্যালয় থেকে এ দিন ভোরে রিজভিকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। শাহবাগে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। ১০ দিনের হেফাজত চেয়ে পুলিশ আদালতে আবেদন করলেও বিচারক তাঁকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ওই দিন। রিজভির সঙ্গেই কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বেলাল আহমেদকেও আটক করা হয়েছিল। এই দুই নেতাকেই গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। রিজভিকে গ্রেফতারের সময় পুলিশ দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপি সদস্যদের। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দিনও বিএনপি-কে সর্বদলীয় সরকারে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছেন, চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও তাদের দেওয়া হবে। হাসিনার অভিযোগ, ভোট চায় না বলেই হরতাল-অবরোধ ডেকে নাশকতার পথ নিয়েছে বিএনপি-জামাত। যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়েদুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতৃত্বের সঙ্গে পর্দার আড়ালে আলোচনা চলছে। সমঝোতার পর তারা নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপি-র কোনও নেতাকেই আর জেলে রাখা হবে না।
শুনসান রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। ছবি: এএফপি।
সকাল ১০টা নাগাদ ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সড়ক অবরোধ করে রাখে বিএনপি ও জামাতে শিবিরের সদস্যেরা। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিমযের সময়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়। শুক্রবার ভোর পাঁচটায় ৭১ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরেই শনিবার ভোর থেকে ফের ৭২ ঘণ্টার অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি ও তাদের শরিক জামাতে ইসলামি।

ব্রিগেডে মোদীর সভার প্রস্তুতি শুরু বিজেপি-র
গুজরাতের উন্নয়নের মডেল সামনে রেখে নরেন্দ্র দামোদর মোদীকে প্রধানমন্ত্রী করার জন্য বাংলার মানুষের সমর্থন চায় বিজেপি। মোদীর আগে কলকাতায় এসে শনিবার সেই বার্তাই দিয়ে গেলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রীর ‘ঘনিষ্ঠ’ বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক অমিত শাহ। তাঁর কথায়, “মোদী বাবা মানেই উন্নয়ন। সেই উন্নয়ন শুধু গুজরাতে নয়, সারা দেশ জুড়ে করতেই মোদীকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসানো দরকার বলে মনে করেন অমিত।
ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন আগামী ৩০ জানুয়ারি ব্রিগেড প্য্যারেড গ্রাউন্ডে তাঁরা সভা করবেন। বস্তুত, তৃণমূলের সমাবেশকে টক্কর দিতেই ফেব্রয়ারির প্রথম সপ্তাহে ব্রিগেডে সমাবেশ করতে চান রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সেই সভার প্রধান বক্তা মোদী। এ দিন রানি রাসমণি রোডে বিজেপি-র ‘জনজাগরণ সভা’য় অমিত ঘোষণা করেন, মোদী বাংলায় আসবেন এবং কলকাতায় সভা করবেন। তার আগে উন্নয়নকে হাতিয়ার করে মোদীর সমর্থনে দলীয় নেতা-কর্মীদের রাজ্য জুড়ে প্রচারে নামতে বলেন তিনি। বস্তুত ব্রিগেডেরই প্রস্তুতিতেই এ দিন বিজেপি-র সভা ছিল।

কংগ্রেসের ‘মুক্তি যাত্রা’
লোকসভা ভোটের আগে রাজ্যে দলের প্রাসঙ্গিকতা বৃদ্ধি করতে কংগ্রেস ‘মুক্তি যাত্রা’র কর্মসূচি নিয়েছে। আজ, রবিবার মেদিনীপুর থেকে যাত্রা শুরু হবে। দুই মেদিনীপুর, হাওড়া জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আগামী ১৩ ডিসেম্বর কলকাতায় পৌঁছবে। শহিদ মিনারে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে প্রথম দফার কর্মসূচি শেষ হবে বলে শনিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য জানান। এরপরে রাজ্যের সমস্ত জেলায় আরও চার দফায় মুক্তি যাত্রা হবে। মুক্তি যাত্রায় প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা অংশ নেবেন।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.