তেত্রিশটা বছর বড় কম কথা নয়। তবু তাঁরা এগিয়ে চলেছেন। এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এলাকার সংস্কৃতিকে। তাঁরা মানে, মানবাজারের ‘নিউ শিল্পীমহল’ নাট্যগোষ্ঠীর সদস্যেরা। ৩৩ বছর আগে মানবাজারে ওই নাট্যগোষ্ঠীর জন্ম হয়েছিল। আজও সেই গোষ্ঠী সমান উৎসাহে কাজ করে চলেছে। মঙ্গলবার ‘নিউ শিল্পীমহল’ নাট্যগোষ্ঠীর ৩৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান হয়ে গেল মানবাজারে।
এটি মূলত একটি যাত্রা গোষ্ঠী। শিল্পীরা কেউ মুদির দোকান চালান, কেউ বা শিক্ষক, কেউ আবার দোকানের কর্মচারী। দক্ষিণ পুরুলিয়ার মানবাজার, পুঞ্চা, বোরো প্রভৃতি থানা এলাকার বাছাই করা শিল্পীদের নিয়ে এটি একটি আঞ্চলিক দল। গত তিন দশকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এবং ভিন্ রাজ্যে গিয়েও দলটি যাত্রাপালা প্রদর্শন করে বহু পুরস্কার নিয়ে এসেছে। |
মঙ্গলবার ‘নিউ শিল্পীমহল’-এর প্রযোজনায় ‘শেষ দেখা’ পালাটি মানবাজার হাইস্কুলের মাঠে প্রদর্শিত হয়েছে। শীতকে উপেক্ষা করেও সে রাতে মাঠে কয়েক হাজার দর্শক হাজির ছিলেন। বিশিষ্ট নাট্য সমালোচক, পুঞ্চার লৌলাড়া রামানন্দ সেন্টিনারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ চণ্ডীদাস মুখোপাধ্যায় বলেন, “যে কোনও ক্লাব বা সংস্থা গড়ে তোলা যায়। কিন্তু, স্বধর্ম বজায় রেখে সেই প্রতিষ্ঠানটিকে চালিয়ে যাওয়া সহজ কথা নয়। মানবাজারে নিউ শিল্পীমহল গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে সেই গুরুভারই বহন করে চলেছে। ওরা এলাকার কৃষ্টি ধরে রেখেছেন। ওই নাট্যগোষ্ঠীর প্রধান সমীর মুখোপাধ্যায় কয়েক বছর আগে গুরুতর অসুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন। তবু এই নাট্যদলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।” সমীরবাবুর কথায়, “সাধারণ মানুষের শুভেচ্ছাতেই দল এতদিন টিকে আছে।”
|
নিজেদের অভিনীত একটি বাংলা ছবির প্রিমিয়ারে শোয়েব
এবং কিন্নি।
শুক্রবার, শহরের একটি প্রেক্ষাগৃহে। ছবি: রণজিৎ নন্দী। |
|