ফের বাগানে দাঁড়িয়ে থাকল হাতির দল। মঙ্গলবার লাগোয়া ভুট্টাবাড়ির জঙ্গল থেকে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া রানিচেরা বাগানে বিচ কামান লাইনে ১৩টি হাতির দল ঢুকে পড়ে। সারাদিন ধরেই হাতির দলটি জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে। হাতির দল দেখতে জাতীয় সড়কে ভিড়ও জমে যায়। সোমবারও ডামডিম লাগোয়া গুডহোপ চা বাগানে ১২টি হাতি দিনভর দাঁড়িয়ে ছিল। সে দলটিই এবারে রানিচেরায় ঢুকে পড়ে বলে বনকর্মীদের ধারণা। তবে সে দিনের দলের সঙ্গে একটি দাঁতালকে এ দিন দেখা গিয়েছে। সন্ধ্যার পর দলটি ভুট্টাবাড়ির জঙ্গলের দিকে চলে যায় বলে জানান মালবাজার বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার ফণীন্দ্রনাথ রায়। তিনি জানিয়েছেন, বাতির দলে ৪টি শাবক থাকায় বুনোদের চলার গতি শ্লথ হয়ে যায়, সে জন্য সোমবার রাতে গুডহোপ চা বাগান ছেড়ে এলেও দলটি জঙ্গলে ঢুকতে পারেনি। সোমবার গভীর রাতে দলটি দু’বার জাতীয় সড়কেও উঠে পড়ে বলে বনকর্মীরা জানিয়েছেন।
|
ওড়িশায় জঙ্গলে ফিরল ভালুক |
জঙ্গল থেকে গ্রামে ঢুকে পড়েছিল একটি ভালুক। চারদিন আগে সেখানকার একটি বাড়িতে দু’টি শাবকের জন্ম দেয় সেটি। কোরাপুটের বোড়োপুড়িয়া গ্রামের ঘটনা। গত কাল ওই ভালুক এবং দু’টি সদ্যোজাতকে উদ্ধার করে জঙ্গলে ছেড়ে দেন বনকর্মীরা। জপুরের ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার বিজয় কেতন আচার্য জানান, ওই বাড়ির সামনে খাঁচা পেতে দেওয়া হয়েছিল। তাতে কিছু খাবার রেখে দেওয়া হয়। প্রসবের পর থেকে খাবার খায়নি ভালুকটি। গন্ধ পেয়ে দু’টি শাবককে নিয়ে সেটি খাঁচার মধ্যে ঢুকতেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন বিভাগ সূত্রের খবর, ভালুকটির হামলায় যাতে কেউ আহত না-হয় সে জন্য, আগে থেকেই ওই গ্রামের ৬৯ জন বাসিন্দাকে সরিয়ে নিরাপদ জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল।
|
কাজিরাঙার জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকল দু’টি গন্ডার। গোলাঘাট জেলার দেরগাঁওতে। চড়াইচাপোড়ি চরে ঘুরছে সে গুলি। চোরাশিকারিদের হাত থেকে গন্ডারদের বাঁচাতে বনরক্ষীরা কড়া নজর রাখছেন। ডিব্রুগড়ের টিংখং এলাকায় বুনো মোষের হামলায় কয়েকজন গ্রামবাসী জখম হয়েছেন। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন পশু চিকিত্সক, বনরক্ষীরা। টিওকের ফেসুয়াচলি ও চড়াইদেওর অসম-নাগাল্যান্ড সীমানায় হানা দিয়েছে হাতির পাল। কয়েকটি বাড়ি ভেঙেছে। নষ্ট হয়েছে খেতের ফসল। |