|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
সম্পাদনা নাই, হস্তে পেন্সিল |
বইপোকা |
বুদ্ধিজীবীর নোটবই (সম্পাদক সুধীর চক্রবর্তী, পুস্তক বিপণি)-এও পেন্সিলটিই সম্বল হইল! এমন তাত্ত্বিক কোশগ্রন্থ বঙ্গভাষায় দ্বিতীয় নাই। অথচ তাহারই সম্পাদনা হইল যথেষ্ট দুর্বল। দেবাশিস দেবের ‘ইলাস্ট্রেশন’-এ হীরকসূত্র, প্রথম সচিত্র বাংলা গ্রন্থ গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্যের অন্নদামঙ্গল, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামমাত্র নাই, অথচ সত্যজিৎ রায়ের একটি অলংকরণের সবিস্তার বিবরণ আছে। তদুপরি ‘পনেরোশো শতাব্দী’, ‘বইপত্রের ভাঁটার যুগ’-এর ন্যায় প্রয়োগ না হয় মুদ্রণভূতের স্কন্ধে চাপাইলাম। সম্পাদকের সতর্কীকরণ, ‘লেখকদের মতামত বা মন্তব্য সম্পর্কে সম্পাদকের কোনো দায়ভাগ নেই’। ‘হ্যান্ডবুক’-এ মতামত থাকিবেই বা কেন? ‘তথ্যঘটিত প্রমাদ বা ধারণাগত বিভ্রমের স্বরূপ আবিষ্কার করা’ কোনও একক ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয় জানিয়াও তাহার দায়িত্ব লইলে বিপত্তি বাড়ে বই কমে না। যেমন, অভিজিৎ গুপ্তের ‘বই’ জানাইতেছে, ‘প্রাক ১৫০০ খ্রিস্টাব্দের সমস্ত বইয়ের নাম দেওয়া হয়েছে incunabula।’ দি অক্সফোর্ড কম্প্যানিয়ন টু দ্য বুক এই প্রসঙ্গে বলিতেছে, ১৪৫০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ১৫০১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মুভেবল টাইপ বা বিচল হরফে যে সকল গ্রন্থ মুদ্রিত হইয়াছে তাহাদেরই ‘ইনকিউনাবুলা’ নামে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। ব্লক বা অন্য কোনও প্রকারে মুদ্রিত গ্রন্থ ইহার মধ্যে পড়ে না। আবার এমন কোশগ্রন্থে ‘মঞ্চগীতি’ স্থান পাইলে ‘চিত্রগীতি’ বা সিনেমার গান থাকিবে না কেন? ‘রবীন্দ্রসংগীত’ বিষয়ে ‘তোমার গীতি জাগলো স্মৃতি’ মুদ্রিত হইলে মুদ্রণভূত ভবিষ্যতের হস্তে যে কেবল পেন্সিলই রাখিয়া যাইতেছে তাহা বেশ বুঝা যায়। |
|
|
|
|
|