টাটকা খবর |
ভোরের কলকাতায় গুলিতে হত ২, জখম ২ |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
|
সোমবার ভোরে শর্ট স্ট্রিটে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে গুলি চালনায় নিহত হয়েছেন ২ জন। ঘটনায় আহত হন ২ জন। শেক্সপিয়র সরণি থানা এলাকায় কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বাড়ির পিছনের আবাসনে একটি স্কুলের ১৭ কাঠা জমি নিয়ে বিবাদে এই ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। নিহতরা হলেন ওই স্কুলের নিরাপত্তারক্ষী পিকলু আচার্য (২৬) ও ব্যারাকপুরের বাসিন্দা প্রসেনজিত্ দে (২৪)।
|
মমতা অগ্রবাল |
প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার ভোর সওয়া চারটে নাগাদ ওই আবাসনের পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকে জনা দশ-বারো বহিরাগত। আবাসনের মধ্যের ওই স্কুলে একটি গাড়ির মধ্যে শুয়ে থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ায় তারা। ওই সময় স্কুলের নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিলে ৩ জন ছাড়া বাকিরা পালিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ৩ জন একটি ঘরে ঢুকে পড়ে। পুলিশের দাবি, মমতা অগ্রবাল নামে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ওই ৩ জনকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালান। এ ব্যাপারে সিসিটিভির ফুটেজ খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মমতা অগ্রবাল-সহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ৯ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডি সি সাউথ মুরলিধর শর্মা জানিয়েছেন, তদন্ত এখনও প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। ওই স্কুলের ৪টি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ও অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদের পরই আসল ঘটনা জানা যাবে। |
আবাসনের বাইরে পুলিশি প্রহরা।
|
ঘটনাস্থলে পড়ে রয়েছে বন্দুক।
|
চলছে পুলিশি তদন্ত।
|
ছবি: সুমন বল্লভ |
|
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দাপ্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ জানান, বহিরাগতরা কী কারণে ভিতরে ঢুকেছিল তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। অপর একটি মামলায় জোর করে বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করায় এক আইনজীবী-সহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা পার্ক সার্কাসের একটি নিরাপত্তা সংস্থার কর্মী বলে জানা গিয়েছে। |
রবিবারে কাজে বেরোতে চাইছিলেন না প্রসেনজিৎরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • ব্যারাকপুর |
রবিবার রাতের অতিরিক্ত ডিউটি করতে ইচ্ছুক ছিলেন না কেউ-ই। কিন্তু না গেলে চাকরি বাঁচবে না। তাই বাধ্য হয়েই শেষ পর্যন্ত যেতে হয়েছিল।
শর্ট স্ট্রিট ওঁদের দু’জনেরই প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
ব্যারাকপুরের প্রসেনজিৎ দে এবং গয়েশপুরের পিকলু আচার্য। খেলাধুলো করা পেটানো চেহারা। আর্থিক অনটনে ডুবে থাকা পরিবারে একটু স্বাচ্ছন্দ্য আনতেই বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীর কাজে যোগ দিয়েছিলেন দু’জনে। বিভিন্ন এজেন্সিতে মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে কাজ। হাজার পাঁচেক টাকা মাইনের পাশাপাশি জুটত উপরি কাজের বরাতও। ঘটনাচক্রে সোনারপুরের যে এজেন্সি থেকে দু’জনে রবিবার কাজে গিয়েছিলেন, ওই এজেন্সিতে এটাই ওঁদের প্রথম কাজ। এজেন্সির মালিক অরূপ দেবনাথ অন্তত এমনটাই দাবি করছেন।
বাবার ছোট্ট মুদি দোকান। হৃদরোগে আক্রান্ত মা। চিকিৎসার খরচও অনেক। ব্যারাকপুর রায়বাগানের বাসিন্দা প্রসেনজিৎকে (২৪) তাই রোজগার শুরু করতে হয়েছিল স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েই। বেলঘরিয়ার ভৈরব গাঙ্গুলি কলেজের ছাত্রটির তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল আগামী বছর। নিজের পড়াশোনার খরচ শুধু নয়, সংসারের জোয়ালটাও নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। ছোট ভাই প্রণবের পড়ার খরচও তিনিই জোগাতেন। স্বপ্ন দেখতেন, পড়াশোনা শেষ করে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন। |
|
|
প্রসেনজিৎ দে |
পিকলু আচার্য |
|
ছেলে এই মুহূর্তে ঠিক কী কাজ করে, সেটা অবশ্য জানতেন না প্রসেনজিতের বাবা প্রদীপবাবু। মা গোপাদেবী আর পাড়ার বন্ধুদের কাছে প্রসেনজিৎ বলেছিলেন, বাউন্সারের চাকরি। কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে সেলিব্রিটিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকতে হয় তাঁকে। কাজের কোনও বাঁধাধরা সময় নেই। বন্ধুদের কাছেই গল্প করেছিলেন, সম্প্রতি প্রিয়ঙ্কা চোপড়া কলকাতায় এলে তাঁর বাউন্সারের দায়িত্ব সামলাতে হয়েছিল।
প্রসেনজিতের বন্ধু চিরঞ্জীব সরকার সোমবার বলেন, ‘‘রবিবার বিকেলে আমরা বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিচ্ছিলাম। তখন ওর এক সহকর্মীর ফোন এল। ওকে ডাকছিল। ও প্রথমে যেতে চাইছিল না। বলছিল, ছুটির দিনে যেতে ইচ্ছে করছে না।” কিন্তু না গেলে নতুন চাকরি নিয়ে টানাটানি হতে পারে। তাই শেষ পর্যন্ত বেরিয়েই পড়েন প্রসেনজিৎ। চিরঞ্জীব বলেন, “সোমবার সকালে খবর পেলাম, শর্ট স্ট্রিটে গুলিতে ও মারা গিয়েছে।”
রুগ্ণ মায়ের কাছে খবরটা চেপে রাখার জন্য এ দিন সকাল থেকে প্রাণপণে চেষ্টা চালিয়েছেন আত্মীয়-পরিজনেরা। বাড়ির টিভিটা বন্ধ করে রাখা হয়। প্রসেনজিতের ছোট ভাই ক্ষেত্রমোহন স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র, প্রণব কার্যত পালিয়ে বেড়িয়েছে মায়ের কাছ থেকে। কিন্তু মায়ের মন ঠিকই বিপদের আঁচ পেয়েছে। গোপাদেবী সামনে পেলেই বারবার প্রশ্ন করেছেন, ‘‘তোর দাদা বেঁচে আছে তো?’’ বিকেলের পর আর তাঁর চেপে রাখা যায়নি খবরটা।
কল্যাণীর গয়েশপুরের পিকলু আচার্যের (২২) বাড়িতেও একই ছবি। ছোট ভাই পিন্টু কলেজে পড়ে। বাবা প্রিয়লাল আচার্য একটি বেসরকারি সংস্থায় সামান্য বেতনে কাজ করেন। বাবার একার আয়ে সংসার চলে না বলে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পরে আর লেখাপড়া করা হয়নি পিকলুর। এখানে ওখানে ছোটখাটো কাজ করার পর সোনারপুরের এই নিরাপত্তা সংস্থায় মাসে হাজার পাঁচেক টাকা বেতনের কাজটি জুটেছিল দিন পনেরো আগে। কাঁদতে কাঁদতে মা ডলিদেবী জানান, রবিবার বিকেলে সংস্থা থেকে ফোন এসেছিল। পিকলু প্রথমে যেতে চাননি। “তার পর সন্ধ্যা ছ’টায় বাড়ি থেকে বেরলো। বলল, বারবার ডাকছে। বলছে জরুরি দরকার। সকালেই ফিরব।’’
প্রসেনজিতরা ফিরবেন না, এমনটা দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি সংস্থার মালিক অরূপবাবুও। বারবার খালি বলছেন, “আমাকে বলা হয়েছিল, সম্পত্তি পাহারা দেওয়ার কাজ! এমন জানলে আমার ছেলেগুলোকে কখনও পাঠাতাম না!” |
ছত্তীসগঢ়ের মাও-দুর্গে প্রথম দফার নির্বাচনে হিংসা |
|
নজিরবিহীন নিরাপত্তা বলয়ে মোড়া থাকলেও রক্ত ঝরল ছত্তীসগঢ় বিধানসভা নির্বাচনে। সোমবার প্রথম দফার নির্বাচনে মাওবাদী হামলায় দন্তেওয়াড়ায় নিহত হয়েছেন সিআরপিএফ-এর এক জওয়ান। আর একটি সংঘর্ষে এক কংগ্রেস প্রার্থী-সহ চার জন আহত হয়েছেন। দন্তেওয়াড়ার একটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে থেকে উদ্ধার হয় দু’টি তাজা বোমা। বিজাপুর থেকেও একটি বোমা উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশ। অন্য দিকে, বস্তারের কাঁকের জেলায় একটি ল্যান্ডমাইন নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে এক নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিত্সার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ দিন যে ১৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হল তার প্রত্যেকটিই মাওবাদী প্রভাবিত। যে হেতু আজকের এই ১৮টি আসনই মাওবাদী প্রভাবিত, তাই সমস্ত জায়গাতেই কার্যত নজিরবিহীন কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। মোতায়েন করা হয় প্রায় ১ লাখ নিরাপত্তাকর্মী। এই প্রথম ‘না-ভোট’-এর অধিকার প্রয়োগ করতে পারলেন ভোটাররা। প্রার্থী পছন্দ না হলে ভোটযন্ত্রের শেষে গোলাপি-সাদা রঙের ‘উপরের কেউ না’ বোতাম টিপে জানানো গেল নিজেদের মত। আজ মোট ১৪৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে। রমন সিংহের নেতৃত্বে বিজেপি তৃতীয় বারের জন্য কংগ্রেসকে ঠেকিয়ে সরকার গঠন করতে পারে কি না সেটা জানতে যদিও আরও এক দফা ভোট বাকি থাকছে। আগামী ১৯ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় আরও ৭২ আসনে ভোটগ্রহণ হবে। সব মিলিয়ে প্রথম দফায় ভোট পড়েছে প্রায় ৬৭ শতাংশ।
বস্তারের ১২টি ও রাজনন্দগাঁওয়ের একটি বিধানসভা আসনে সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ সকাল ৯টা নাগাদ রাজনন্দগাঁও কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। বিকেল ৩টে পর্যন্ত এই কেন্দ্রগুলিতে ভোটগ্রহণ পর্ব চলে। বাকি পাঁচটি আসনে ভোটগ্রহণ চলে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ চলাকালীন বস্তারে এক ভোটকর্মী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। |
নির্বাচনের খুঁটিনাটি |
মোট আসন |
৯০ |
এই ১৮টি আসনে ২০০৮-এর ফল |
আজ ভোট |
১৮ আসনে |
বিজেপি ১৫ |
মোট প্রার্থী |
১৪৩ |
কংগ্রেস ৩ |
পুরুষ |
১৩২ |
বস্তারের
১২টি
আসনের
১১টাই
ছিল
বিজেপির দখলে |
মহিলা |
১১ |
মোট ভোটার |
২৯ লাখ ৩৩ হাজার |
|
নজরকাড়া কেন্দ্র |
প্রধান প্রার্থী |
রাজনন্দগাঁও |
কোন্টা |
দন্তেওয়াড়া |
|
রমন সিংহ |
বিজেপি (ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী) |
অলকা মুদালিয়র |
কংগ্রেস |
কাওয়াসি লাখমা |
কংগ্রেস |
মণীশ কুঞ্জম |
সিপিআই |
দেবতী কর্মা |
কংগ্রেস (মহেন্দ্র কর্মার স্ত্রী) |
ভীমা মান্ডবি |
বিজেপি |
|
|
জাতীয় সড়ক অবরোধ |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
|
ধুলিয়ানের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরেই রবিবার রাতে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সে রাতেই হাজি আখতার হোসেন (৪৮) নামে স্থানীয় নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চের ওই নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। হাসপাতালে, কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যু নিছকই পথ দুর্ঘটনা নয়। খুন করা হয়েছে তাঁকে, এই দাবিতে সোমবার সকাল থেকে আখতারের দেহ আঁকড়ে সমশেরগঞ্জের কাছে অবরোধ শুরু করে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। আর তার জেরেই উত্তরবঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগের এক মাত্র ওই সড়কে যান চলাচল কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। এ দিন বিকেল পর্যন্ত তা স্বাভাবিক হয়নি বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। |
গয়ার গ্রামে মাও-হামলায় নিহত ৩ |
|
দলছুট সঙ্গীকে সাজা দিল মাওবাদী জঙ্গিরা। একই সঙ্গে পুলিশের চর সন্দেহে আরও কয়েক জনের উপর গুলি চালাল তারা। গত কাল রাতে, বিহারের গয়া জেলার আমকোলা গ্রামের এই ঘটনায় নিহত হন মোট তিন জন। জখম হয়েছেন আরও তিন গ্রামবাসী। মাওবাদী জঙ্গিদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।
সংশ্লিষ্ট মহকুমার এসডিপিও রাজেশ কুমার জানিয়েছেন, “গত কাল গভীর রাতে গ্রামে একটি জলসা চলছিল। সেই সময় এক দল জঙ্গি সেখানে হানা দিয়ে সকলের চোখের সামনেই ৬-৭ জনকে তুলে নিয়ে যায়। জলসাস্থল থেকে কিছু দূরে নিয়ে গিয়ে তাদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায় জঙ্গিরা। ঘটনাস্থলেই তিন জনের মৃত্যু হয়। জখম অন্য তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
পুলিশ জানায়, মৃতদের মধ্যে সঞ্জয় যাদব নামে এক যুবক রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি মাওবাদী দল ছেড়ে দেন। হানাদার জঙ্গিরা সঞ্জয়ের মোটরবাইকটি পুড়িয়ে দেয়। তাঁর কাছে থাকা একটি রাইফেল, একটি পিস্তল ও সমস্ত কার্তুজ জঙ্গিরা নিয়ে গিয়েছে। গ্রামবাসীদের কথায়, সঞ্জয় ও তার সঙ্গীরা পুলিশের চরবৃত্তি করছে বলে জঙ্গিরা অভিযোগ করে।
|
ধানবাদের খনিতে ধসে মৃত ৪, আহত ৭ |
|
সোমবার দুপুরে ধানবাদের চিরকুণ্ডায় বিসিসিএল-এর একটি খনিতে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। এর মধ্যে এক জন শ্রমিক-সহ সংস্থার তিন আধিকারিক রয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭ জন। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। দুর্ঘটনার সময় খনিতে প্রায় ৮০ জন কাজ করছিলেন। এখনও পর্যন্ত এক জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিসিএল-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর তাপসকুমার লাহিড়ী। |
|
চলছে উদ্ধারকাজ। ছবি: শৈলেন সরকার। |
তিনি জানান, খনির ছাদ থেকে দৈর্ঘ্যে প্রায় ১০০ ও প্রস্থে ২৫ ফুট একটি চাঙড় ভেঙে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায় একশোর বেশি উদ্ধারকারী কাজে নেমেছেন। ঘটনাস্থলে এখনও বেশ কয়েক জন আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
|
সাধারণ ধর্মঘটে নেপালে ব্যাহত জনজীবন
সংবাদ সংস্থা |
|
সিপিএন-মাওবাদীদের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের জেরে নেপালের বিভিন্ন অংশের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা আংশিক ভাবে ব্যাহত হয়। ধর্মঘটের জেরে বন্ধ আছে স্কুল-কলেজ, বাজার, কলকারখানাও। যান চলাচল পরিষেবা ব্যাহত হলেও সংবাদমাধ্যম-সহ পর্যটকদের গাড়িকে এই ধর্মঘটের আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৯ নভেম্বরের সংবিধান সভার নির্বাচন পিছনোর দাবিতে অটল ইউসিপিএন-মাওবাদী দলের থেকে বিছিন্ন দল সিপিএন-মাওবাদী। ধর্মঘটে যোগ দিয়েছে নেপালের আরও কয়েকটি ছোট দল। ভোট পিছনো ছাড়াও তাদের দাবি, মন্ত্রিসভার চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করতে হবে। নেপাল পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আইন অমান্যের অভিযোগে অন্তত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীরা চারটি গাড়ির কাচ ভেঙেছে। |
|