|
|
|
|
|
|
|
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব |
সাদায় কালোয় |
রঙিন ছবি দেখতে দেখতে এখন মাঝে মাঝেই স্বাদ-বদলের সাধ হয়। সারা দুনিয়ায় সেরা ছবিগুলো বাছতে বসলেও তো প্রায় সবই সাদাকালো। বরং রঙিন ছবির অতি-বাস্তবের মধ্যে সাদাকালোয় যেন রূপকথার রঙ। এ বারের কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে তারই মায়াবী হাতছানি। ‘শেডস অব ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট’, এই শিরোনামে একগুচ্ছ ছবি। গনগনে তরুণদের হতে তৈরি, কারও-বা প্রথম ছবি। ‘ডেনড্রোলোজিয়াম’ ছবির স্থিরচিত্র বাঁ দিকে; সাম্প্রতিক এই ছবিটিই তো যুগ্ম পরিচালক আমিন আজাম (জার্মানি) আর রাফায়েল স্টেমপ্লিউস্কি’র (পোল্যান্ড) প্রথম ছবি। |
|
এ-ছবির রুশ সিনেমাটোগ্রাফার সের্গেই ইউরিজ্ডিটস্কি সারাক্ষণ ক্যামেরা নিয়ে নিসর্গকে তাড়া করে ফিরেছেন। “নবীনদের সঙ্গে প্রবীণ জাদুকরদেরও কাজ, ‘গ্রেট মাস্টার্স’ বিভাগে বিলি ওয়াইলডার-এর রেট্রো।” জানালেন উৎসব-অধিকর্তা যাদব মণ্ডল। সত্যজিতের অত্যন্ত প্রিয় পরিচালক বিলি ওয়াইলডার (১৯০৬-২০০২) সেই শিল্পী যিনি হলিউডকে শাসন করতেন, ছবি করে গিয়েছেন আমেরিকার নাগরিক জীবনে নৈতিকতার দ্বন্দ্ব নিয়ে। ডান দিকে তাঁরই ‘স্যাব্রিনা’র (১৯৫৪) স্থিরচিত্র। উদ্বোধন হল কাল, আজ থেকে ১৭ নভেম্বর অবধি চলবে উৎসব। সেমিনার, প্রদর্শনী, শর্ট ফিল্ম মেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের ছোট ছবি, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ-এর ওপেন ফোরাম, মাস্টার ক্লাস, শর্মিলা ঠাকুরের ‘সত্যজিৎ স্মৃতি বক্তৃতা’, হীরালাল সেন মঞ্চে সিনেমা নিয়ে নিয়মিত আড্ডা।
|
শতবর্ষ |
বাঙালির কাছে কি ফিকে হয়ে এসেছে বাবু কমলকুমার মজুমদারের নাম? ‘মাধবায় নমঃ তারা ব্রহ্মময়ী মাগো, যাহা স্মরণে ইহা লিখি যে বাঙলা সাহিত্য আমার মজ্জায়, যখনই আমি তাহার দুর্লভত্ব দেখি, তখন আমার ভাব লাগে’ এমন বাক্যগঠনে বাংলা সাহিত্যকে চমকে দিয়েছিলেন কমলকুমার। জন্ম ১৯১৪-র ১৭ নভেম্বর, এ বছর তাঁর জন্মশতবর্ষ। এই উপলক্ষে ১৮ নভেম্বর সন্ধে ৬ টায় অবনীন্দ্র সভাঘরে কমলকুমার অনুরাগীরা মিলিত হবেন শতবর্ষ-স্মরণ সূচনা অনুষ্ঠানে। ‘কমলকুমারের নাট্যভাবনা’ প্রসঙ্গে বলবেন দীপঙ্কর দাশগুপ্ত। স্মৃতিচারণ করবেন অনিরুদ্ধ লাহিড়ী, রমানাথ রায়, শুভ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। প্রশান্ত মাজীর লেখা বই কমলকুমার প্রকাশ করবেন রামকুমার মুখোপাধ্যায়। থাকবেন কমলকুমারের পত্নী দয়াময়ী মজুমদার। আয়োজনে সাহিত্য পত্রিকা ‘প্রতিবিম্ব’, কমলকুমার মজুমদার মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও পারুল প্রকাশনী।
|
সিনেমা |
জীবনানন্দ অলোকরঞ্জন আর শক্তির মতো তিন কবিকে নিয়ে তথ্যচিত্র করেছেন সুরঞ্জন রায়ের মতো এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া শক্ত কলকাতায়। তবে ছবি বানানোর অনেক আগে থেকেই ছবি নিয়ে লেখালিখি করছেন। সিনেমা নিয়ে তাঁর সেই সব লেখায় সত্যজিৎ-ঋত্বিকের পাশাপাশি এসে পড়ে দান্তে বা শেক্সপিয়রের সাহিত্য, সিনেমার স্বর্গ ইতালি দেশটাও, গ্রন্থিতও হয়েছে সে সব। হাতে-গরম নতুন বই কবিতার হাতছানি/ সিনেমা থেকে সিনেমায় (অভিযান) বেরল সদ্য, ফিল্মে ফুটে ওঠা আক্রান্ত নানা মানুষের যন্ত্রণার আখ্যান নিয়ে। প্রকাশ করলেন শঙ্খ ঘোষ, উপস্থিত ছিলেন দেবেশ রায় ও সুধীর চক্রবর্তী।
|
বুনুয়েল |
সেই জীবনী লুই বুনুয়েল-এর আত্মজীবনী এবং এক অর্থে বিংশ শতাব্দীর ইউরোপের শিল্প-ইতিহাসও। ’৮১-তে লেখা আত্মজীবনী মঁ দের্নিয়ে সুপির নামে ফরাসিতে প্রকাশিত হয়েছিল পরের বছর। সেই লেখায় চ্যাপলিন থেকে আইজেনস্টাইন, ককতো থেকে হিচকক তো আছেনই, লিখেছেন লোরকা বা দালির কথাও। কখনও বা স্পেনের গৃহযুদ্ধ, বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ব্যক্তিগত জীবন, চলচ্চিত্র-জীবন, গুরুত্বপূর্ণ আত্মজীবনীটির বাংলা অনুবাদ প্রকাশিত হল, শেষ দীর্ঘশ্বাস (সপ্তর্ষি)। ইংরেজি অনুবাদ মাই লাস্ট ব্রেথ থেকেই বাংলা অনুবাদটি করেছেন অরূপরতন ঘোষ। আছে তথ্যপঞ্জিও।
|
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা |
অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘উৎস মানুষ’ পত্রিকার পাতায় বন্দি ছিলেন না, সাপের কামড়ের চিকিৎসায় প্রশিক্ষিত ওঝার হাতে ইনজেকশনের সিরিঞ্জ তুলে দেওয়ার ভাবনাটা তাঁরই। আশির দশকে রাজ্যে বিজ্ঞান আন্দোলনে বেশ কয়েকটি সংগঠন তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে সংবাদের শিরোনামে চলে আসে। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য-সচেতনতা বাড়াতে সহজ বাংলায় লেখা চটি চটি বই বের করে ড্রাগ অ্যাকশন ফোরাম গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিল। জনবিজ্ঞানের ধারায় যাঁরাই শামিল হতেন, অশোক তাঁদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিতেন। প্রয়াত হন ১৭ নভেম্বর ২০০৮। এ বারও সেই তারিখে বিকেল পাঁচটায় অশোক বন্দ্যোপাধ্যায় স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করেছে উৎস মানুষ। বক্তৃতা দেবেন চিকিৎসক সঞ্জীব মুখোপাধ্যায়। বিষয়: স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা। স্থান: বিড়লা তারামণ্ডল প্রেক্ষাগৃহ।
|
কলকাতা নিয়ে |
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কলকাতা চর্চার সুপরিচিত কেন্দ্র। বর্তমান কিউরেটর জয়ন্ত সেনগুপ্ত এ ব্যাপারে আরও উদ্যোগী হয়েছেন। তারই অঙ্গ হিসেবে আয়োজিত হচ্ছে কলকাতা বিষয়ক নানা আলোচনা। সেই সূত্রেই ১৫ নভেম্বর সন্ধে ছ’টায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হলের পশ্চিমের বারান্দায় কলকাতা সম্বন্ধে পুরনো গল্পগাছা শোনাবেন প্রসার ভারতীর সিইও জহর সরকার। অন্য দিকে এ বছর পূর্ব ভারতের সেন্টার ফর আর্কিয়োলজিকাল স্টাডিজ অ্যান্ড ট্রেনিং-এর ১৮-তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপিত হবে আইসিসিআর-এ ১৫-১৬ নভেম্বর। এই উপলক্ষে ‘টেক্সট অ্যান্ড আর্কিয়োলজি: সাইটস অ্যান্ড সেটলমেন্ট’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় যোগ দেবেন দেশের কৃতী গবেষকরা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ভাষণ দেবেন জহর সরকার।
|
গল্পমেলা |
খুদে গল্প বলিয়েদের দুরন্ত উৎসাহে জমে গেল গল্পমেলা। শিশুদিবস উপলক্ষে আগাম এই আয়োজন করেছিল সিগাল ফাউন্ডেশন ফর দ্য আর্টস এবং এর সহযোগী উদ্যোগ পিসওয়ার্কস। গত শনিবার মোহরকুঞ্জের এই মেলাতে অংশ নিয়েছিল কলকাতা পুলিশের উদ্যোগে গঠিত নবদিশা-র শিশুরা, সঙ্গে ছিল এ শহরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। গল্প বলা বা শোনার ফাঁকে শিশুরা মেতে রইল মাটির কাজ বা ছবি আঁকায়। ছিল স্কুল ব্যান্ড বা নাটক অভিনয়ও। আর বিভিন্ন বিদ্যালয়ের তরফে শিক্ষামূলক প্রদর্শনী স্টল এবং ‘পিস’ শীর্ষক একটি প্রদর্শনী। কম্পিউটার, গেমস, ইন্টারনেট থেকে মুখ ফিরিয়ে সাহিত্যের মূলধারার প্রতি এই প্রজন্মকে উৎসাহী করে তুলতেই এই মেলার আয়োজন, জানালেন উদ্যোক্তারা।
|
জগদ্ধাত্রী |
|
স্বাধীনতার একশো বছর আগে, বারো বছর বয়সে কলকাতায় মামার বাড়িতে চলে এসেছিলেন বটকৃষ্ণ পাল। বেনিয়াটোলা স্ট্রিটের বাড়িতে ১৯০০ সালে শুরু করেন জগদ্ধাত্রীর পুজো। সেই পুজো বংশপরম্পরায় এখনও বাহিত হয়ে পড়ল একশো চোদ্দোয়। সালংকারা দেবী সিংহের ওপরেই দু’পা মুড়ে বাবু হয়ে বসে, দু’পাশে চার জন সখী, চালচিত্রে ধাতুনির্মিত বাহারি ফল-পাতার শোভা। আকন্দ তুলোর ছোট ছোট আঁশ বের করে আঠা দিয়ে লাগিয়ে তৈরি হয় সিংহের গায়ের লোম। এক কালে ঢাকা থেকে শিল্পী এনে মায়ের সাজসজ্জা করানো হত, এখন কলকাতার শিল্পীই সনাতন ডাকের সাজে প্রতিমা সাজিয়ে তোলেন।
|
গীতাঞ্জলি |
১৩ নভেম্বর ১৯১৩-য় রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাপ্তির সিদ্ধান্ত যখন গৃহীত হয়, দেখা গেল তেরো জন সদস্যের মধ্যে বারো জনই ভোট দিয়েছেন ‘গীতাঞ্জলি’র কবির পক্ষে। এই ঐতিহাসিক ঘটনার শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে রবীন্দ্রতীর্থ নিবেদন করছে ‘বাণী থেকে সুরের সুরধুনী’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠান। আগামী ১৭ নভেম্বর রবিবার সন্ধ্যা ৬ টায় নিউটাউনে রবীন্দ্রতীর্থ-র নিজস্ব প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে ভাষ্য, গান ও কবিতায় গীতাঞ্জলি পরিবেশন করবে সৃষ্টি পরিষদ। রবীন্দ্রনাথের নোবেল প্রাপ্তির প্রেক্ষাপট নিয়ে বলবেন উজ্জ্বলকুমার মজুমদার। সূচনায় প্রদর্শিত হবে অংশুমান বিশ্বাসের তথ্যচিত্র ‘আ ডে উইথ গীতাঞ্জলি’।
|
আত্মপ্রকাশ |
আরও একটি নাটক দল আত্মপ্রকাশ করল। নির্ণয়। এ শহরের নাটকপ্রেমীরা চেতনা নাট্য দলের অরুণ মুখোপাধ্যায় নির্দেশিত নাটক ‘নির্ণয়’-কে মনে করতে পারেন। তার নামেই নতুন এই দলের নামকরণ। নির্ণয়-এর কাণ্ডারি সঙ্গীতা পাল চেতনার বহু প্রযোজনায় অরুণবাবুর সঙ্গে ছিলেন। অভিনয় করেছেন ‘নির্ণয়’, ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’, ‘দিবারাত্রির কাব্য’, ‘চিরকুমার সভা’, ‘জগন্নাথ’, ‘এলা’ এবং ‘বিমলা’-র মতো উল্লেখযোগ্য প্রযোজনায়। এ বার নতুন পথ চলা। সঙ্গী পূর্বতন মিনার্ভা রেপার্টারির কয়েক জন শিল্পী, আর মফস্সলের ক’জন প্রবীণ নাট্যকর্মী। প্রথম প্রযোজনা হিসেবে সবাই বেছেছেন সাহিত্যিক নরেন্দ্রনাথ মিত্রের ছোটগল্প ‘রস’। ’৭৩-এ চিত্রপরিচালক সুধেন্দু রায় এই কাহিনি-আশ্রয়ে ‘সওদাগর’ ছবি বানিয়েছিলেন। সেই গল্পই সঙ্গীতার হাত ধরে মঞ্চে। নাট্যরূপ দিয়েছেন শুভঙ্কর দাশশর্মা, মঞ্চভাবনায় হিরণ মিত্র। ১৭ নভেম্বর সন্ধে সাড়ে ছ’টায় জ্ঞান মঞ্চে ‘রস’-আস্বাদন করবেন দর্শক।
|
লন্ডনে প্রদর্শনী |
শুরুটা স্কুলে ক্লাসে বসে। সেফটিপিন দিয়ে চকের শরীর খুঁড়তে খুঁড়তে হঠাৎ আবিষ্কার করেন সেটি কোনও প্রতিকৃতির রূপ নিয়ে নিচ্ছে। সেই থেকেই ভাস্কর্যের প্রতি ভাললাগা। পরে সেই ভাললাগাকেই পেশা করে নেন রমিতা ভাদুড়ি। চকের পাশাপাশি তৈরি করেন পাথর, সিমেন্ট আর মাটির তৈরি নানা ভাস্কর্য। ছবিও আঁকেন রমিতা। কলকাতায় প্রদর্শনী এর আগে বেশ কয়েকবার হয়েছে। এ বার পাড়ি দিচ্ছেন লন্ডন। সেখানকার ভারতীয় হাইকমিশনের আমন্ত্রণে। লন্ডনের নেহরু সেন্টারে ১২ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে রমিতার প্রদর্শনী। বিষয় শান্তির বার্তা। থাকবে ছবি এবং রকমারি ভাস্কর্য।
|
উরাইল বনের নির্জনে |
ষাট-সত্তরের দশক। গনগনে আঁচের মধ্যে থিয়েটার করার সময়। সেই উত্তাল দু’দশকেই বিভাস চক্রবর্তী পরিণত হয়েছেন, বিশিষ্ট হয়ে উঠেছেন নাট্যব্যক্তিত্ব হিসেবে। বিজন ভট্টাচার্য, শম্ভু মিত্র, উৎপল দত্ত, অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় পেরিয়ে অভিনেতা-নাট্যকার-নির্দেশক হিসেবে বাঙালি স্বীকার করে নিয়েছিল তাঁকে। আর তাঁকে নিয়ে ছবিও করলেন শান্তনু সাহা: উরাইল বনের নির্জনে (বিহাইন্ড দ্য কার্টেন: আ জার্নি উইথ বিভাস চক্রবর্তী)। গবেষণা, চিত্রনাট্য, প্রযোজনা, পরিচালনা সবই শান্তনুর। নিছক তথ্যচিত্র করার বদলে শান্তনু এই কলকাতা আর তার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সময়ের প্রেক্ষিতে বিভাসকে তুলে এনেছেন তাঁর ছবিতে। ফলে অতীত ও বর্তমানের ‘শহর কলকাতা’ও হয়ে উঠেছে ছবির অন্য এক উপজীব্য। আবার বিভাসের কথোপকথনে উঠে এসেছে তাঁর সিলেটের বাল্যস্মৃতি, সাংবাদিক-নাট্যকার-রাজনীতিক পিতা বিনোদবিহারী চক্রবর্তী, দেশভাগ, এ-বঙ্গে রানাঘাটে বসবাস, পালচৌধুরী স্কুল, দমদমে চলে আসা, প্রেসিডেন্সি কলেজ... আবার তার পাশাপাশি থিয়েটারের অনুপুঙ্খ অনুষঙ্গ নিয়ে শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথাবার্তা। তাঁর নানান নাট্য-প্রযোজনার ফুটেজও রয়েছে শান্তনুর ছবিটিতে। এ বারের চলচ্চিত্র উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবির বিভাগে দেখানো হবে শান্তনুর কাজটি। ১৪ নভেম্বর।
|
|
|
|
|
শিল্পী |
শচীনদা ছিলেন আমার কাকার সাগরেদ। সামনের ঘরে বসে শচীনদা কাকার কাছে গান শিখতেন। আমি তখন হাফ প্যান্ট পরে ঘুরে বেড়াতাম। শচীনদা এলেই আমি আসতাম। ওই লোকটা কী রকম একটা চুম্বকের মতো অ্যাট্রাক্ট করত। একটা ফর্সা ধপধপে লোক। কুর্তা আর ধুতি পরে আসতেন। নাকি সুরে গান করতেন। আমার অদ্ভুত লাগত যে ওই লোকটা অন্য লোকদের থেকে এত আলাদা কী করে হয়?’ শচীনদেব বর্মন প্রসঙ্গে বলছেন প্রয়াত শিল্পী মান্না দে। ‘একটা অদ্ভুত লোক ছিল। এত ফার্টাইল মন! এত ফার্টাইল ব্রেন! কত রকম জিনিস লিখতে পারে, কত রকম জিনিস ভাবতে পারে। কত রকম ভাবে সুর করতে পারে। ব্রিলিয়ান্ট লোক।’ প্রয়াত সুরকার সলিল চৌধুরী সম্বন্ধে মন্তব্য সেই মান্না দে’র। বিভিন্ন সময়ে শিল্পী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন শচীনদেব বর্মন, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, উত্তমকুমার, সলিল চৌধুরী, লতা মঙ্গেশকর বা কিশোরকুমার সম্পর্কে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় মান্না দে সম্পর্কে লিখেছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, গোপালকৃষ্ণ গাঁধী, রাজু ভরাতন। সেই সব লেখার সংকলন নিয়ে ২৪ নভেম্বর, রবিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বিডন স্ট্রিটে ছাতুবাবু-লাটুবাবুর বাড়িতে প্রকাশিত হচ্ছে মান্না দে: সুরসপ্তকের অধিরাজ (সূত্রধর)। বইটির ভূমিকা লিখেছেন সুধীর চক্রবর্তী। থাকবে মান্না দে’র একগুচ্ছ দুর্লভ সাদাকালো আলোকচিত্র। সঙ্গে বিভিন্ন ভাষায় গাওয়া শিল্পীর নয়টি রেকর্ডের ছবি। বইটি প্রকাশ করবেন প্রয়াত শিল্পীর পঞ্চাশটিরও বেশি গানের সুরকার সুপর্ণকান্তি ঘোষ। বইটির সঙ্গে দেওয়া হবে মান্না দে’র গাওয়া একটি গানের সিডি। আয়োজনে সুতানুটি বইমেলা কমিটি। |
|
|
|
|
|
|