সহ-শিক্ষিকাকে কথায় কথায় উত্ত্যক্ত করাই নয়, বেশ কয়েক বার তাঁকে ‘অশ্লীল প্রস্তাব’ও দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ পেয়ে শনিবার নদিয়ার গাজনা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব বিশ্বাসকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বছর খানেক আগে, ওই শিক্ষিকা স্কুলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই প্রায়ই তাঁকে উত্যক্ত করা হত। দিন কয়েক ধরে টেলিফোনে শুরু হয়, ‘অশ্লীল প্রস্তাব’ দেওয়া। ওই শিক্ষিকা বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে আমাকে প্রায় রোজই রাতে ফোন করে অশ্লীল কথা বার্তা বলতেন প্রধান শিক্ষক। ওমনখী আমি রাজি না হলে কর্মক্ষেত্রে আমার চরম ক্ষতি করে দেবেন বলে ভয়ও দেখাতেন। ভয় পেয়ে আমি জেলা পরিষদ সদস্য শিপ্রা দাসকে লিখিত ভাবে ব্যাপারটা জানাই।” শনিবার শিপ্রাদেবী স্কুলে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষককে জিঞ্জাসা করেন। প্রথমে শ্বীকার করতে না চাইলেও পরে মোবাইলে তার প্রমাণ মেলায় মেনে নেন সব অভিযোগই। শিপ্রাদেবী বলেন, “প্রধান শিক্ষর প্থমে স্বীকার করতে চাননি। তবে পরে লিখিত ভাবে স্বীকার করে নেন। ক্ষমাও চেয়ে নেন। তবে স্থানীয় গ্রামবাসীরা তাঁকে ‘ক্ষমা’ করতে রাজি ছিলেন না। স্কুলে তালা-বন্ধ করে রেখে দেওয়া হয় তাঁকে। পরে পুলিশ গিয়ে বিপ্লববাবুকে উদ্ধার করে। পরে তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচীরমণ মিশ্র বলেন ‘‘ওই শিক্ষিকার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
|
বাজার থেকে মোটরবাইক চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে জখম হলেন করিমপুরের এক কংগ্রেস নেতা। শনিবার রাত ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে করিমপুর হাসপাতাল পাড়া এলাকায়। আহত তারক সরখেল করিমপুর-১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি এবং করিমপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। পুলিশ জানায়, হাসপাতাল পাড়ায় তারকবাবুর বাড়ি। বাড়ির কাছের গলিতে পৌঁছতেই তারকবাবুর পিছনে একটি মোটরবাইকে চড়ে দুই দুষ্কৃতী আসে। পিছন থেকেই তাঁকে গুলি করে। গুলিটি তাঁর কোমরের নীচে লাগে। প্রথমে তাঁকে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে স্থানান্তরিত করানো হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করানো হয়। তেহট্টের এসডিপিও সুনীল সিকদার জানান, খুনের চেষ্টার কারণ স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত চলছে। |