|
|
|
|
ঝাড়গ্রামে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধের ডাক তৃণমূলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
ঝাড়গ্রাম পুরভোটে দলীয় প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে দলের গোষ্ঠী কোন্দল বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। শনিবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম শহরের দেবেন্দ্রমোহন হলে দলের এক কর্মিসভায় মূল বক্তা ছিলেন সুব্রতবাবু। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক দুর্গেশ মল্লদেব, ঝাড়গ্রাম শহর তৃণমূলের সভাপতি প্রশান্ত রায়ের উপস্থিতিতে সুব্রতবাবু কড়া ভাষায় বলেন, “ঝাড়গ্রাম পুরভোটে দলের প্রার্থী-তালিকাটি অনুমোদন করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সব কর্মীকে কখনও একসঙ্গে সন্তুষ্ট করা যায় না। তিনিই প্রকৃত দলের কর্মী, যিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলেন” পুরভোটের প্রার্থী তালিকা ও প্রচার নিয়ে অরণ্যশহরে তৃণমূলের একাধিক গোষ্ঠীর মধ্যে মন কষাকষি এখনও অব্যহত। সুব্রতবাবু অবশ্য জানিয়ে দেন, “এখন পিছনে ফিরে দেখার আর কোনও অবকাশ নেই। টানা তিন দশকের বেশি বামেদের দখলে থাকা ঝাড়গ্রাম পুরসভার ভোটারেরা পরিবর্তন চাইছেন। এখানে প্রার্থীর পরিচয় তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি। দলের কারও তল্পিবাহককে প্রার্থী করা হয় নি বলে তিনি যদি গোঁসা করে থাকেন, তাহলে ভুল করছেন। কারণ, রাজ্য নেতৃত্ব তথা দলনেত্রী সমস্ত বিষয়ে ওয়াকিবহাল। ঝাড়গ্রামের কর্মীদের কাছ থেকে যে সব অভিযোগ আমরা পেয়েছি, তা খতিয়ে দেখে যথা সময়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” দলীয় কর্মী ও প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে সুব্রতবাবুর পরামর্শ, “অভিমান ভুলে প্রতিটি ভোটারের কাছে পৌঁছান, না হলে সেই অভিমান ভোটযন্ত্রে প্রভাব ফেলতে পারে।” বস্তুতপক্ষে, ঝাড়গ্রাম পুরভোটের প্রার্থী তালিকায় দুর্গেশবাবু ও প্রশান্তবাবুর অনুগামীরা প্রাধান্য পেয়েছেন বলে মন্ত্রী সুকুমারবাবুর অনুগামীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। |
|
|
|
|
|