টাটকা খবর |
ইডেনে শুরু সচিনের ১৯৯তম টেস্ট ম্যাচ |
ইডেন গার্ডেন্সে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট সিরিজ শুরু হল আজ। সচিন তেন্ডুলকরের ১৯৯তম টেস্ট ম্যাচ এবং তাঁর ক্রিকেট জীবনের শেষ টেস্ট সিরিজ। এই টেস্ট ম্যাচে অভিষেক হল বাংলার পেসার মহম্মদ সামি-র। অভিষেক ম্যাচেই চারটি উইকেট তুলে নিয়ে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সদ্যসমাপ্ত এক দিনের সিরিজে সামি ছিলেন ধোনির সেরা বোলার। তবে সব ক্রিকেট বিশ্লেষণের উপরে সিরিজ জুড়েই থাকবে সচিন-উন্মাদনা। শুধু মাত্র ক্রিকেটের টানে নয়, সচিনের ক্রিকেট জীবনের বিদায় লগ্নের সাক্ষী থাকতে ইডেনে ভিড় জমালেন হাজার হাজার মানুষ এবং তারকারা। আর যাঁরা মাঠে যেতে পারলেন না, তাঁরা বসলেন টেলিভিশনের সামনে। |
|
মাঠে নামছেন সচিন। ছবি: শঙ্কর নাগদাস। |
টসে জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচ শুরুর প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই উইকেট ফেলে দেন ভারতীয় বোলাররা। ব্যক্তিগত ১৮ রানে গেইলকে প্যাভিলিয়নে পাঠান ভূবনেশ্বর কুমার। এর ঠিক পরেই, ১৫ ওভারের মাথায় পাওয়েলের উইকেট নেন সামি। শুরুতেই দু’ উইকেট খুইয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে থাকলেও ইনিংসের সামাল দেন মার্লন স্যামুয়েলস এবং ড্যারেন ব্রাভো। দু’ জনের মধ্যে ৯১ রানের পার্টনারশিপের পর সামির হাতে বল তুলে দেন ধোনি। পর পর দু’ ওভারে স্যামুয়েলস ও রামদিনকে বোল্ড করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জোর ধাক্কা দেন সামি। মাঝে ব্রাভো রান আউট হয়ে প্যাভেলিয়নে ফেরেন। ১৩৮ থেকে ১৪৩ রানের মধ্যে পর পর তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের রাশ হাতে নেয় ভারত। ব্যক্তিগত ১৬ রানে ওঝা-র বলে ভূবনেশ্বর কুমারের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে আউট হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। চা পানের বিরতির ঠিক আগে ফের চমক। সচিনের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে শিলিংফোর্ড-কে এলবিডব্লিউ করে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের ২০১তম উইকেটটি তুলে নেন সচিন। চা পানের বিরতির পরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের অষ্টম উইকেটের পতন হয়। এ বার বোলার অশ্বিন। পেরুমল-কে কট অ্যান্ড বোল্ড করে ম্যাচে নিজের প্রথম উইকেটটি নেন তিনি। নয় ওভার পরেই তাঁর দ্বিতীয় শিকার চন্দ্রপল। ৭৮ ওভারের মাথায় সামি নিজের ১৭তম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ ব্যাটসম্যান কটরেল-কে বোল্ড করে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৩৪ রানে।
ভারত প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা খুবই ভাল করে। দুই ওপেনার শিখর ধবন ও মুরলি বিজয় যথাক্রমে ২১ ও
১৬ রানে অপরাজিত থাকেন। প্রথম দিনের খেলার শেষে ভারতের স্কোর ১২ ওভারে বিনা উইকেটে ৩৭ রান।
|
সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রথম ইনিংস
ওয়েস্ট ইন্ডিজ
৭৮.০ ওভারে ২৩৪/১০
স্যামুয়েলস-৬৫, সামি-৪/৭১
প্রথম ইনিংস
ভারত
১২.০ ওভার
৩৭/০
ধবন-২১*, বিজয়-১৬*
|
|
-
১৯৯-র আগে! স্মারকে কুর্নিশ। ছবি: শঙ্কর নাগদাস।
-
‘দ্য সাউন্ড অফ টিম্বার’। বোল্ড স্যামুয়েলস। উইকেট কুড়োচ্ছেন আম্পায়ার। ছবি: রজত কর্মকার।
-
ইডেনের আবেগ-উচ্ছ্বাস। ছবি: শঙ্কর নাগদাস।
-
বল হাতেও চমক! ওভারের তৃতীয় বলে কুপোকাত শিলিংফোর্ড। ছবি: উত্পল সরকার।
-
ফের সামির বলে বোল্ড। এ বার রামদিন। ছবি: রজত কর্মকার।
-
সাফল্যের স্বাদ! জীবনের প্রথম টেস্টে নজরকাড়া বোলিং সামি-র। ছবি: উত্পল সরকার।
-
খুদেদের সই বিলোলেন সচিন। ছবি: উত্পল সরকার।
|
|
সরকারি বিজ্ঞাপনে মুখ কি কানু সান্যালের, বিতর্ক
নিজস্ব প্রতিবেদন |
সরকারি বিজ্ঞাপনে প্রয়াত নকশাল নেতা কানু সান্যালের ছবি প্রকাশের অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেন এই ছবি প্রকাশিত হল, তাই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কানুবাবুর পরিবারের লোকেরা। এই ঘটনার নিন্দা করেছে বিভিন্ন নকশালপন্থী রাজনৈতিক দলও। তবে সরকারের দাবি, মুখের মিল থাকলেও ওটা কানু সান্যালের ছবি নয়।
প্রশাসনের একটি সূত্রের বক্তব্য, বিজ্ঞাপনটি তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটি বেসরকারি সংস্থাকে। তারা ইন্টারনেটে খেটে খাওয়া মানুষের ছবির সন্ধান করতে গিয়ে ওই মুখটি দেখে তা বিজ্ঞাপনের কাজে ব্যবহার করেছে। এটা ভুলবশত হয়েছে। এর পিছনে অন্য কোনও অভিপ্রায় নেই। রাজ্য সরকারের ‘আর্থিক সুরক্ষা প্রকল্প’-এর সূচনা উপলক্ষে বুধবার বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন সংবাদপত্রে। টাউন হলে প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজ্ঞাপনে সব বয়সের ‘আম-আদমি’-র মুখ গেখানোর জন্য মোট ছ’টি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি প্রয়াত নকশাল নেতার বলে অভিযোগ।
বিজ্ঞাপনটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে জানতে পেরে টাউন হলের সভায় মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বলেন, “কোনও কোনও লোককে দেখতে এক রকম। কিন্তু আসলে এক লোক নয়! শুনলাম, গুগল সার্চ করে ছবি বার করা হয়েছে।” তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সচিব অত্রি ভট্টাচার্যের সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “ছবিটি কানু সান্যালের নয়।”
কিন্তু কানুবাবুর ভাইপো অরিন্দম সান্যাল বলেন, “আমরা নিশ্চিত, এটা কাকারই ছবি। বিনা অনুমতিতে প্রয়াত কাকার ছবি সরকারি বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা একেবারেই অনৈতিক কাজ। উপরন্তু, এমন একটা বিষয়ের উপরে বিজ্ঞাপন, যা কি না কাকার জীবনযাপন ও চরিত্রের সঙ্গে একেবারেই বেমানান।”
সরকারি বিজ্ঞাপনে কানুবাবুর ছবি ব্যবহারের প্রতিবাদ করেছে নকশালপন্থী দলগুলি। সিপিআই (এম-এল) রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর তরফে সুব্রত বসু বলেন, “তৃণমূল এবং তাদের পরিচালিত সরকার রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্যই কানুবাবুর ছবি ব্যবহার করেছে। যাতে তাঁর গরিব-দরদি ভাবমূর্তি কাজে লাগিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করা যায়!” ওই বিজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষও।
সিপিএমের দার্জিলিং জেলার কার্যকরী সম্পাদক জীবেশ সরকারের দাবি, “কানুবাবুর মতো এক জন কমিউনিস্ট নেতার ছবি বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
|
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ মুর্শিদাবাদে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কান্দি |
বাড়িতে ডাকাত পড়ার নাটক করে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার মাঝ রাতে মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বেলডাঙা গ্রামে ইজাজুল মোল্লা নামে ওই যুবকের বাড়িতে বোমা ফাটার শব্দ পান প্রতিবেশীরা। কিছু ক্ষণের মধ্যেই শোনা যায় গুলির শব্দও। খানিক পর বোমা ফাটার শব্দ থেমে গেলে প্রতিবেশীরা সেই বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান, ইজাজুলের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সবনুর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন। রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘর। ইজাজুল তখন তাঁদের জানান, বাড়িতে ডাকাত পড়েছিল। তারাই বোমা ছুড়েছে। তারপরে গুলি করে খুন করেছে তাঁর স্ত্রী-কে। ইজাজুলের কথা তখন সমর্থন করেন তাঁর দুই দাদাও। পুলিশ কিন্তু ইজাজুলের সেই তত্ত্ব মানছে না। জেলার পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেছেন, “ইজাজুল তাদের বাড়িতে ডাকাত পড়ার যে কথা বলছে, তা সত্যি নয় বলেই জানতে পেরেছি। ওই যুবকই তাঁর স্ত্রীকে খুন করেছেন, এমন অভিযোগও হয়েছে। আমরা তাই ইজাজুল ও তাঁর দুই দাদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।”
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৫ সালে বীরভূমের মারগ্রাম থানার সন্ধ্যাজোল গ্রামের মেয়ে সবনুরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ইজাজুলের। ইজাজুল কর্মসূত্রে মুম্বইতে থাকেন। ইজাজুল-সবনুরের ছয় ও চার বছরের দু’টি পুত্র রয়েছে। গত এপ্রিলে ইজাজুল মুম্বই থেকে বাড়ি এসেছিলেন। তখন দিন পনেরো থাকার পরে চলে যান। গত রবিবার তিনি ফের বাড়ি ফেরেন।
|
হোটেল ম্যানেজার খুনে অভিযুক্ত মালিক
|
পুরুলিয়ার নামো পাড়া এলাকায় এক হোটেল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল খোদ হোটেল মালিকের বিরুদ্ধেই। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত্রে হোটেলের ম্যানেজার ভাস্কর চট্টোপাধ্যায় (৫৪) এবং মালিক আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে বচসা বাধে। বচসার মধ্যেই আশিষবাবু ম্যানেজারকে লক্ষ করে গুলি চালান বলে জানায় পুলিশ। গুলি লাগে ভাস্করবাবুর গলায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বোকারোর একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এই খুনের ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। ক্ষিপ্ত জনতা ওই হোটেলে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়, আগুন লাগিয়ে দেয় হোটেলটিতে। হোটেলের সামনে রাখা একটি গাড়ি এবং একটি মোটরবাইকেও আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাস্থলে যায় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। হোটেল মালিকের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় অসংখ্য মানুষ। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও অধরা। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত হোটেল মালিকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, হোটেলের মালিক আশিষবাবু এলাকার কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন কাউন্সিলর।
|
তমলুকে লুঠপাট, গৃহকর্তার গলায় ভোজালির কোপ |
পরিবারের সদস্যদের বেঁধে রেখে লুঠপাট চালালো এক দল দুষ্কৃতী। বুধবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে। বাড়ির চার সদস্যকে বেঁধে রেখে জিনিসপত্র তছনছ করার পর, নগদ টাকা না পেয়ে ক্ষোভে তারা ভোজালির কোপ মারে পরিবারের কর্তা সুশান্ত প্রধানের গলায়। বাধা দিতে গিয়ে গুরুতর জখম হন সুশান্তবাবুর ছেলে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সুব্রত। দু’জনই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি। পুরসভার বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পে বাড়ি তৈরি হচ্ছিল ওই দরিদ্র পরিবারের। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, ওই পরিবারের হাতে প্রচুর নগদ টাকা আছে ভেবে, এ দিন ভোরে নির্মীয়মাণ পাকা বাড়ির কাঠের জানলা ভেঙে ঘরে ঢুকে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। জেলা পুলিশ সুপার সুকেশকুমার জৈন বলেন, “গরিব ওই পরিবারে দুষ্কৃতীরা কেন লুঠপাট ও আক্রমণ চালিয়েছে, তা তদন্তে দেখা হচ্ছে।” |
|