শুক্রবার রাতে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন পটনায়। আজ সকালেই নরেন্দ্র মোদী দেখা করলেন বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে। তাঁর সফরকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় গোটা রাজ্য। রাজ্য প্রশাসন তো বটেই, মোদীর নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয় এক হাজার এসটিএফ জওয়ান, ব্ল্যাক ক্যাট ও এনএসজি। রাজ্য জুড়ে জারি করা হয় সতর্কবার্তাও। |
শনিবার প্রথমেই তিনি যান গৌরীচকের কমরজি গ্রামে বিস্ফোরণে নিহত রাজনারায়ণ সিংহের বাড়িতে। সেখানে মোদীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অরুণ সিংহ, সুশীল কুমার মোদী, বিরোধী নেতা নন্দ কিশোর যাদব ও পটনার এসএসপি মনু মহারাজ। বিধায়ক অরুণ সিংহ জানান, রাজনারায়ণের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন মোদী। বিজেপির তরফ থেকে রাজনারায়ণের পরিবারের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন তিনি। পাশাপাশি, তাঁর পরিবারের এক জনকে চাকরির আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। স্ত্রী ছাড়াও তাঁর পরিবারে রয়েছে তিন ছেলে। গত ২৭ অক্টোবর বাড়িতে কাউকে না জানিয়েই মোদীর সভায় গিয়েছিলেন তিনি। রাজনারায়ণ জয়প্রকাশ নারায়ণের একনিষ্ঠ অনুগামী ছিলেন।
কাইমুর, গোপালগঞ্জ, সুপৌল, বেগুসরাই ও নালন্দায় নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে আমদাবাদে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু খারাপ আবহাওয়ার কারণে মোদীর সফর কাটছাঁট করতে হয়। কাইমুর থেকে তিনি পটনায় ফিরে যান। মোদীর এই বিহার সফর প্রসঙ্গে জেডিইউ-এর অভিযোগ, মেরুকরণের রাজনীতি করছে বিজেপি।
|
পাক-তালিবান নেতার মৃত্যুতে সতর্কতা জারি পাকিস্তানে |
শুক্রবার মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন শীর্ষ পাক তালিবান নেতা হাকিমুল্লা মেহসুদ। ২০০৯ সালে পাক তালিবান নেতৃত্বের দায়িত্ব নেন তিনি। পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের কোটকাই এলাকায় একটি ছোট দোকান চালাতেন হাকিমুল্লা। মাদ্রাসা থেকে ধর্মীয় শিক্ষা নেওয়ার পর তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) –এ যোগ দেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যে টিটিপি-র শীর্ষ নেতৃত্বের দায়িত্ব পান। ২০১০ সালে আফগান প্রদেশে সাত সিআইএ আধিকারিককে হত্যা, ন্যাটোর বিরুদ্ধে হামলা—এইসব নাশকতার পরেই আমেরিকার নজরে আসেন। নাম ওঠে আমেরিকার মোস্ট ওয়ান্টেড-এর তালিকায়। তার মাথার দাম ধার্য করা হয় ৫ লক্ষ মার্কিন ডলার।
এ দিকে, হাকিমুল্লার মৃত্যুর পরই পাকিস্তান জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পাক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রক সূত্রে খবর, ইসলামাবাদ ছাড়াও দেশের সমস্ত সরকারি দফতরগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। |