|
|
|
|
জমা জল নামতেই খাল সংস্কারের দাবি দাঁতনে
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
সম্প্রতি বিস্তীর্ণ এলাকা জলে ডুবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে দাঁতনের পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এখন জল নেমেছে। তবে সমস্যার মূল কারণ বেহাল নিকাশি একই অবস্থায় রয়ে গিয়েছে। স্থানীয় পালানিয়া খাল দীর্ঘ দিন ধরে মজে গিয়েছে। আর তাতেই সমস্যা বেড়েছে। অভিযোগ, ফি-বছর এলাকা জলে ডুবলে নিকাশি ব্যবস্থার হাল ফেরানোর আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু কাজের কাজ হয় না। সমস্যা সমাধানে অবিলম্বে পালানিয়া খাল সংস্কারের দাবি তুলেছেন এলাকার মানুষ। এই খাল শুরু হয়েছে খড়্গপুর মহকুমার কেশিয়াড়ি ব্লক থেকে। খালটি দাঁতনে ঢুকেছে আলিকষা গ্রাম পঞ্চায়েত দিয়ে। এই পঞ্চায়েতের মানিকরা, বামনদা, উঁচুডিহা হয়ে তররুই পঞ্চায়েতের পালানিয়া, বাকুরপদা, পুন্দ্রা, পালসুনার উপর দিয়ে গিয়ে দাঁতন-২ পঞ্চায়েতের বেলমুলা বালিডাংরি, বড়বাগরা পর্যন্ত বিস্তৃত পালানিয়া খাল। আঙ্গুয়ার বারোসতীতে খালটি সুবর্ণরেখায় মিশেছে। ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এই খালের বেশ কিছু অংশে জবরদখল হয়েছে। এছাড়া নদীর উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় জলও ওই খাল দিয়েই জল ঢুকছে। সর্বোপরি বছরের পর বছর পালানিয়া খাল সংস্কার হয় না। বছর চারেক আগে একবার খালের কিছু অংশের মাটি তোলার কাজ শুরু হলেও সঠিক ভাবে সংস্কার হয়নি।
এই পরিস্থিতিতে গত অগস্টের ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জলে ভাসে। ফের সেপ্টেম্বরে এলাকা জলমগ্ন হয়। চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়। বড়বাগরা গ্রামের অনিন্দ্য ঘোষ, সুধাংশু দাস, বারোসতীর সুশান্ত বেরার কথায়, “অনেক দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কখনও খাল সংস্কারের তেমন উদ্যোগ চোখে পড়েনি।” তররুই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রতুল দাস বলেন, “বাম আমলে এলাকার মানুষের অভিযোগের পরও খাল সংস্কার করা হয়নি। আমার গ্রাম পঞ্চায়েত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম দত্ত এসে সব দেখে গিয়েছেন। খাল সংস্কারের আশ্বাসও দিয়েছেন।” বিডিও জ্যোতি ঘোষের কথায়, “খাল সংস্কার না হওয়াতেই নিকাশির সমস্যা হচ্ছে। এটা দীর্ঘ দিনের সমস্যা। একশো দিনের কাজে যাতে খাল সংস্কার হয়, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার এলাকা পরিদর্শনে আসেন একশো দিনের প্রকল্পে মাটি সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ স্বপন সরকার। তিনি বলেন, “আমি তররুই-সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি ১৩ কিলোমিটার ওই খালটি বেশ কিছু ধাপে সংস্কার করা হবে। কী ভাবে তা করা যায় দেখা হচ্ছে।” পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভুমি সংস্কার) অরিন্দম দত্তের কথায়, “আমরা ওই এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে মৌজার ম্যাপ নিয়ে আসতে বলেছি। তারপর ওঁদের সঙ্গে বসেই ঠিক করা হবে কী ভাবে খাল সংস্কার করা হবে।” |
|
|
|
|
|