সামনে পুরভোট। দলে ভাঙন অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে দলের শক্ত ঘাঁটি মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে চায় কংগ্রেস। আর সেই ঘুরে দাঁড়ানোর কর্মসূচিতে রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরীকে সামনে রেখেই আজ, রবিবার বহরমপুরে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসকে কোণঠাসা করতেই পুলিশ-প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে অধীরের বিরুদ্ধে খুন ও জেলাশাসকের বাংলোতে ভাঙচুরের মিথ্যা ও সাজানো মামলা করা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে আজ বহরমপুরের এফইউসি মাঠে সমাবেশের আয়োজন করেছে কংগ্রেস। শনিবার বহরমপুরে পৌঁছোন অধীর। ওই দু’টি ঘটনায় অভিযুক্ত অধীর অর্ন্তবর্তীকালীন আগাম জামিন পেয়েছেন। তিনি শহরে পৌঁছানো মাত্র কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরাও উজ্জীবিত। তাঁর খাসতালুকে এসেই অধীর বলেন, “বাংলার মানুষ চেয়েছিল অসুরকে সরাতে। সেই কারণেই মানুষ রাজ্যের শাসন ক্ষমতার পরিবর্তন ঘটিয়েছে। কিন্তু শাসকের মানসিকতার যে পরিবর্তন হয়নি তা প্রতি মুহূর্তে মানুষ উপলব্ধি করছে। কংগ্রেসের একজন সৈনিক হিসাবে আমাকে নিয়েও যা করছে তা মানুষ উপলব্ধি করছে। মানুষই তার জবাব দেবে।”
দলীয় নেতৃত্বের দাবি, আজ বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে দলে দলে কংগ্রেস কর্মীরা আসবেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা অধীরই। হাজির থাকবেন মহিলা কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী শোভা ওঝা, এআইসিসি’র তরফে রাজ্যের পর্যবেক্ষক সাকিল আহমেদ খান, প্রদেশ সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, সাংসদ মৌসম নূর, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মানস ভুঁইঞা। আজকের সমাবেশে সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করাতে চান কংগ্রেস নেতারা।
|
মন্দির থেকে চুরি গেল কষ্টিপাথরের গোবিন্দ বিগ্রহ। শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের নিমতিতা রাজবাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। শনিবার ভোরে মন্দির খোলার সময় দেখা যায় দরজার তালা ভাঙা। ভেতরে বিগ্রহ নেই। কয়েক বছর আগে গোবিন্দদেবের সোনার গয়নাও চুরি গিয়েছে। রাজপরিবারের সদস্য রবীন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী বলেন, “ছোট রানিমা সবিতা চৌধুরীর মৃত্যুর পর রাজবাড়িতে কেউ থাকেন না। পুরোহিত ও পরিচারিকারাই সব দেখাশোনা করেন। ওই বিগ্রহের সঙ্গে রাজবাড়ির ইতিহাস জড়িয়ে আছে।” রাজবাড়ির কাছেই বিএসএফ ক্যাম্প। তবে চুরির ঘটনায় কেউ ধরা পড়েনি। পুলিশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। |