|
|
|
|
শ্রমিকের অপমৃত্যু, অভিযুক্ত আধিকারিক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
বরখাস্ত হওয়া এক শ্রমিকের মৃত্যুতে উত্তেজনা ছড়িয়েছে শিল্পশহর হলদিয়ায়। ‘লালবাবা সিমলেস প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে এক পাইপ কারখানায় ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন পঞ্চানন মণ্ডল (৬০)। ছ’মাস আগে তাঁকে কাজ থেকে ছাঁটাই করা হয়। শুক্রবার বাড়ির কাছেই জঙ্গলে পঞ্চাননবাবুর ঝুলন্ত দেহ মেলে। তাঁর স্ত্রী কারখানার দুই আধিকারিকের নামে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
হলদিয়ার ভবানীপুর থানা এলাকার বাগধান্যঘাটায় থাকতেন পঞ্চাননবাবু। শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে এক ঝাউয়ের জঙ্গলে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ পাওয়া যায়। তারপর রাতেই মৃতের স্ত্রী লক্ষ্মীরানিদেবী থানায় গিয়ে কারখানার দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করেন। লক্ষ্মীরানিদেবীর বক্তব্য, “আমার স্বামী আড়াই বছর আগে জমিদাতা হিসাবে ঠিকাদারের অধীনে ওই সংস্থায় শ্রমিকের কাজ পান। মাস ছয়েক আগে তাঁকে সামান্য কারণে বরখাস্ত করা হয়। এমনকী পাওনাগণ্ডাও মেটানো হয়নি।” তাঁর দাবি, “ওই শিল্প সংস্থা, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং শ্রম দফতরের কাছে ফের কাজে নেওয়ার ব্যাপারে বারবার আবেদন জানিয়েও লাভ হয়নি। অর্থাভাবে দু’বেলা খাওয়া জুটত না। তাই হতাশায় আমার স্বামী আত্মহত্যা করেছেন।” লক্ষ্মীরানিদেবীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
যে দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তাঁদের একজন কারখানার আই আর ম্যানেজার বিনোদ মিশ্র। তিনি বলেন, “মৃত্যুর ঘটনা খুবই দুঃখজনক। তবে ওই শ্রমিককে বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও কারখানা চত্ত্বরে ধূমপান বন্ধ করেননি। তাই ঠিকাদার সংস্থাকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে নোটিস দিয়েছিলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। তার পরিপ্রেক্ষিতে ঠিকাদার ব্যবস্থা নিয়েছেন।” সেই সঙ্গে বিনোদবাবুর আশ্বাস, “ওই শ্রমিকের পরিবার পাওনা টাকা অবশ্যই পাবেন। পদ্ধতিগত কারণে দেরি হয়েছে।” পুলিশও জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পঞ্চাননবাবু কারাখানা চত্বরে ধূমপান করতেন। সেই ‘অপরাধে’ই কর্মচ্যুত হন। সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মৃত্যুর ঘটনাটি দুঃখজনক। তবে আমাদের পুলিশি তদন্তে আস্থা রাখতে হবে।” |
|
|
|
|
|