বহরমপুরে গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হল ভাস্বতী চক্রবর্তীর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মায়াময় কথাকলি’। অধ্যাপক অভিজিত্ ভট্ট কাব্যগ্রন্থটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করেন। কবির কথা অনুসারে রচনাকাল, ‘মনে না থাকা বছর থেকে ২০১৩’। প্রচ্ছদশিল্পী কৃষ্ণজিত্ সেনগুপ্ত। স্বামী-সংসার-সন্তান-আবৃত্তি-সংগীত-গৃহশিক্ষকতা-রবীন্দ্রমেলা-সহ সব কিছু সামলেও ভাস্বতীদেবী লিখেছেন, “সবার জন্য সময় আছে/ আমার জন্য অল্প,/ সবার তুমি গাছের ছায়া/ আমার চিত্রকল্প।/ আমার তুমি একলা বাউল/ সবার তুমি রাজা,/ তাদের জন্য মোহনবাঁশি/ আমাকে দাও সাজা।/ আমার জন্য কান্না রেখো/ সবার জন্য হাসি,/ তোমায় ঘিরে বাজে আমার/ দুঃখ-সুখের বাঁশি।’ এমনই ৫৮টি কবিতার সংকলনই হল ‘মায়াময় কথাকলি’।
|
বহরমপুর থেকে প্রকাশিত হল তিনটি সাময়িক পত্রিকার শারদসংখ্যা। উত্পলকুমার গুপ্ত সম্পাদিত ‘সময়’ পত্রিকার ৪৬তম বর্ষপূর্তির শারদ সংখ্যায় রয়েছে প্রয়াত কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শঙ্খ ঘোষ থেকে শুরু করে নুরজাহান খাতুন পর্যন্ত অর্ধশত কবির কবিতা, ৭টি প্রবন্ধ এবং ১৬টি ছোটগল্প। ১৮০ পাতার ওই পত্রিকার প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ হারাধন সাহা। প্রকাশিত হয়েছে তপন চক্রবর্তী, শ্যামল দাস, প্রিয়তোষ ঘোষ ও শান্তনু মজুমদার সম্পাদিত ‘তমস’ পত্রিকার প্রথম বর্ষের দ্বিতীয় সংখ্যা। প্রচ্ছদশিল্পী সলিল দাস। কুশলকুমার বাগচি সম্পাদিত ‘শব্দমৌলি’র উত্সব সংখ্যা। গত রবিবার বহরপুরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে আনুষ্ঠানিক।
|
গত রবিবার জিয়াগঞ্জের জৈন ধর্মশালায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হল সমীর ঘোষ সম্পাদিত ‘অনুভব’ পত্রিকার শারদ সংখ্যা। ওই সংখ্যাটিতে রয়েছে ১৪টি প্রবন্ধ, ৩১টি কবিতা, ৫টি গল্প ও একটি রম্যরচনা। প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণশিল্পী কবি সমীরণ ঘোষ। প্রকাশ অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন সন্দীপ বিশ্বাস, নিখিলকুমার সরকার, নাসের হোসেন, সমীরণ ঘোষ, রাজন গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। আলোচনা করেন অবসরপ্রাপ্ত তিন অধ্যাপক প্রীতিকুমার রায়চৌধুরি, শ্যামল রায়, কিশোর রায়চৌধুরি-সহ অনেকে। অনুষ্ঠানে প্রয়াত শিল্পী ইন্দর দুগরের ছবির একটি প্রদর্শনীরও আয়োজন করা হয়।
|
মুর্শিদাবাদ জেলা কবিতা আকাদেমির ১৬৮ তম মাসিক সাহিত্য পাঠের আসরে কৃতী শিক্ষক আকমল হোসেনের হাতে সম্মাননার মানপত্র তুলে দিলেন মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি সাগির হোসেন। ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠানটি হয় বহরমপুরে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনে। দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় স্বরচিত রচনা পাঠ ও আলোচনার আসর। প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে ৫০ জনেরও বেশি কবি-লেখক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
|
গত ২৯ সেপ্টেম্বর বহরমপুর ‘প্রান্তিক’ নাট্যগোষ্ঠীর মহলাকক্ষে অনুষ্ঠিত হল দেবাশিস সাহা সম্পাদিত ‘ছাপাখানার গলি’র মাসিক পাঠচক্রের ২০ তম আসর। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের আত্মজীবনী ‘অগ্নিপক্ষ’র উপর আলোচনা করেন মহম্মদ সৌরভ হোসেন। শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজ-এর জীবনী অবলম্বনে রচিত সমরেশ বসুর ‘দেখি নাই ফিরে’-এর উপর আলোচনা করেন চিত্রশিল্পী কৃষ্ণজিত্ সেনগুপ্ত।
|
গত ২৬ সেপ্টেম্বর কৃষ্ণনগর লাগোয়া বাঘাডাঙায় করম উত্সবের আয়োজন করেছিল ‘অল আদিবাসী সাদরি সুষার অ্যাসোসিয়েশান’। অনুষ্ঠানে ঝুমুর গানের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। ছিল সাদরি ভাষায় গান ও নাচ। আপার প্রাইমারি পর্যন্ত সাদরি ভাষায় আদিবাসী ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার দাবি তোলা হয় ওই অনুষ্ঠান থেকে।
|
গত ৩-৪ অক্টোবর কৃষ্ণনগরের টাউনহলের মাঠে প্রকৃতিক দুর্যোগ উপেক্ষা করে ৩২তম বাত্সরিক নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল নপুর ডান্স আকাদেমি। দু’ দিনের ওই অনুষ্ঠানে সংস্থার প্রায় ১২০ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করেন। দ্বিতীয় দিনে ‘মাতল যে ভুবন’ অনুষ্ঠানটি সবাইকে মুগ্ধ করে। এতে বিভিন্ন বয়সের ৭০ জন শিল্পী যোগ দিয়েছিলেন।
|
দু’টি উপন্যস ও একগুচ্ছ ছোট গল্প ও কবিতা সম্বলিত ১২ তম উদার আকাশের উত্সব সংখ্যা প্রকাশিত হল ৫ অক্টোবর। পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, বিষয় বৈচিত্রে সমৃদ্ধ সাহিত্য ভাবনা থেকেই এই ঈদ-শারদ সংখ্যার জন্ম।
|
গত ৪ অক্টোবর ধুবুলিয়ার মুক্তমঞ্চে লোকসংগীতের আয়োজন করেছিল ‘খেয়া’। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সাহিত্যিক সুধীর চক্রবর্তী। ভাওইয়া, ছাদ পেটানোর গান, বিহু, ভাদু, টুসুর মতো বিভিন্ন লোকসংগীত পরিবেশিত হয়। |