|
|
|
|
|
ডাক্তারবাড়ির দুর্গাপুজো
(শিবপুর, হাওড়া) |
হাওড়ার কাশীনাথ চ্যাটার্জি লেনের বিখ্যাত ডাক্তারবাড়ির পুজো শুরু হয় ১৮৩৮ সালে। মাঝে কয়েক বছর কোনও কারণে পুজো বন্ধ থাকলেও, ১৮৬৮ সাল থেকে প্রতি বছর আড়ম্বরের সঙ্গেই এই পুজো চলে আসছে। পুজো শুরু করেন হরচন্দ্র মুখোপাধ্যায়। মুখোপাধ্যায় পরিবারে সাত প্রজন্ম ধরে এই পুজো হয়ে আসছে। |
|
• মূর্তির বৈশিষ্ট্য— এ বাড়ির দেবী মূর্তি সাবেক একচালা। মায়ের সব অলঙ্কার সোনার এবং অস্ত্রগুলি রুপোর তৈরি। এই সব অলঙ্কার ও অস্ত্র তৈরি করান হরচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের পৌত্র প্রহ্লাদচন্দ্র মুখোপাধ্যায়।
• পুজোর রীতি— মুখোপাধ্যায় পরিবারে দুর্গাপুজো হয় বৃহন্নন্দীকেশ্বর মতে। মহাস্নানের মাটি ও জল বাইরে থেকে কেনা হয় না। পরিবারের সদস্যরাই তা জোগাড় করেন। প্রহ্লাদচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের সময় থেকে আজ অবধি, এই পাঁচ পুরুষ, দেবীর পুজো নিজেরাই করে আসছেন। পুজোর দায়িত্বে থাকা সকলেই সারা দিন নির্জলা উপবাসে থাকেন। বর্তমানে মায়ের পুজোর দায়িত্বে রয়েছেন সৌমিত্র মুখোপাধ্যায় ও তাঁর দুই ভাই পার্থ মুখোপাধ্যায় ও ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়।
• ভোগের তালিকা— ডাক্তারবাড়ির পুজোয় ভোগের সব আয়োজনে শুধুমাত্র গঙ্গাজলের ব্যবহার করা হয়। পুজোর কাজে বা ভোগ তৈরিতে শুধুমাত্র বাড়ির দীক্ষিত মহিলারাই অংশগ্রহণ করেন।
•
ষষ্ঠীতে খিচুড়ি, ভাজা, পায়েস, মিষ্টি
• সপ্তমীতে খিচুড়ি, ভাত, পোলাও, পাঁচ রকমের ভাজা, মিষ্টি
• অষ্টমীর সন্ধিপুজোর পর লুচি, নানা রকম ভাজা, তরকারি, চাটনি, সুজির পায়েস, ক্ষীর
• নবমীতে মোচা ও মানকচু সহযোগে মায়ের ভোগের আয়োজন করা হয়।
তবে নবমী যদি শনিবার পড়ে সে ক্ষেত্রে শুক্রবারেই মাকে ওই ভোগ দেওয়া হয়। পুজোর দিনগুলিতে সন্ধ্যারতির পর প্রতি রাতে লুচি, নানা রকম ভাজা, তরকারি, পায়েসের আয়োজন থাকে। দশমীতে দধিকর্মা।
• দিক নির্দেশ— শিবপুর মন্দিরতলার সিটিসি বাসস্ট্যান্ড থেকে বাঁ দিকে সোজা শিবপুর রোড ধরে নিমতলা বারোয়ারি মাঠের দিকে খানিকটা এগোলেই দেখা মিলবে কাশীনাথ চ্যাটার্জি লেনের এই ডাক্তারবাড়ির।
|
প্রতিবেদন: সুদীপ দে
ছবি: ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় |
|
|
|
|
|
|