চওড়াহাট বাজারে কলাপট্টির ঠিক উল্টো দিকের রাস্তা দিয়ে স্টেশনের দিকে যেতে গেলে নাকে রুমাল চাপা দিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে। বিশেষ করে একটু বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। জায়গাটি হয়ে উঠেছে আবর্জনা স্তূপের নরককুণ্ড (ছবিতে)। রাস্তাটি সব সময় কাদা-নোংরায় ভর্তি থাকে। পরিষ্কার না হওয়ার দরুন দুর্গন্ধে পথচলতি মানুষের প্রাণান্তকর অবস্থা। দিনহাটা চওড়াহাট বাজার এলাকাটিতে সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে দিনহাটা পুরসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। পুরপ্রতিনিধি এ দিকে দৃষ্টিপাত করলে পথচারীদের উপকার হবে।
হিটলার দাস। দিনহাটা
পাটের চাষ নিয়ে কিছু কথা
পাট অর্থকারী ফসল। একে অর্থকারী ফসল বললেও গ্রামের সাধারণ পাটচাষিরা অর্থের মুখ দেখছেন না। পাট আবার সোনালি তন্তু বলে আখ্যা দিলেও কৃষকের সোনালি জীবন ফিরে আসেনি পাট বিক্রি করে। বর্তমানে যে ভাবে দেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়ছে তাতে ভবিষ্যতে পাট চাষ থাকবে কিনা যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার প্লাস্টিকের বস্তা, ক্যারি ব্যাগ ব্যবহারের বিরুদ্ধে প্রচার করলেও দেখা যাচ্ছে সরকার প্রত্যক্ষ ভাবে প্লাস্টিকের বস্তা, ক্যারিব্যাগ ইত্যাদির পক্ষেই রয়েছে। আসলে পাট চাষিদের জন্য সরকারের একদম ভাবার অবকাশ নেই। বর্তমানে হাটে-বাজারে পাটের গড় বিক্রয়মূল্য ৮০০ টাকা মণ। জমি চাষ থেকে শুরু করে বীজ, কীটনাশক, রাসায়নিক সার, তার পর পাট কাটা, পচানো ইত্যাদি সব মিলিয়ে বিঘা প্রতি খরচ সাত সাড়ে সাত হাজার টাকা। দেখা গেছে বিঘা প্রতি যা খরচ হচ্ছে ওই দামেই এই পুজোর মরসুমে অনেক দরিদ্র কৃষক কেনাকাটা করেন পাট বিক্রি করেই। কিন্তু পাটের যে দাম তাতে দুই মণ পাট বিক্রি করেও মেয়ের জন্যে চুড়িদার হচ্ছে না। আজকাল রেডিমেড পোশাকের যে দাম তাতে পাট বিক্রি করে পুজোর বাজার হচ্ছে না। পাট চাষ করে লাভ শুধু পাট কাঠি। জ্বালানি হিসাবেই ব্যবহার করছে কৃষকরা। পাটের উপযুক্ত মূল্যের দাবিতে কৃষকরা অনেক আন্দোলন করেছে। গত বছরও বিভিন্ন স্থানে পাটে অগ্নিসংযোগ করে উপযুক্ত মূল্যের দাবিতে সরব হয়েছিল কৃষকরা। কিন্তু সরকার কোনও পদক্ষেপ নেয় না। এ বছরও সরকার পাটের উপযুক্ত মূল্য দিতে পারছে না। বিপন্ন পাঠ চাষিদের কথা সরকার শুনুন, পদক্ষেপ করুন। যাতে চাষিরা বিপন্ন না হয়।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.