• মূর্তির বৈশিষ্ট্য— পালবাড়িতে পূজিত মা দুর্গা দশভুজা নন। এখানে মায়ের দু’টি হাত। দেবী সিংহবাহিনী হলেও হাতে কোনও অস্ত্র নেই। দেবীর এই অভয়া মূর্তিই পালবাড়িতে বছর বছর ধরে পূজিত হচ্ছে। মায়ের পায়ের কাছে অসুরেরও দেখা মেলে না।
• পুজোর রীতি— বহু কাল ধরে চলে আসা বিভিন্ন নিয়ম আজও কোনও পরিবর্তন ছাড়াই পালিত হচ্ছে। পালবাড়ির পুজোয় চণ্ডীপাঠ শুরু হয় মহালয়ার ঠিক আগের নবমী থেকে, চলে ষষ্ঠী পর্যন্ত। কলাবউকে গঙ্গায় নিয়ে যাওয়া হয় না, বাড়িতেই স্নান করানো হয়। হাজার বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও পালবাড়ির পুজোয় আজও পশুবলির প্রথা চালু আছে। নবমীর দিন এখানে পাঁঠা বলি হয়। অশুভ শক্তির প্রতীক হিসেবে মহিষাসুরের রূপে মোষ বলিরও প্রথা চালু আছে। • বিশেষ দ্রষ্টব্য— পরিবারের সদস্যরা তো বটেই, পুজো দেখতে ভিড় জমান এলাকার মানুষ। আর্থিক বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও এত বছরের প্রাচীন এই পুজোর ঐতিহ্য বজায় রেখে চলেছেন পালবাড়ির সদস্যরা।
• দিকনির্দেশ— শিবপুর ট্রাম ডিপো থেকে বাঁ দিকে একটু এগিয়ে এই পালবাড়ি।
|