শ্রমিককে অপহরণ করে ঠিকাদারের কাছে ১০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছিল ভিন রাজ্যের দুষ্কৃতীরা। টাকা দেওয়ার নামে পুলিশের পাতা জালে ধরা পড়ল পাঁচ দুষ্কৃতী। উদ্ধার করা হয় অপহৃত শ্রমিককে। শুক্রবার রাতে পুরুলিয়ার বরাবাজারের জলট্যাঙ্কি মোড় থেকে পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে। পুরুলিয়ার ডিএসপি (ডিইবি) মহম্মদ শেখ আজম বলেন, “ধৃতদের বিরুদ্ধে খুন-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।” শনিবার পুরুলিয়া আদালত তাদের তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। ধৃতেরা হল হলধর মাহাতো, দীপক তন্তুবায়, রঞ্জিত সোরেন, কালীপদ গোপ ও মানিকরাম মাহাতো। মানিকরামের বাড়ি বরাবাজারে। বাকিরা লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের পটমদা ও কমলপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ লোকমান শেখ নামের মুর্শিদাবাদের ওই শ্রমিকের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে। ওই শ্রমিক বরাবাজারের বামনিডিতে কিষানমান্ডি তৈরির কাজ করতে এসেছিলেন। সোমবার রাতে ওই এলাকা থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয় বলে ঠিকাদার মঙ্গলবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। দুষ্কৃতীদের নির্দেশ মতো জলট্যাঙ্কি মোড়ে মুক্তিপণ দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। কিন্তু ঠিকাদারের বদলে সেখানে যায় সাদা পোশাকের পুলিশ। দুই দুষ্কৃতী মোটরবাইকে এলে তাদের পুলিশ পাকড়াও করে। তাদের দিয়ে ফোন করিয়ে বাকি দুষ্কৃতীদের ডেকে এনে পুলিশ গ্রেফতার করে।
|
৮৫টি জাল হাজার টাকার নোট উদ্ধার করল পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার সোঁতশাল গ্রামের ঘটনা। ওই ঘটনায় পুলিশ শেখ আকিবুল নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের বাড়ি মুরারই থানার কাথিয়া গ্রামে। শনিবার ধৃতের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে। সম্প্রতি পুলিশের কাছে খবর আসে সোঁতশাল এলাকায় জাল নোটের কারবার শুরু হয়েছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই জাল নোট চক্রের এক ব্যক্তিকে ধরতে পুলিশ শুক্রবার বিকেলে সোঁতশাল মোড়ে ওঁত পেতেছিল। সেখান থেকে জাল নোট-সহ শেখ আকিবুলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বীরভূমের পুলিশ সুপার সি সুধাকরের দাবি, “ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, ওই টাকা মালদহের কালিয়াচক থেকে একজন তাকে দিয়ে গিয়েছে। সেই টাকা তার আসানসোলে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।” জাল নোট চক্রে বাকি জড়িতদের ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।
|
নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলে ভাত-তরকারি ফেলে প্রতিবাদ জানাল আবাসিক ছাত্রছাত্রীরা। শনিবার বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের গোড়াবাড়ী আদিবাসী একলব্য হাইস্কুলের ঘটনা। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির প্রায় ৩৫০ জন আবাসিক দুপুরে হস্টেলের খাবার খায়নি। তারা ক্লাসও বয়কট করে। খাতড়ার মহকুমাশাসক শুভেন্দু বসু বলেন, “খাতড়ার বিডিও ওই স্কুলে গিয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে সমস্যা নিয়ে কথা বলেন। তার পরেই ওরা বয়কট প্রত্যাহার করে।” স্কুলের দশম শ্রেণির আবাসিক ছাত্র লিটা মান্ডি, সেনাপতি মান্ডি, মনোজিৎ বাস্কেদের অভিযোগ, “গত তিনমাস ধরে হস্টেলের খাবার মুখে তোলা যাচ্ছে না। বারবার টিচার ইনচার্জকে জানিয়েও কাজ হয়নি।” স্কুলের টিচার ইনচার্জ শম্পা সাহানা এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি। |