• মূর্তির বৈশিষ্ট্য— বাড়ির ঠাকুরদালানে মায়ের সাবেক একচালা ডাকের সাজের মূর্তি পূজিত হয়।
• পুজোর রীতি— জন্মাষ্টমীর পরের দিন এ বাড়িতে কাঠামো পুজো হয়। কাঠামো পুজোয় ব্যবহৃত গড়ান কাঠটির বিভিন্ন খণ্ড ব্যবহৃত হয় প্রতিমা তৈরির কাজে। কাঠামো পুজোর পরেই আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয় মায়ের মূর্তি গড়ার কাজ।
এ বাড়ির পুজোয় ফলবলির প্রথা চালু আছে। সাহাবাড়ির পুজোয় কুমারী পুজোর প্রথা প্রচলিত আছে। নবমীর দিন এই কুমারী পুজো দেখতে ভিড় জমান এলাকার মানুষ।
পুজোর দায়িত্বে থাকা চার ব্রাহ্মণ প্রায় পুরো দেবীপক্ষই কাটান সাহাবাড়ির দালানে। মায়ের মূর্তি গড়া থেকে পুজোর খুঁটিনাটি আয়োজনের সবটাই তাঁদের তত্ত্বাবধানে হয়ে থাকে। পুরনো প্রথা মেনে আজও বাইরে থেকে ঢাকি নিয়ে আসা হয়।
বিসর্জনের জন্য দেবীমূর্তি কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া হয়। বারোয়ারি পুজোর ভিড়ে নেপাল সাহা লেনের সাহাবাড়ির এই শতাব্দীপ্রাচীন পুজো ব্যতিক্রমী।
• ভোগের তালিকা— এ বাড়ির পুজোর ভোগ বলতে লুচি, সন্দেশ, নারকেল নাড়ু, বিভিন্ন রকম ফল ইত্যাদি। তবে সন্ধিপুজোর দিন মায়ের পুজোয় এক মণ চালের নৈবেদ্য দেওয়া হয়।
• দিকনির্দেশ— হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর বাস স্ট্যান্ড থেকে এগোলেই হেরিটেজ অ্যাকাডেমি স্কুল। সেখান থেকে মিনিটখানেকের হাঁটা পথে নেপাল সাহা লেনে এই সাহাবাড়ি।
|