• মূর্তির বৈশিষ্ট্য— ঠাকুর দালানে মায়ের একচালা মূর্তি শোভা পায়। মায়ের বাহন সিংহটি এখানে তার পরিচিত চেহারায় নয় বরং ভিন্ন আদলে তৈরি হয়। সিংহের মুখের আদল অনেকটা ঘোড়ার মতো। ভট্টাচার্য বাড়িতে মায়ের বাহনটি নরসিংহ রূপে পূজিত হয়। এ পুজোর বিশেষত্ব হল কলাবউ গণেশের পরিবর্তে কার্তিকের পাশে স্থান পান।
• পুজোর রীতি— এ বাড়ির পুজোয় বহুকাল আগে পশুবলি হলেও বর্তমানে তার পরিবর্তে ফল বলির প্রথা চালু আছে।
• ভোগের তালিকা— নানান পাঁচমিশেলি সব্জি সহযোগে নবরত্ন ভোগ রান্না করা হয় নবমীর দিনে। এ বছর পুজোর দায়িত্বে থাকা ভবানী ভট্টাচার্য জানান ১৯৪২-এর মন্বন্তরের সময় দেশ জুড়ে যখন দু’বেলা খাবারের জন্য হাহাকার চলছে, সে বছর আড়ম্বরের পঞ্চব্যঞ্জন ভোগ সম্ভব হয়নি। পরিবারের বিশ্বাস, চরম অর্থসঙ্কটে মায়ের স্বপ্নাদেশানুযায়ী থোড় ও নটেশাক সহযোগে ভোগের আয়োজন করা হয়। সেই সময় থেকে আজ পর্যন্ত ভট্টাচার্য বাড়ির পুজোর ভোগে থোড় এবং নটেশাক একটি অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে যা এই পুজোর একটি বিশেষত্বও বটে। ভোগে মিষ্টান্ন হিসাবে বাড়ির তৈরি নারকেল নাড়ু দেওয়া হয়।
বর্তমানে পুজোর পৌরোহিত্য করেন নীলকান্ত ভট্টাচার্য। আগের মতো আড়ম্বর না থাকলেও এখনও যথেষ্ট নিষ্ঠার সঙ্গে বছর বছর এ পুজো চালিয়ে যাচ্ছেন শিবপুরের তেঁতুলতলার ভট্টাচার্য পরিবার।
• দিকনির্দেশ— শিবপুর মন্দিরতলার সিটিসি বাস স্ট্যান্ড থেকে শিবপুর বাজারের দিকে যেতে ঢিলছোড়া দূরত্বে অবস্থিত এই ভট্টাচার্যবাড়ি।
|