থিম বনাম জোশ
রণং দেহি |
নাম: |
অন্ডাল দক্ষিণপল্লি |
বীরবর্ণনা: |
৬৪ বছরের প্রবীণ যোদ্ধাকে সাজাচ্ছেন নবদ্বীপের ১২ জন কারিগর।
বাঁশ-কাপড়ের কাঠামোয় মাথা তুলছে কাচমন্দির। মূর্তি টেরাকোটা শৈলিতে। |
ব্রহ্মাস্ত্র: |
চেনা বামুন। রেলস্টেশন আর প্রধান বাসস্ট্যান্ডের কাছে ছড়ানো প্রাঙ্গন।
১৯৯০ সালে আনন্দবাজার পত্রিকার কাছ থেকে পুরস্কার এসেছিল।
এর পরেও মিলেছে নানা স্বীকৃতি। |
|
ব্যূহে ছিদ্র: |
রেলশহর অন্ডালে এত দিন মণ্ডপ ঘিরে বসা মেলা রেলের নোটিসে এ বার থেকে বন্ধ। |
কুবেরের ধন: |
কর্তাদের দাবি, বাজেট সাত-আট লাখ টাকার। প্রতি বার যা হয়,
রেলকর্মী আর ঠিকাদারদের পকেট থেকেই সব মিটবে। |
তূণে বাড়তি: |
মাধ্যমিকে অষ্টম, পশ্চিমপল্লির বাসিন্দা শোভনা বাগলেকে দিয়েই
মণ্ডপের উদ্বোধন। প্রতি দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তো আছেই। |
|
সেই কবে থেকে দেখছি। জৌলুস
একটু কমতি হয়নি।
সঙ্গীতা নন্দী, পাড়াবাসী |
এই বার শাহরুখকে দিয়ে
উদ্বোধন করালে হত।
অনামিকা সেন, তৃতীয় বর্ষ |
|
|
সেনাপতির রণহঙ্কার
এখনও ওরা থিম বস্তুটাই বুঝল না!
শঙ্কর দেবনাথ, সম্পাদক |
|
|
নাম: |
অন্ডাল পশ্চিমপল্লি |
বীরবর্ণনা: |
মোটে বিয়াল্লিশের মধ্য গগনে যোদ্ধার বর্ম মাদুরের। বাঁশের কাঠামোয় চট
মুড়ে মাদুকাঠি দিয়ে মন্দির গড়ছেন মেদিনীপুরের শিল্পীরা।
আধুনিক মূর্তি, শিল্পী কিন্তু একই। |
ব্রহ্মাস্ত্র: |
রানিগঞ্জ লাগোয়া এলাকার শর্টকাট রাস্তা ঘেঁষে পুজো। ভিড় হতে বাধ্য।
কিন্তু সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রেখে দু’বার জুটেছে প্রশাসনের পুরস্কার। |
|
ব্যূহে ছিদ্র: |
রেলের ট্যাঙ্কের উপচে পড়া জল মাঝে-মাঝেই ঢেউ তোলে মণ্ডপের সামনে।
থকথকে কাদায় দর্শক ডিগবাজি খেলে বাঁচাবে কে? |
কুবেরের ধন: |
পঞ্চজনে মিলে ওঠে লাখ পাঁচেক, বলছেন কর্তারা। ভরসা সেই রেলকর্মী আর ঠিকাদারেরাই। |
তূণে বাড়তি: |
জয়পতাকা ওড়ানোয় পঞ্চমীর দিন পাড়ার মেয়ে শোভনা বাগলের
সংবর্ধনা। আর একাদশী পর্যন্ত অনুষ্ঠান তো থাকছেই। |
|
বাঙালি, অবাঙালি সব মিলে
এক হয়ে যাই।
নীলম দেবী, পাড়াবাসী |
মহালয়া থেকেই পুজো শুরু
হোক সামনের বার!
সোনম মণ্ডল, তৃতীয় বর্ষ |
|
|
সেনাপতির রণহঙ্কার
জন-রায়ে ৮ বছর সেরা আমরাই!
চন্দ্রভানু দত্ত, সম্পাদক |
|
সংকলন: নীলোৎপল রায়চৌধুরী। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ। |
|